বাজরিগার পাখি পালনের কিছু টিপস - বাজরিগার পাখির বিভিন্ন জাত
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা। নিশ্চয় আপনারা আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আমাদের এই পোষ্ট থেকে আমরা বাজরিগার পাখি পালনের কিছু টিপ্ স জানব। আসলে এই পাখির মাংস খাওয়া যায় না। কিন্তু এই পাখির কদর বাংলাদেশ ভালোই আছে। এই বাজরিগার পাখি মানুষ সখের বশত পালন করে। তো বন্ধুরা চলুন জানা যাক বাজরিগার পাখি পালনের কিছু টিপ্ স।
একেক জনের একেক রকমের সখ থাকে। যারা সখের বশত পাখি পালন করেন তাদের কাছে খুবই পরিচিত একটি পাখি বাজরিগার। সকল ধরনের পাখি পালনের মধ্যে বাজরিগার পাখি পালন বেশী অন্যতম।
ভৃমিকা
বিশ্বে প্রায় সব দেশই এই বাজরিগার পাখি পাওয়া যায় পালন করা হয়। এই পাখিটি খুবই জনপ্রিয় এবং পোষা পাখি। বাজরিগার পাখি শুধু সখ করে নয় কেউ কেউ আবার খামার দিয়ে এই পাখি পালন করে বেশ লাভ করছেন। এবং তার সঙ্গে দেশে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা হচ্ছে। তবে এই বাজরিগার পাখি আমাদের দেশি পাখি নয়। মুলত অস্টেলিয়ার পূর্ব ও দাক্ষিণ - পশ্চিম উপকুল অঞ্চলে বনাঞ্চলের পাখি বাজরিগার।
বাজরিগার পাখির বিভিন্ন জাত
বাজরি পাখি একটি পোষা পাখি এবং খুব জনপ্রিয় একটি পাখি। এই পাখি আমেরিকায় লিট্টল প্যারাকিট নামে পরিচিত। এছারাও এই পাখির আরো নাম আছে যেমন, ক্যানারী প্যারট, জেব্রা প্যারট, বাজী, শেল প্যারাকিট, আন্ডুলেটেড প্যারাকিট বাজরিগার, এবং বদরী নামে এই পাখি পরিচিত। এই বাজরী পাখি অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব ও দক্ষিণ পশ্চিম উপকূল অঞ্চলে দেখা যায়।
তাছারাও তাস্মেমিয়া এবং এর প্রতিবেশী কয়েকটি অঞ্চলেও এই পাখি আছে। এই পাখিটি প্রয় ৬.৫ থেকে ৭ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়। বাজরিগার পাখির ওজন সাধারনত ২৫-৩৫ গ্রাম হয়। খাচায় পালন করলে ওজন হয় ৩৫-৪০ গ্রাম পর্যন্ত।বাজরি গার পাখির ডিম থেকে বাচ্চা ফুটাতে প্রায় ১৮-১৯দিন সময় লাগে। ছোট্ট একটা পাখি বাজরিগার এই পাখিটির বুদ্ধির জন্য বেশ জনপ্রিয়।
খাচার পরিবেশে বাজরিগার পাখি পালন করলে এরা প্রায় ৭-৮ বছর বেচে থাকে।বাজরিগার পাখির প্রায় ৫০ টার উপরে জাত রয়েছে। কিন্তু আমরা যে সরাচর পাখি গুলো দেখতে পারি সে পাখি গুলো কি কি জাতের হয় তা নিচে দেওয়া হলো।
- বন্য বাজরিগার
- স্বাভিক বাজরিগার
- চোখ লাল বাজরিগার
- লাল চোখ অ্যালবিনো বাজরিগার
- বিভক্ত দ্রবন বাজরিগার
- বিভক্ত অ্যালবিনো বাজরিগার
- গ্রে ফেদার ফলো বাজরিগার
- হলুদ ফেদার ফলো বাজরিগার
বাজরিগার পাখি পালনের কিছু টিপস
বাজরি গার পাখি যে বন্ধুরা পালন করতে চায় বা এই পাখির খামার দিতে চায় তাদের জন্য কিছু টিপস নিচে দেওয়া হলো । এই টিপস গুলো ফলো করে পাখি পালন করলে আশা করা যায় ভালো লাভবান হবেন এবং পাখি পালনে আপনার সুবিধা হবে। নিচে টিপস গুলো দেওয়া হলো-
- পাখি পালার আগে ভেবেচিন্তে পাখি পালন করতে হবে পাখি কেনার আগে পরিকল্পনা করুন পাখি নিয়ে আপনার ভাবনা সঠিক না ভুল।
- পাখি কেনার আগে আপনার পরিচিত দের সাথে কথা বলুন যারা পাখি পালন করে বা যাদের পাখির খামার আছে তারাই সুবিধা অসুবিধা গুলো বলতে পারবে।
- আপনার পরিবারের বড় সদস্যদের সাথে কথা বলে তাদের সাহায্য নিয়ার চেষ্টা করুন।
- আপনি পাখি কোথায় পালন করবেন তার উপযুক্ত জায়গা ঠিক করুন।
- পাখির প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাজার থেকে কিনে আনুন।
- আপনার পরিচিত পাখি খামারিদের কাছ থেকে পাখি কেনার চেষ্টা করুন।
- পাখি কবে বা কখন ডিম পারবে এই চিন্তা মাথায় না রেখে পাখি কিনুন ।যদি এই ভাবনা মাথায় থাকে তাহলে সম্ভবতই পাখি আপনার জন্য উপযুক্ত হবে না।
- সাধারণত ৩ থেকে ৪ মাস বয়সের পাখিগুলো কিনবেন।
- পাখি কিনে বাসায় আনার পর পাখিগুলোকে নিরিবিলি জায়গায় রাখবেন এবং উপযুক্ত খাবার দিবেন।
- আপনি চেষ্টা করবেন বাজারে পাখির বিভিন্ন ধরনের বই পাওয়া যায় সেই বইগুলো কিনে আনুন এবং পড়তে থাকুন তাহলে ভালো আইডিয়া পাবেন।
- পাখিদের বিভিন্ন খাবারের সাথে সবুজ শাকসবজি, সবুজ ঘাস, এবং সিনা কাউন বা ডিম খেতে দিন।
- পাখির পূর্ণ বয়স না হওয়া পর্যন্ত ছেলে এবং মেয়ে পাখি আলাদা রাখুন।
- পাখির ৮ থেকে ৯ মাস বয়স হওয়ার পর ব্রিডিং মুডে থাকলে তাদের জোড়া দিন।
- পাখি দুইটা জোড়া বাধার পর পাখিকে নির্দিষ্ট জায়গার জন্য একটা বড় হাড়ি দিবেন।
- একজোড়া পাখির জন্য কমপক্ষে ১৮-১৮,১৮ মাপের খাচা দিবেন।
- সব সময় কাটল ফিস বোন আর মিনারেল ব্লক খাঁচায় রাখবেন।
- আপনাকে একটু সময় অপেক্ষা করতে হবে পাখিগুলোকে সময় দিতে হবে ডিম পাড়ার।
- পাখিগুলোকে বেশি নাড়াচাড়া করা যাবে না এবং বিরক্ত করা যাবে না।
- পাখি সম্পর্কে কিছু জানতে হলে পাখি পালনকারী অভিজ্ঞ লোকের কাছে থেকে পরামর্শ নিবেন।
- পাখি অসুস্থ হলে কোন অনভিঙ্গ লোকের কাছে থেকে ওষুধ খাওয়াবেন না।
- অযথা কোন ধরনের ভিটামিন ওষুধ পাখিকে খাওয়াবেন না।
- ডিম ফুটে বাচ্চা হওয়ার পর পাখিকে নরম এবং ছোট দানা খাবার দিবেন।
- পাখির খাবার সন্ধ্যার পর সরিয়ে রাখবেন আবার পরের দিন সকালে খাবারগুলো পরিষ্কার করে খেতে দিবেন।
- পচা খাবার বা দু -চার দিনের রাখা গন্ধ করা খাবার পাখিকে খেতে দিবেন না এতে বা কি অসুস্থ হয়ে যাবে।
- পাখির ঘরের তাপমাত্রা ২৫ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মধ্যে রাখবেন।
- এক জোড়া পাখিকে বছরে দুই থেকে তিনবারের বেশি ব্রিডিং করাবেন না।
- পাখিরা যখন বিশ্রাম করবে তখন ছেলে এবং মেয়ে পাখিকে আলাদা করে রাখুন।
- বাচ্চা পাখির বয়স তিন সপ্তাহ হয়ে গেলে ফিমেল পাখিকে আলাদা করে রাখুন।
- একটি খাঁচায় একজোরার বেশি পাখি রাখবেন না।
- পাখিদের নিয়মিত গোসল করাবেন এবং পাখির খাঁচা সব সময় পরিষ্কার রাখবেন।
- প্রথম পাখির বাচ্চা গুলোকে বিক্রি করবেন না । বিক্রি না করলে সবচাইতে ভালো ফল দেয়।
- পাখি জোড়া বাধার আগে হাড়ি দিবেন না।
- পাখির গায়ে সরাসরি তাপ বা সরাসরি বাতাস লাগাবেন না।
- একটা হ্যারি তিন থেকে চার বারের বেশি ব্যবহার করবেন না।
- পাখির খাঁচায় নেট দিয়ে জড়িয়ে রাখবেন।
- রাত্রেবেলা অযথা পাখির ঘরে লাইট দিয়ে রাখবেন না।
- অসুস্থ পাখিকে ভালো পাখি থেকে আলাদা করে রাখবেন।
- যেখানে অতিরিক্ত চিল্লা হাল্লা বা আওয়াজ হয় সেখানে পাখির রাখবেন না।
- অতিরিক্ত বাতাস চলাচল করে এরকম জায়গায় পাখি রাখবেন না।
- অভিজ্ঞতাদের পরামর্শ নিয়ে পাখিদেরকে খাবার দেয়ার চেষ্টা করবেন এবং পাখির একটা খাবারের তালিকা তৈরি করে রাখবেন।
মনে রাখবেন পাখিদেরও পছন্দ-অপছন্দর ব্যাপার আছে তাদের মন ভালো রাখার চেষ্টা করবেন এবং সুন্দর পরিবেশ দিবেন।
বাজরিগার পাখি কত দিন পর পর ডিম দেয়
বাজরি গার পাখি সাধারনত ৮মাস বয়সে ডিম দেয়। কোন কোন সময় ৬-৭ মাস বয়েসেও ডিম দেয়। অনেক সময় পাখির স্বাস্থ্য ভালো হলে বিশেষ করে পুস্টি কর খাবার খাওয়ালে ডিম তাড়াতাড়ি দেয়।
বাজরিগার পাখির ডিম পাড়ার লক্ষণ
প্রত্যেকটা হাঁস মুরগি ডিম পাড়ার আগে কিছু লক্ষণ দেখা যায় তেমনি বাজরিগার পাখিরও পাখিরাও ডিম পাড়ার আগে কিছু লক্ষণ প্রকাশ করে সেই লক্ষণগুলো নিচে দেয়া হল-
- খাঁচার ভিতর মাটির হাড়ি আপনি দিয়ে রেখেছেন সে হাড়ের মুখে দিনের অধিকাংশই সময় দিয়ে কামড়াতে থাকবে।
- এই পাখি ডিম পাড়ার আরও একটি লক্ষণ হল, ডিম পাড়ার আগে পাখির নাকের অংশগুলো বাদামি রঙের হয়ে যাবে।
- ডিম পাড়ার আগে মেয়ে পাখিগুলো হারির ভিতরের ময়লাগুলো পা দিয়ে হাচরিয়ে বাইরে ফেলার চেষ্টা করবে।
- ডিম পাড়ার আগে পাখিগুলো নরম এবং সফট খাবার বেশি পছন্দ করবে। যেমন ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার ।ভিটামিন জাতীয় খাবার এবং বেশি বেশি খাবার খাবে।
- আরেকটি লক্ষণ দেখবেন, মেয়ে পাখিটি বেশি বেশি হাঁড়ির মধ্যে থাকা পছন্দ করবে এবং একা থাকতে চেষ্টা করবে।
- আরো একটি লক্ষণ দেখবেন, মেয়ে পাখিটি ডিম পাড়ার আগে পায়খানা বেশি বেশি হবে। পায়খানা আগের তুলনায় ডিম পাড়ার আগে বেশি পায়খানা করবে।
- পাখি ডিম পাড়ার আগে খাবার ঠোঁট দিয়ে ঝারি মেরে ফেলে দিবে। খাবার নষ্ট করবে।
- আরো একটি লক্ষণ দেখবেন, সেটা হল আগে যদি আপনি আপনার পাখি ধরতে যেতেন তখন ছুটি ছুটি করত। কিন্তু ডিম পারার আগে সে আপনাকে ঠোট দিয়ে ঠোকর মেরে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবে। এবং নিজেকে প্রটেক্ট রাখার চেষ্টা করবে।
- আমরা সবাই জানি প্রাকৃতিক পরিবেশে পাখিরা কেমন পরিবেশ পছন্দ করে। পাখিরা তখনই ডিম দিবে যখন দেখবেন তার একটা নিরাপদ পরিবেশ পেয়েছে। যেখানে খাবারের কোন প্রকার সমস্যা নেই তখনই আপনার পাখি ডিম দেবে।
উপরের লক্ষণ গুলো আপনার পাখির মধ্যে দেখতে পেলে আপনি বুঝবেন আপনার পাখি ডিম পাড়ার সময় হয়ে গেছে।
বাজরিগার পাখি ডিম না দিলে করনীয়
পাখির পর্যাপ্ত বয়স হলে অবশ্যই ডিম দেবে। তবে পাখির ডিম তাড়াতাড়ি দেওয়ার জন্য আপনার পাখির পেছনে কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য আছে সেগুলো আপনাকে ঠিকঠাক ভাবে পালন করতে হবে।
- বাজরিগার পাখির প্রথম কারন হলো মুলত পাখির শরীরে চর্বি জমে যাওয়া বা পুরুষ পাখির ব্রিডিং এর সমস্যা আছে। বা ব্রিডিং এর জন্য এখনো উপযুক্ত হয় নি। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো আপনার বাজরিগার পাখিকে প্রাপ্ত বয়স্ক হতে হবে। আর এক সাথে অনেক পুরুষ পাখি ও মেয়ে পাখি রাখতে হবে।
- আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে সমস্ত বাজরিগার পাখি যেন মেল ফিমেল থাকে। শুধু ফিমেল বা অপ্রাপ্ত বয়স্ক হলে পাখি ডিম দিবে না।
- ছেলে পাখি এবং মেয়ে পাখি কে অবশ্যই প্রাপ্ত বয়স্ক হতে হবে।
- যতদিন বাজরিগার পাখি ডিম দিবে না তত দিন পাখিগুলোকে সর্ফট এবং ভিটামিন যুক্ত খাবার সরবারাহ করুন। এবং তার সাথে পর্যাপ্ত পানি রাখুন।
- বাজরিগার পাখির যদি ক্যালসিয়ামের ঘারতি থাকলে ডিম উৎপাদন করতে পারবে না। এই জন্য ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার দিতে হবে। কারন ডিম উৎপাদনের মুল উপাদান হচ্ছে ক্যালসিয়াম।
- আপনার পাখির ঘরের আশে পাশে যদি টিকটিকি, বিড়াল, ইদুর এর উৎপাত থাকে তাহলে অবশ্যই সেগুলো তাড়ানোর চেষ্টা করবেন। এগুলোর অত্যাচারে ও কিন্তু আপনার পাখি ডিম পারবে না।
- আপনি যখন কোন দোকান বা খামার থেকে পাখি কিনে আনবেন তখন হয়তো আপনি জানবেন না যে পাখিগুলো কি খেতে। এই জন্য আপনাকে মাল্টি ভিটামিন এবং অন্যান্য উপাদান যেমন,জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ জাতীয খাবার তার পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন।
- অবশ্যই পাখির ভালো করে যত্ন নিতে হবে। যত্ন না নিলে কোন জিনিষই ভালো ফলাফল দেয় না।
বাজরিগার পাখির ছবি
নিচে বাজরি গার পাখির ছবি দেয়া হলোঃ
বাজরি পাখির হাড়িতে কি দিতে হয়
প্রত্যেকটা বাসা বাড়ি যেরকম মজবুত করে বানানোর চেষ্টা করা হয় তেমনি বাজরিগার পাখির হাড়িটাও মজবুত করে গুনা বা দড়ি দিয়ে শক্ত করে বাধতে হবে। প্লাস্টিকের দড়ি দিয়ে বাঁধলে পাখি দড়িটা ঠুকরিয়ে ছিড়ে ফেলতে পারে। এজন্য শক্ত কিছু দিয়ে হাড়িটি বাধতে হবে। বাজরিগার পাখির হাড়িতে কোন কিছুই দিতে হবে না।
যদি আপনি কোন কিছু দিতে চান তাহলে সে ক্ষেত্রে উপকার হবে না বরং পাখির ক্ষতিই হবে। বরং আপনি চেষ্টা করবেন হাড়িটা যেন বড় হয়। কারন বাজরিগার পাখি এক সাথে অনেক ডিম দেয় যা থেকে বাচ্চা ফুটে এই জন্য হাড়িটা বড় দেয়ার চেষ্টা করবেন।
বাজরিগার পাখির খাবার তালিক
বাজরিগার পাখির খাবার তালিকায় সঠিক ও পুষ্টিমান খাবারের তালিকা থাকা প্রয়োজন। যা বাজরিগার পাখিকে সুস্থ রাখবে। খাবারের বিস্তারিত দেওয়া হল-
সিনা ও কাউন মূলত পাখির সাধারণত মূল খাবার। তবে পাখির শরীর সুস্থ রাখতে ঘাস, কলা, অবশ্যই ঝুলিয়ে দিবেন গুজি তিল পিসি এ প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে এবং সরিষাতেও এটি ব্যবহারে পাখির পালক উজ্জ্বল থাকে। স্বাস্থ্য ভালো থাকে আরো দিবেন সূর্যমুখী ফুলের বীজ, পোলাও ধানের চাল, এবং বিভিন্ন ফুলের বীজ, দিতে পারেন।
তার সাথে মটরশুটি, চাল আপনি দিতে পারেন। আপনি বাজিগার পাখিকে সকল খাবার ছাড়া অন্যান্য খাবার হিসেবে সিদ্ধ ডিম, কলমি শাক, বরবটি ,পালং, শাক, গাজর কুচি, মটর শুটি, আপেল কুচি, পেয়ারা এগুলো আপনি খাওয়াতে পারেন মাঝে মধ্যে।
বাজরিগার পাখির খাবারের দাম
আমরা যারা পাখি পালন করি বা খামারে পাখি পালন করি তারা জানে না বাজরিগার পাখির খাবারের সঠিক দাম। দাম জানা না থাকলে আমরা দোকানে গিয়ে বেশী টাকা দিয়ে খাবার কিনে আনতে হয়। আজকে আপনাদের পাখির খাবারের সঠিক দাম জানানোর চেষ্টা করব। তবে দ্রব্যের মূল্য উঠানামায় পাখির খাবারের দাম ও কম বেশী হতে পারে।
- ১ কেজি চিনাঃ ৩০ টাকা
- ১ কেজি তিশিঃ ৮৫ টাকা
- ১ কেজি কাউনঃ ৩৫ টাকা
- ১ কেজি সূর্যমুখি বীজঃ ৯০ টাকা
- ১ কেজি গুজিতিলঃ ৯০ টাকা
- ১ কেজি কুসুম ফুল বীজঃ ৮৫ টাকা
- ১ কেজি ক্যানারি সিডঃ ১৩০ টাকা
- ১ কেজি হ্যামাসসিডঃ ২৭০ টাকা
বাজরিগার পাখির দাম
পাখির আকৃতি এবং জাত ভেদে বাজিগার পাখির দাম নির্ভর করে। ছোট পাখিগুলোর দাম কম এবং বড় পাখিগুলোর দাম অনেক বেশি হয়ে থাকে। বাচ্চা পাওয়া যাচ্ছে বাচ্চা বাজার মূল্য ২৫০ টাকা এক জোড়ার দাম ৫০০ টাকা। ছোট সাইজের বাজরিগার পাখির মূল্য ৪০০ টাকা। একজোরার মূল্য ৮০০ টাকা। মাঝারি বাজরিগার পাখির দাম ৬০০ টাকা এবং বড় একটি পাখির দাম ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত হয়।
বাজরিগার পাখি ছেলে না মেয়ে চেনার উপায়
বাজরিগার পাখি মেল ফিমেল চেনার উপায় হল মেল পাখির নাক বা ঠোঁটের উপরে বাদামে একটা ভাব থাকবে যেটা ফিমেল পাখি থাকে না এখান থেকেই আপনাকে বুঝতে হবে কোনটা কি মেইল এবং কোন পাখি ফিমেল
শেষ কথা
পাখির খামার তৈরি করতে গেলে আপনি অবশ্যই হাট, হাটবাজারে বা বিভিন্ন পাখির খামার পরিদর্শন করতে পারেন। এতে আপনার আগ্রহ বাড়বে এবং অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে ।৩৫ থেকে ৪০ দিন বয়সী পাখি বিক্রি করা যায়। হাট, দোকান বা ফেসবুকের মাধ্যমে পাখিগুলো বিক্রি করতে পারবেন।
msta2z.comব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url