ব্রয়লার মুরগি খাওয়ার ভয়াবহতা - ব্রয়লার মুরগি খাওয়া নিষেধ কেন | Msta2z

ব্রয়লার মুরগি খাওয়ার ভয়াবহতা - ব্রয়লার মুরগি খাওয়া নিষেধ কেন

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা। ব্রয়লার মুরগি প্রায় সকলের প্রিয়। বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের কাছে খুবই প্রিয়। কিন্তু বন্ধুরা ব্রয়লার মুরগি খেতে ভালো লাগলেও ব্রয়লার মুরগি খাওয়ার ভয়াবহতা কিছু দিক আছে। ব্রয়লার মুরগীকে যে সব খাদ্য দেয়া হয় তা সব ভিটমিন যুক্ত খাবার । যার ফলে ব্রয়লার মুরগী ১-২ মাসের মধ্যে খাওয়ার উপযোগী হয়ে উঠে।
ব্রয়লার মুরগী খাওয়ার ভয়াবহতা

ব্রয়লার মুরগীকে যে সকল খাবার খাইয়ে বড় করা হয় সেই খাবার খেয়ে ব্রয়লার মুরগি দ্রুত বেড়ে উঠে। এই দ্রুত বেড়ে উঠা মুরগী খেয়ে মানুষের শরীরের পক্ষে খুবই ক্ষতির কারন হয়ে দাড়ায়।

ভৃমিকা

ব্রয়লার মুরগী হলো এমন এক ধরনের যার মাংস খুবই নরম এবং সুস্বাদু। এই মুরগী গুলো ৩০-৪০ দিনের মধ্যে বড় হয়। এই মুরগী গুলো ডিম দেয় না মুলত মাংস খাওয়ার জন্য বড় করা হয়। এক থেকে দেড় কেজি ওজন হলে বাজারে বিক্রি করে দেয়া হয়। এই ব্রয়লার জাতের মুরগী খাওয়া টা যে শরীরের পক্ষে কতটা ভয়াবহতা তা আমাদের জানা প্রয়োজন। চলুন জেনে নিই-

ব্রয়লার মুরগী খাওয়ার ভয়াবহতা

ব্রয়লার মুরগীতে কিছু ব্যাকটেরিয়া আছে যা মানব দেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর।এই মুরগির মাং খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে। নিচে ব্রয়লার মুরগী খাওয়ার ভয়বহতা আলোচনা করা হলো-
  • চিকিৎসকের মতে, অতিরোক্ত ব্রয়লার মুরগীর মাংস খাওয়ার ফলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। এবং ক্যান্সার রোগ হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
  • ব্রয়লার মুরগির মাংসে প্রচুর পরিমানে ব্যাকটেরিয়া থাকে কাচা অবস্থায়। দোকানে মুরগী একসাথে থাকে যার জন্য এক মুরগীর গায়ের ব্যাকটেরিয়া আরেকটি মুরগীর শরীরে প্রবেশ করে। দোকানে মুরগী যখন কাটা হয় তখন জীবিত মুরগীর গায়ের ব্যাকটেরিয়া গুলো কাটা মাংসের মধ্যে চলে যায়। আর এই জীবানু যদি আপনার শরীরে প্রবেশ করে তাহলে তো রোগ ১০০% হবেই।
  • ব্রয়লার মুরগীর গায়ে অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশান দেওয়া হয়। মুরগী দ্রুত বড় করার জন্য এই ইনজেকশান দেওয়া হয়। এমন ধরনের মুরগী বেশী খেলে আমাদের শরীরেও আন্টি বায়েটেক এর রিয়েকশান পার হবে ।
  • ব্রয়লার মুরগীকে ৪-৬ সপ্তাহের মধ্য মোটাসোটা করা হয়।তার জন্য সিনথেটিক হরমোন দেওয়া হয়। যার ফলে মানুষের প্রজনন ক্ষমতা দিনে দিনে কমে যায় বা ব্যাঘাত ঘটে।
  • ব্রয়লার মাংস ফাইবারের পরিমান অল্প থাকে। আর ক্যালোরী অনেক বেশী থাকে। যার কারনে এই মাংস খাওয়ার ফলে মানুষের শরীরের ওজন বেড়ে যায়।
  • ব্রয়লার মুরগীকে সুস্থ্য রাখার জন্য তাদের গায়ে আর্সেনিক পুস করা হয়। কিন্তু এই আর্সেনিক পদার্থ মানুষের শরীরের জন্য একে বারেই ঠিক নয়। ক্যান্সার, নিউরোলজিক্যাল, ডায়াবেটিস রোগ হতে পারে।
  • ব্রয়লার চিকেন রান্না করার সময়ে তাপমাত্রা খুবই বেশি দিতে হয়। যা কারসিনোজেনিক নামে এক পদার্থ তৈরি করে। এই পদার্থ মানব শরীরে ক্যান্সারের জন্ম দিতে পারে।
  • নিজে সুস্থ্য থাকুন এবং আপনার পরিবারকে সুস্থ্য রাখুন। আর আমার পোষ্ট টি পরে ভালো লেগে থাকলে অন্যদের মাঝে সেয়র করে দেন। তাহলে অন্যরাও পরে উপকৃত হবে।

পোল্ট্রি মুরগি খাওয়া নিষেধ কেন

বয়লার মুরগির মাংস খেলে কি হয়। আজকাল সবাই খায় এ খাবারটি আমরা সহজে এবং কম দামে মার্কেটে কিনে থাকি। কিন্তু আমরা এটা জানি না মুরগির মাংস খাওয়া ভালো না খারাপ।

বয়লার মুরগির সাধারণত আমেরিকার মানুষেরা খেয়ে থাকে। কিন্তু এই খাবারে একটি খারাপ দিক আছে। খাদ্যে বিষক্রিয়া এবং অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধে ঝুঁকি রয়েছে।

খাদ্য বিষাক্ত করেঃ গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে যে, বয়লার মাংসে বিষাক্ত ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়। যেমন কাম্ফিলবাক্তার এবং ছাল্মনেলা। এই ব্যাকটেরিয়া গুলো ডায়রিয়া এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ কমায়।

অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায়ঃ ব্রয়লার মুরগির স্বাস্থ্য এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই খারাপ থাকে। কারণ তাদের প্রজনন করা হয়। এইজন্য বলছি খামারিরা তাদের অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে লোড করে। এটি ব্যাকটেরিয়ার অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী প্রজাতির জন্ম ‍দিয়েছে।

বিপদজনক হরমোন বৃদ্ধি করেঃ এই বয়লার মুরগিকে ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে কেনা বেচা করা হয়। মালিক তাড়াতাড়ি বড় করার ইঞ্জেকশন ব্যবহার করে। তার জন্য ব্রয়লারের শরীরের বিপজ্জনক হরমোন সৃষ্টি হয়। আমরা যখন ব্রয়লার মুরগি মাংস খাই তখন বিপদজনক হরমোনটা আমাদের শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে। তারপর আমাদের শরীরের হাড্ডিকে অনিষ্ট করে।

অস্বাস্থ্যকর চর্বিঃ নিয়মিত বয়লার মুরগির মাংস খাওয়া মানে সিগারেট খাওয়ার মত ক্ষতিকর। ব্রয়লার মুরগির মাংস খাওয়ায় শরীরের অনেক রোগের সৃষ্টি করতে পারে। যেমন ওজন, উচ্চ রক্তচাপ, হাড়ের সমস্যা, ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।

ব্রয়লার মুরগিকে মোটা করার জন্য ইনজেকশন দেওয়া হয়। যাতে মাংসের উৎপাদন বাড়ে এবং ওজন বৃদ্ধি পায়।এগুলি খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। যার ফলে ওজন বৃদ্ধি, পুরুষ হীনতা সমস্যা হতে পারে।

ব্রয়লার মুরগীর মাংসের উপকারিতা 

আমরা সপ্তাহে দুই একবার প্রায় মুরগির মাংস সকলেই খেয়ে থাকি। কিন্তু আপনারা কি জানেন, এই বয়লার মুরগিতে রয়েছে অনেক উপকারী উপাদান। যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য অনেক ভালো কাজ করে। চলুন দেরি না করে জেনে আসা যাক বয়লার মুরগির উপকারিতা গুলো কি কি।

প্রোটিনের ভরপুরঃ মুরগির মাংসের প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে। যা পেশিকে শক্তিশালী করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। চর্বিযুক্ত প্রোটিন হওয়ায় এটি ওজন কমানোর ভালো উৎস। পেট ভরা রেখেও দীর্ঘদিন ওজন কমিয়ে রাখতে চাইলে খেতে পারেন।

বিষণ্নতা দুর করেঃ মুরগির মাংসের উচ্চমাত্রায় ট্রাইফটোফান নামক আমিনো এসিড থাকে। ফলে এক বাটি চিকেন সুপ স্বস্তি এনে দিতে পারে।বিষণ্নবোধ হলে কয়েকটি চিকেন উইংস খাওয়া যেতে পারে। যা মস্তিষ্কে সেরেটোনিনের মাত্রা বাড়িয়ে চাপমুক্ত থাকতে সাহায্য করে।

হারের ক্ষয় প্রতিরোধ করেঃ বয়স্কদের আর্থাইটিস ও হার সংক্রান্ত অন্য রোগের আশঙ্কা বেশি থাকে। কিন্তু ভয়ের কিছু নেই প্রতিদিন মুরগির মাংস খাবার তালিকায় রাখলে এর প্রোটিন হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করবে।

হার্টের জন্য ভালোঃ মুরগির মাংস হোমোকিস্টাইনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে হাড়ের বিভিন্ন ধরনের কার্ডিওভাস্কুলার রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে। হোমোকিস্টাইন একটি অ্যামিনো এসিড। উচ্চমাত্রায় এটি হার্টের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

হজমের সাহায্য করেঃ মুরগির মাংসেরভিটামিন বি-৬ শরীরের বিপাকের মাত্রা উন্নত করে। শরীরে চর্বি না বাড়িয়ে খাবার হজম করতে পারে। রক্তনালী ঠিক রাখতেও এটি কাজ করে।

চোখ ভালো রাখেঃ অন্য খাবার গুলোর মত মুরগির মাংস ও চোখের সুরক্ষায় কাজ করে। মুরগির মাংসের রেটিনল, আলফা ও বিটা ক্যারোটিন, লাইকোপেন থাকে। যার সবগুলোই ভিটামিন এতে পাওয়া যায়। চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এগুলো জরুরি উপাদান।

নিয়াসিন সমৃদ্ধঃ শরীরকে ক্যান্সার মুক্ত রাখতে নিয়াসিন একটি প্রয়োজনীয় ভিটামিন। মুরগির মাংসে প্রচুর পরিমাণে নিয়াসিন থাকে। যা বিভিন্ন রকমের ক্যান্সার ও ত্রুটিপূর্ণ ডি এন এ দ্বারা যেসব জিনগত সমস্যা তৈরি হয় তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করে তোলে।

ফসফরাসের প্রাচুর্যঃ মুরগরি মাংস ফসফরাস সমৃদ্ধ হওয়ায় দাঁতও হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এছাড়া ফসফরাস কিডনি লিভার ও স্নায়ুতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

ব্রয়লার মুরগীর মাংস কতটুকু খাওয়া যাবে

মুরগীর মাংস আমাদের খাদ্য অভ্যাসে আজকাল ডাল ভাতের মতোই সাধারণ। ব্রয়লার মাংস প্রোটিনের একটি আদর্শ উৎস। মুরগির মাংসের দাম তুলনামূলক ভাবে অনেক কম। এবং নানা পদে রান্না করা যায় এই মুরগির মাংস কে। ঘরে বাইরে মিলিয়ে সিংহভাগ মানুষের সপ্তাহে একাধিকবার মুরগির মাংস খায়।

তাই মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, শরীরের উপর এর প্রভাব কি, বা কতটুকু ব্রয়লার মাংস খাওয়া যেতে পারে। মুরগির মাংস অবশ্যই ছোট বড় সকলেই পছন্দ করে তবে তা যদি কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে রান্না করা হয়। তবে ‘বেইকড’, ‘গ্রিলড’ ও সৌতে করা মুরগির মাংস যেমন স্বাস্থ্যকর, অপরদিকে ডুবু তেলে লম্বা সময় ভাজা লবণ মেশানো মুরগির মাংস তেমনটাই অস্বাস্থ্যকর।


তাই বলে ফ্রাইট চিকেন যে একেবারেই বাদ দিতে হবে তা বলবো না। তবে তা যদি কম খাওয়া যায় ততই ভালো। মুরগির মাংস খাওয়ার জন্য প্রস্তুত করার প্রক্রিয়ায় যদি তাতে বাড়তি চর্বি, লবণ, কিংবা চিনি যুক্ত না হয় তবে এই মানুষের আছে উপকারিতা। ব্রয়লার মাংস অতিরোক্ত খাওয়া থেকে দুরে থাকাটাই ভালো।

ব্রয়লার মুরগীর মাংস বাচ্চাদের খাওয়ানো যাবে

বাচ্চাদের শরীরে প্রটিনের চাহিদা পূরন করতে আপনি নিঃচিন্তে ব্রয়লার মাংস খাওয়াতে পারেন। মুরগির মাংস প্রোটিনের একটি ভালো উৎস যা দেহের প্রাথমিক ব্লিডিং ব্লক। মুরগির স্বল্প ফ্যাট যুক্ত উপাদান গুলি আপনার ডায়েটে যুক্ত করার জন্য একটি একটি স্বাস্থ্যকর মাংস। তবে আপনার নিজের ছোট্টমুনির প্লেটে মুরগি যুক্ত করার আগে আপনাকে বুঝতে হবে যে, সে এর জন্য প্রস্তুত কিনা এবং তার শরীর একটি হজম করতে পারবে কিনা।


আপনার শিশু 6 মাস বয়সে পরিণত হওয়ার পরে এবং শক্ত খাবার খাওয়া শুরু করার পরে মুরগির মাংস খাওয়া শুরু করতে পারে। আপনার শিশুর সাথে মুরগির মাংসের পরিচয় করিয়ে ধীরে ধীরে আপনি মুরগির মাংসের পিউরি তৈরি করতে পারেন এবং তাকে প্রতিদিন দুই টেবিল চামচের বেশি দিতে পারবেন না। নিঃসন্দেহে চিকেন হলো একটি পুষ্টিকর উপাদান যা আপনার শিশুর উপকার করতে পারে। ব্রয়লার মুরগীর মাংস বাচ্চাদের খাওয়াবেন কিন্তু পরিমানে অল্প করে।

ব্রয়লার মুরগীর পা খাওয়া যাবে কি

বন্ধুরা মুরগীর পা খেলে কি হয় জানেন কি। মাছ এবং মাংসের পাশাপাশি মুরগীর পায়ের খরিদ্দার দিন দিন বেরেই চলেছে বাজারে। একটা সময় ছিল যে মুরগীর পা মানুষ খেতে না বা খেতে জানত না। আর এখন মানুষ যখন জানল মুরগীর পায়ে অনেক গুন আছে তখন মানুষ ভির জমে দিল দোকানে। মুরগীর পায়ে যে গুন আছে আপনি জানলে অবাক হবেন। নিচে ব্রয়লার মুরগীর পায়ের উপকারিতা গুলো বিস্তারিত দেওয়া হলো-
  • ব্রয়লার মুরগীর পায়ে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম। এই ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরকে রোগ মুক্ত হতে সাহয্য করে।
  • দাতের ক্ষয়রোধ, দাঁতে ব্যাথা, এবং হারের ক্ষয়রোধ করতে সাহয্য করে এই ব্রয়লার মুরগীর পা।
  • ব্রয়লার মুরগীর পায়ে ভিটামিন এ ও ই থাকে। যা শরীরের নানা রকম উপকার করে থাকে। যেমন, ত্বককে লাবণ্য ময় করে তুলতে সাহায্য করে। ত্বকের অনেক সমস্য যেমন, ব্রণ, ফুসকুরি ইত্যাদি সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে।
  • ব্রয়লার মুরগীর পা সপ্তাহে ২-৩ দিন খেলে রোগা মানুষ মোটা করতে সাহায্য করে। শারিরিক দুর্বলতা দুর করতে সাহায্য করে।
  • যৌনক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে ও সাহায্য করে।
  • যাদের হাটুতে ব্যাথা, কোমরে ব্যাথা বা শরীরে ব্যাথা হয় তাদের জন্য মুরগীর পা খুবই প্রয়োজনীয় খাবার।
  • যারা প্রচুর পরিশ্রম করে থাকে তাদের জন্য মুরগীর পা খাওয়া খুবই জরুরি। কারন মুরগীর পায়ে থাকে যতেষ্ট ক্যালোরী। ‍
যদি আপনি ও শরীরের বিভিন্ন উপকার পেতে চান তাহলে আজ থেকে মুরগীর পা খাওয়া শুরু করুন।

ব্রয়লার মুরগীর হাড় খাওয়া যাবে কি

মুরগি যদি নিজের পায়ে শরীরের ভর দিয়ে হাঁটতে না পারে তবে বুঝতে হবে সে হারে আমাদের কোন লাভ হবে না। বা সে হার খেয়ে আমাদের শরীরে কোনপুষ্টি হবে না বরং ক্ষতি হবে। ব্রয়লার মুরগিকে যদি আলাদাভাবে ভিটামিন ডি খাওয়ানো হয় সে ক্ষেত্রে মুরগির হাড় খেয়ে উপকার পেতে পারি আমরা। অনেক দেশের মুরগির খাবার ভিটামিন ডি, ফাটিফাইড হয় সেসব মুরগির হারে ক্যালসিয়াম পেতে পারেন। 

তবে হাড়ের প্রান্ত বেশি ফোলা ও নরম থাকলে বুঝতে হবে ওটা অপরিমিত হার বা ইনজেকশন ও থাকতে পারে। সেখানে বয়লার মুরগির সৃষ্টি হয়েছে মাংসের জন্য হার খাওয়ার জন্য না। ব্রয়লার মুরগীর হার খেলে ক্ষতি হতে পারে। আর দেশি মুরগি প্রাকৃতিক খাবার ঘাস, পোকামাকড়, খায় বিধায় ক্যালসিয়ামের প্রভাবে তাদের হার খুব শক্ত হয় বা মাংসের চর্বি কম থাকায় শক্ত হয়ে থাকে। এজন্য আপনি দেশি মুরগির হার খেতে পারেন কোন সমস্যা নেই।

লেখকের মন্তব্য

একটি খাবার যতই পুষ্টিকর হোক না কেন তা অতিরিক্ত খেলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবে। আবার মুরগির মাংস স্বাস্থ্যকর বলে তার উপর বেশি জোর দেওয়ার কারণে খাদ্য অভ্যাসে বৈচিত্র কমবে। আর অন্যান্য অনেক পুষ্টির উপাদান থেকে বঞ্চিত হবেন। প্রোটিনের জন্য সামুদ্রিক ধরনের খাবার খারাপ নয়।মুরগীর মাংস খাওয়া খারাপ নয়, তবে শুধু তাতে সীমাবদ্ধ হয়ে যাওয়া মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

msta2z.comব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url