কিভাবে বুঝব বাচ্চা বুকের দুধ পাচ্ছে - বাচ্চা বুকের দুধ না পেলে কি করব | Msta2z

কিভাবে বুঝব বাচ্চা বুকের দুধ পাচ্ছে - বাচ্চা বুকের দুধ না পেলে কি করব

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা। নিশ্চয় আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আজ এই আরর্টিকেলে লেখা হয়েছে কিভাবে বুঝব বাচ্চা বুকের দুধ পাচ্ছে। এটা একটা নবজাতক মায়ের জন্য সমস্যা। আসলে কিভাবে বুঝবেন যে বাচ্চা বুকের দুধ পাচ্ছে না পাচ্ছে । বন্ধুরা আজ এই আরর্টিকেলে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। আরর্টিকেল টি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
কিভাবে বুঝব বাচ্চা বুকের দুধ পাচ্ছে

শিশুর জন্মের পর ১ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত তার মায়ের বুকের দুধ যতেষ্ট। এই সময় শিশুর বাড়তি খাবারের প্রয়োজন নেই। এই সময় যদি বাচ্চা দুধ ঠিক মতো না পায় তাহলে মায়েদের জন্য দুশ্চিন্তার কারন হয়ে যায়।

ভৃমিকা

নতুন হোক বা পুরাতন নবাজাতক শিশুর মা হোক না কেন বাচ্চা বুকের দুধ না পেলে মাথা নষ্ট হয়ে যায়। বুকের দুধে শিশুর পেট ভরছে কিনা এধরনের প্রশ্ন অনেক মায়েরাই করেন। আবার অনেক মা আছে তারা বুঝতে পারেনা যে বাচ্চা বুকের দুধ পাচ্ছে, না পাচ্ছে না। নিচে এই প্রশ্ন টির উত্তর জানানো হলো-

শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মা যা খাবেন না

চিকিৎসকরা বলেন যে, জন্মের পর থেকে ছয় মাস পর্যন্ত শিশুকে কেবল মায়ের বুকের দুধ পান করালে তার জন্য যথেষ্ট। তাই দেখে নিন শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর দিনগুলোতে মাদেরকে যে খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।

টক জাতীয় ফল
টক জাতীয় ফলগুলো একটি নবজাতক মায়ের জন্য খাওয়া ঠিক না। কেননা এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। তবে কিছু শিশুর ভিটামিন সি সহ্য করতে পারে না। ফলাফল শিশুদের ডায়রিয়া দেখা দেয় অথবা এলার্জি হতে পারে। এজন্য নবজাতক মায়ের কাছে অনুরোধ তারা যেন টক জাতীয় ফল এড়িয়ে চলুন।

বাদাম বা চিনা বাদাম
যদি আপনার চিনা বাদামে এলার্জি থাকে তবে আপনি চীনা বাদাম খাওয়া বন্ধ করবেন। চিনা বাদামে এমন কিছু প্রোটিন আছে যা এলার্জির কারণ। বুকের দুধ খাওয়ার সময় যে মা চিনা বাদাম খাবে শিশুর দেহে প্রবেশ করে তাই তখন তার দেহে এলার্জির শরীর লালচে রং ধারণ করে।

সামুদ্রিক মাছগুলো
সামুদ্রিক মাছের বেশিরভাগ এলার্জি থাকে। আর কোন মা যদি সেই মাছ খান তবে তার দুধেও এলার্জির পরিমাণ বেড়ে যায়। আর এই দুধ খেলে বাচ্চারা এলার্জি হওয়ার আশঙ্কা হতে পারে।

অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার
নবজাতকের মা অতিরোক্ত মসলাযুক্ত খাবার খেলে বাচ্চাদের হজমের বা গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। এই সময় এমন কোন খাবার খাবেন না যেন আপনার বাচ্চার জন্য কষ্টের কারন হয়ে দাড়ায়। আপনার মুখের স্বাদের জন্য আপনি মশলা যুক্ত খাবার খাবেন না এতে আপনার বেবীর কষ্ট হতে পারে।

গরুর দুধ
যদি আপনার শিশুর ল্যাকটোজ ইন্টলারেন্স হয় বা দুধে এলার্জি থাকে তাহলে আপনাকে গরুর দুধ যতক্ষণ এড়িয়ে চলতে হবে। এ সময় কি খেলে শিশুর ক্ষতি হতে পারে এবং কি খেলে উপকার হবে তা জানার জন্য চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে পারেন।

চা বা কফি
একজন নবজাতক শিশুর মায়ের জন্য অল্প পরিমাণে ( ১ কাপ) চা খেতে পারেন। কিন্তু দিনে ৩ থেকে ৪ বার চা বা কফি খাওয়া যাবে না। অতিরিক্ত চা বা কফি খেলে মায়ের বুকের দুধের মাধ্যমে শিশুর শরীরে প্রবেশ করে এতে শিশুর অতিরোক্ত গ্যাসের সৃষ্টি হতে পারে বা শিশুর বুক জ্বলবে।

কিছু ধরনের কাঁচা শাকসবজি
বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় এমন কিছু শাকসবজি আছে যেগুলো একজন নবজাতকের মায়ের খাওয়া ঠিক না। এগুলো হজম করতে বাচ্চাদের সমস্যা হয়। যেমন বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকলির, মতো কাঁচা সবজিগুলো খাবেন না (সালাদ করে) ।মা এবং শিশুদের মধ্যে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। এমনকি কাচা পেয়াজ ও খাবেন না। এগুলোর মধ্যে এমন কিছু ব্যাকটেরিয়া বা কীটনাশক থাকতে পারে যা মায়ের এবং বাচ্চার জন্য সমস্যা হতে পারে।

মদ পান করবেন না
শিশু মায়ের বুকের দুধ পান করার সময়ে বিশেষ করে ১ থেকে ১০ মাসের মধ্যে মায়েরা মদ পান করা থেকে দূরে থাকুন। মা যদি অ্যালকোহল গ্রহণ করেন তবে শিশুর উপর তার প্রভাব পড়ে। অ্যালকোহল মায়ের বুকের দুধ তৈরী ২০থেকে ২৩ শতাংশ কমিয়ে দেয়। এমনকি বাচ্চার চোখের ঘুম দিনে দিনে নষ্ট হয়ে যায়।

উপরোক্ত খাবার গুলো অবশ্যই একটি নবজাতকের মায়ের খাওয়া যাবে না। এই খাবার গুলো খেলে আপনার সমস্যা হবে এবং আপনার বাচ্চার ও সমস্যা হবে। কারন আপনি যাই কিছু খাবার খান তা আপনার বুকের দুধের মাধ্যমে আপনার শিশুর পেটে প্রবেশ করবে। ভালো থাকুন এবং ভালো থাকার চেষ্ট করবেন।ধন্যবাদ

কিভাবে বুঝব বাচ্চা বুকের দুধ পাচ্ছে

সাধারণত একটা সন্তান ভুমিষ্ট হওয়ার পরে প্রথম তিনদিন থেকে সাত দিন বুকের দুধ না আসার সম্ভাবনা বেশি ।এ সময় এ নিয়ে মায়েদের চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই ।এ সময় যতটুকুন সাল দুধ আসবে ততটুকু নিয়ে আপনার বাচ্চাকে খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। কখনোই ভুলবেন না তিনদিন পর যখন মায়ের বুকের দুধ আসতে শুরু করবে তখন বারবার শিশুকে দুধ খাওয়ানোর অভ্যাস করবেন। 

আপনার শিশু ঠিক মত দুধ পাচ্ছে বা খাচ্ছে এটা আপনার শিশুর দিকে তাকিয়ে থাকলে আপনি বুঝতে পারবেন। কিছু কিছু লক্ষণ আছে তা দেখে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনি শিশু পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ পাচ্ছে কিনা।

দুধ খাওয়ার সময় ঢোক মিলবে
আপনার শিশু যখন পর্যাপ্ত দুধ পাবে তখন সে ঘন ঘন ঢোক গিলতে থাকবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ দুধ যদি শিশু না পায় তাহলে বারবার আপনের স্তন মুখ থেকে সরিয়ে দিবে। আপনার স্তন দীর্ঘ সময় ধরে সে মুখে নিয়ে ঘুমিয়ে যাবে।

ঘন ঘন প্রসাব করবে
আপনার শিশু যখন ঠিকমত বুকের দুধ পাবে তখন দেখবেন আপনি শিশু দিনে চার থেকে পাঁচ বার প্রসাব করবে। তবে এর চেয়ে যদি কম প্রসাব করে তাহলে বুঝবেন আপনি শিশু যথেষ্ট পরিমাণ দুধ পাচ্ছে না। এবং তার সাথে পায়খানার পরিমাণ অনেক বেশি হবে ।মনে রাখবেন একটা সুস্থ শিশু দিনে ২ থেকে ৩ বার পায়খানা করে থাকে। প্রথম দিন কিছুটা কালো আঠালো পায়খানা করে তৃতীয় দিন পর সবুজ কালার তার পরে হলুদ পায়খানা করবে।

শিশু সন্তুষ্ট থাকবে
আপনার শিশু যখন বুকের দুধ ঠিকমতো পাবে তখন বুঝবেন আপনার শিশু সন্তুষ্ট হয়ে আছে এবং খুশি খুশি দেখাবে। যদি শিশু অনবরত কান্না করতে থাকে এবং ক্ষুধার্ত থাকে তখন বুঝবেন আপনি শিশু বুকের দুধ ঠিকমতো পাচ্ছে না। বাচ্চা দিনে দুই থেকে তিন ঘন্টা পর পর দুধ খেতে চাইবে। যদি এক ঘন্টা অথবা তার চেয়ে কম সময়ে দুধ খেতে চায় তবে বুঝতে হবে শিশুটি পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ পাচ্ছে না।

শিশুর ওজন বৃদ্ধি
আপনার শিশু ঠিকমতো খেতে পেলে বিশেষ করে বুকের দুধ ঠিকমত পেলে আপনার শিশুর ওজন দিন দিন বৃদ্ধি পাবে এবং শিশু মোটা তাজা হবে ।প্রথম সপ্তাহ শিশুর ওজন ওঠানামা করাটা স্বাভাবিক। একটা শিশুর জন্মের পরে দ্বিতীয় চতুর্থ দিনে ৫% থেকে ৭% ওজন কমতে পারে তাই বলে ভয় পাবেন না। জন্মের প্রথম কয়েকদিন ওজন কমলেও ১০ দিনের মধ্যে শিশুর ওজন বৃদ্ধি পাওয়া শুরু করে । তবে ওজন যদি কমতে থাকে তাহলে বুঝবেন আপনার শিশু ঠিকমতো বুকের দুধ পাচ্ছে না।

বাচ্চা বুকের দুধ না পেলে কি করব

একটি শিশুর জন্য মায়ের বুকের দুুধের কোন বিকল্প নেই। যতই আপনি গরুর দুধ খাওয়ান বা কৌটার দুধ খাওয়ান মায়ের বুকের দুুধের শক্তির মতো হবে না। যে মাযের বুকের দুধ ঠিকমতো হয় না বা বাচ্চা বুকের দুধ পায় না সে মায়েদের জন্য কিছু কথা নিচে দেওয়া হলো। পড়তে থাকুন-

ঘন ঘন দুধ খাওয়ানো।
বাচ্চা ভৃমিষ্ঠ হওয়ার পর বাচ্চা কে মায়ের বুকের দুধঘন ঘন খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। এবং শিশু যখন খাওয়া ছেরে দিবে তখক তার মুখ থেকে দুধ টেনে নিবেন। একটা শিশু যখন মায়ের বুকের দুধ পান করে তখন মায়ের শরীর থেকে হরমোন নিঃসৃত হতে থাকে। এই হরমোনই দুধ ‍উৎপাদনে প্রভাব ফেলে। যেটা খুব ভালো। 



এটি ঘটে আপনার শিশুকে যখন আপনি বুকের দুধ পান করাচ্ছেন। এইজন্য আপনাকে যত সম্ভব বেশী বেশী করে বাচ্চাকে দুধ পান করাবেন তাহলে দুধ বেশী তৈরী হবে। আপনার শিশুকে দিনে ৯-১২ বার দুধ খাওয়ানো চেষ্টা করবেন।

দুটি স্তন বাচ্চাকে সমান ভাবে খাওয়ানো
আপনার শিশুকে দুধ পান করানোর সময় দুটি স্তননি সমান ভাবে খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। দটো স্তন থেকে সমান করে দুধ পান করালে দুধের উৎপাদন বেড়ে যায়।

তরল খাবার খাওয়া
বুকের দুধ যতেষ্ট পরিমানে না হলে একটি মাকে যতেষ্ট পরিমানে তরল খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।যেমন, জুস, বিভিন্ন ধরনের স্যুপ, এবং বেশী বেশী পানি পান করতে হবে। একটি মায়ের ঠিকমতো তরল খাবার পান করা হচ্ছে কিনা তা শিশুর প্রসাব দেখে বুঝতে পারবেন। বাচ্চার প্রসাবের রং হলুদ বর্ণের হবে। 
আর তরল খাবার খাওয়া হলে শিশুর প্রসাব সাদা পানির মতো হবে। আর কালোজিরা বা লাউ খেলে মায়ের বুকের দুধ বেড়ে যায়। এই জন্য একটি নবজাতকের মাকে লাউ কালোজিরা দিনে তিন বেলা খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে।

বিশ্রামের প্রয়োজন
একটি নবজাতকের মায়ের যদি ঠিকমতো বিশ্রাম না হয় তাহলে বুকের দুধ কমতে থাকে। একটি মা যেন ৯-১০ ঘন্টা ঘুমাতে পারে সেদিকে বাড়ির অন্য লোকদের খেয়াল রাখতে হবে।

কিছু প্রয়োজনীয় খাবার
একটি মায়ের ‍বুকের দুধ উৎপাদন কম হলে কিছু প্রয়োজনীয় খাবার খাওয়ালে দুধ অবশ্যই বাড়তে থাকবে। যেমন, মুরগির ডিম, টাটকা শাকসবজি, মসুর ডাল, মেথি, ওটমিল, মৌরি, মৌসুমি ফল, লাউ, কালোজিরা, পেপে, মাছ, মাংস, ইত্যাদি খাবার খাওয়ালে বুকের দুধের উৎপাদন বেশী হয়।

কি কারনে বুকের দুধ কমে যায়

যেসব কারনে মায়ের বুকের দুধ কমে যায় তা নিচে দেওয়া হলো-
  • বাচ্চাকে দেরিতে বুকের দুধ খাওয়ালে বা খাওয়ানো শুরু করলে।
  • জন্ম নিরোধক বড়ি সেবন করলেও মায়ের বুকের দুধ অনেক কমে যায়। এজন্য বাচ্চার জন্মের পর অনন্ত ৬ মাস পর এসব বড়ি সেবন শুরু করা উচিত এবং শুধু মিনি পিল সেবন করা উচিত। অন্যান্য বরি সেবন করলে বুকের দুধ দিনে দিনে শুকিয়ে যাবে।
  • মা যদি কোন কারনে টেনশনে থাকে বা ক্লান্ত থাকে তাহলে মায়ের বুকের দুধ শুকিয়ে যায়। এজন্য মাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নেওয়া উচিত।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না পান করলে মায়ের বুকের দুধ শুকিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এছারাও পেশাবের জ্বালাপোড়া সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার না খেলে বুকের দুধ শুকিয়ে যায়।
  • বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিবায়েটিক ঔষধ সেব করলেও মায়ের বুকের দুধ উৎপাদন কমে যায়।
  • বাচ্চাকে সঠিক সময়ে দুধ খাওয়াতে না পারলেও মায়ের বুকের দুধ শুকিয়ে যায়। এই জন্য বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর আগেই অন্য কিছু খাবার খাওয়ালে বাচ্চার ক্ষুধা কমে যায়। তাতে সময় মেতো বাচ্চা দুধ খেতে চায় না।

বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায়

যেসব মায়েদের বুকের দুধ ঠিকমতো হয় না তাদের বুকের দুধ বাড়ানোর কিছু ঘরোয়া উপায় জানানো হলো। এই নিয়ম গুলো ফলো করুন তাহলে বুকের দুধ বাড়বে পড়তে থাকুন-

কালোজিরা এবং মেথি
বুকের দুধ বাড়ানোর সবচেয়ে সহজ ‍উপায় হলো কালোজিরা এবং মেথি। কালোজিরার ভেজে ভর্তা করে বা তরকারিতে দিয়ে খেতে পারেন এবং মেথি একগ্লাস পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন সকালে উঠে পান করুন। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন, এবং ভিটামিন যা বুকের দুধ বাড়াতে সাহায্য করে।

গরম দুধ এবং জিরা
এক গ্লাস গরম দুধের সাথে একচা চামুচ জিরা গুরা মিশিয়ে নিন। এই উপাদনা প্রতি রাতে একগ্লাস করে পান করুন । তাহলে বুকের দুধ বৃদ্ধি পাবে এবং শরীরের আয়রনের ঘাটতি পূরন করবে।

পার্যাপ্ত পানি পান করুন
প্রত্যেকদিন আপনার শরীরের প্রয়োজন মতো পানি পান করুন।প্রতিদিন আপনাকে ৯-১২ গ্লাস পানি পান করুন। তাহলে আপনার বুকের দুধ বাড়তে থাকবে।

গরম দুধ এবং দারুচিনি
একগ্লাস গরম দুধের সাথে এক চামুচ দারুচিনি মিশিয়ে নিন তাতে স্বাদের জন্য একচামুচ মধু মেশাতে পারেন। এভাবে নিয়মিত পান করুন তাহলে বুকের দুধ বাড়তে থাকবে।

কাচা রসুন
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে রসুনের ৩-৪ টি কোয়া খেলে বুকের ‍দুধ বাড়াতে সাহয্য করে।

লাউ এবং পেঁপে
লাউ এবং পেঁপের ঝোল তরকারি করে রান্না করে খেলে দুধ বৃদ্ধি হতে থাকে। এছারাও এই সবজি পেট ঠান্ডা করে এবং খাওয়ার পরে গ্যাস ও হয় না।

নির্দিষ্ট সময়ে দুধ খাওয়ান
বাচ্চাকে প্রত্যেকদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে দুধ খাওয়ানোর অভ্যেস করুন। এবং দুটো স্তনই সমান ভাবে খাওয়ান তাহলে দুধ বৃদ্ধি হবে।

তুলসি পাতা
তুলসি পাতা নবজাতকের মায়ের বুকের দুধ উৎপাদনের সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের অসুখের হাত থেকে রক্ষা করে। এই তুলিসি পাতা খাওয়ার ফলে মায়ের খাওয়ার রুচি বেরে দেয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করে। তুলসি পাতা চা বা সুপের সাথে খেতে পারেন।

কোন মাছ খেলে বুকের দুধ বাড়ে

একজন নবজাতকের মায়ের শরীরের পর্যাপ্ত পুষ্টির জন্য প্রায় সব মাছ খেতে পারবে। তবে এসময় যেহেতু বাচ্চার জন্য বুকের দুধ বাড়ানো টা অত্যবশ্যক সেহেতু আপনি শিং মাছটা খেতে পারেন। শিং মাছ খেলে মায়ের বুকের দুধ ক্রমশ বাড়তে থাকে। তবে এসময় এলার্জি জাতীয় মাছ গুলো না খাওয়াটাই ভালো যেমন, ইলিশ মাছ, চিংড়ি মাছ, এবং মৃগেল মাছ থেকে দুরে থাকবেন।

শেষ কথা

ডেলিভারির দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে যদি বাচ্চা ঠিক মতো দুধ না পায় বা পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ না পায় তাহলে আপনারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। তবে প্রায় সময় দেখা যায় উপরের নিয়ম গুলো পালন করলে এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। এ সময় শিশু দের কৌটার দুধ খাওয়ানো ঠিক হবে না।

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দুধ না হয় তাহলে সেক্ষেত্রে কৌটার দুধ খাওয়ানো যাবে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে। আমাদের পোষ্টটি পরে ভালো লেগে থাকলে পরিচিদের মধ্যে সেয়ার করবেন। তারা ও পরে উপকৃত হবে।

নবজাতক মায়ের বুকের দুধের কিছু সাধারন প্রশ্ন ও উত্তর জেনে নিন

* কি ভাবে বুঝবেন মায়ের বুকের দুধ পর্যাপ্ত আছে?
বাচ্চা দুধ খাওয়ার সময় শান্ত থাকবে এবং জোরে জোরে ঢুক গিলবে।

* দুই মাসের বাচ্চার কত আউন্স খাওয়া উচিত?
প্রতি ৩-৪ ঘন্টায় ৪-৫ আউন্স খাওয়া উচিত।

* ৩ মাসের বাচ্চাকে প্রতিদিন কত আউন্স বুকের দুধ খাওয়ানো যায়?
প্রতিদিন প্রায় ২৪-৩২ আউন্স বুকের দুধ খাওয়াতে পারবেন।

* কি কি খাবার খেলে বুকের দুধ বৃদ্ধি পায়?
মুরগীর মাংস, মুরগীর স্যুপ, সবজি, ডাল, কালোজিরা, লাউ, মেথি, সিং মাছ, রুপচাদা মাছ, লাইটা মাছ ইত্যাদি খেলে বুকের দুধ বৃদ্ধি পায়।

* কোন জুস খেলে বুকের দুধ বৃদ্ধি পায়?
মায়েদের কে দুপুরে খাওয়ার আগে গাজরের একগ্লাস জুস খেলে বুকের দুধ বেড়ে যায়।

* বাচ্চা হওয়ার কতদিন পরে বুকের দুধ আসে?
গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক থেকে সাধারণত স্তনে দুধ উৎপাদন শুরু হয়।

* ১০ মিনিট বুকের দুধ খেলে বাচ্চা কতটুকু দুধ পায়?
একটি দুধ খাওয়ানোর সময় (১০থেকে ১২ মিনিট) একটি শিশু একটি স্তন থেকে যে পরিমাণ দুধ পান করে তার পরিমাণ গড়ে প্রায় ৩০ মিলি থেকে ১৩৫ মিলি এবং গড় পরিমাণ প্রায় ৭৫ মিলি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

msta2z.comব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url