ফিজি ভিসা ফর বাংলাদেশী - ফিজি কাজের বেতন বিস্তারিত জানুন
ফিজি ভিসা ফর বাংলাদেশী - ফিজি কাজের বেতন । আমার প্রিয় বন্ধুরা আপনারা কি ফিজি দেশে যেতে চান এবং ফিজি ভিসা পেতে চান তাহলে আপনাকে জানতে হবে ফিজেতে কোন কাজের চাহিদা বেশি আছে । ভিসা আবেদন করতে কি কি লাগবে। এবং ফিজিতে যেতে কত টাকা লাগবে। এসব নিয়ে বিস্তারিত জানতে পুরো পোষ্টটি মনযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
ফিজি একটি দ্বীপ রাষ্ট্র যা প্রায় ৩০০ দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত। ফিজিতে অনেক বাংলাদেশী শ্রমিক কাজের উদ্দেশ্যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কাজ করতে যায়। ফিজিতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের কাজের চাহিদা অনেক বেশি এবং ভালো বেতন ও সুযোগ-সুবিধা পাওয়া। বিস্তারিত জানতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ থাকলো আপনাদের উপকারের জন্য বন্ধুরা।
ফিজি ভিসা আবেদন নিয়ে কিছু সতর্কতা
প্রিয় বন্ধুরা, আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে ফিজির কোনো দুতাবাস নেই। আর সে কারণে আপনারা যারা ফিজি ভিসা পেতে চান। তারা কোনো ধরনের দালাল কিংবা প্রতারক চক্রের সাথে যোগাযোগ করবেন না। কেননা, এই ধরনের প্রতারক চক্র গুলো আপনাকে অনেক লোভনীয় অফার দেখাবে। তারপর যখন আপনি তাদের সাথে আর্থিক লেনদেন করবেন।
তখন তারা আপনার সমস্ত অর্থ হাতিয়ে নিয়ে গা ঢাকা দিবে। তাই এমন ধরনের প্রতারক চক্রের কাছ থেকে দুরে থাকার চেষ্টা করবেন।ফিজি ভিসা আবেদন নিয়ে কিছু সর্তকতা।
ফিজি ভিসা আবেদন করতে কি কি লাগে
যখন আপনি আমাদের দেশ থেকে অন্য কোনো দেশে যাবেন। তখন আপনার ভিসার আবেদন করতে বেশ কিছু ডকুমেন্টস প্রদান করতে হবে। ঠিক তেমনি ভাবে যদি আপনি ফিজি ভিসার জন্য আবেদন করেন। তাহলে আপনার যেসব ডকুমেন্টস জমা দেওয়ার প্রয়োজন হবে। সেই ডকুমেন্টস এর তালিকা নিচে প্রদান করা হলো।
- কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদী বৈধ পাসপোর্ট।
- এনআইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি।
- এডুকেশনাল এবং কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট।
- নিয়োগকর্তার পাঠানো কাজের আমন্ত্রণপত্র।
- ফিজি ওয়ার্ক পারমিট।
- ফিজি ভিসার আবেদন ফরম।
- আবেদনকারীর হেলথ ইন্সুরেন্স এবং মেডিকেল রিপোর্ট।
- ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর কপি।
- স্টুডেন্ট ভিসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি অফার লেটার।
- ব্যবসা ভিসার জন্য ব্যায়সায়িক পরিকল্পনা ও আমন্ত্রনপত্র।
তো উপরে আপনি যেসব ডকুমেন্টস এর তালিকা দেখতে পাচ্ছেন। মূলত সেই ডকুমেন্টস গুলোর মাধ্যমে আপনি ফিজি ভিসার আবেদন করতে পারবেন।
ফিজি ভিসা চেক করার উপায়
তো যদি আপনি আমাদের দেশ থেকে ফিজি ভিসার জন্য আবেদন করেন। তাহলে পরবর্তী সময়ে আপনি অনলাইন থেকে আপনার ফিজি ভিসা চেক করে নিতে পারবেন। আর যদি আপনি অনলাইন থেকে ফিজি ভিসা চেক করতে চান। তাহলে আপনাকে তাদের সরকারি ওয়েবসাইট এর মধ্যে প্রবেশ করতে হবে।
আর সেজন্য আপনাকে https://www.immigration.gov.fj/ এই ওয়েবসাইট এর মধ্যে প্রবেশ করতে হবে। তারপর ভিসা চেক করার জন্য আপনাকে যেসব তথ্য প্রদান করতে হবে। আপনাকে সেই তথ্য গুলো সঠিক ভাবে প্রদান করতে হবে। তাহলে আপনি অনলাইনে আপনার কাঙ্খিত ফিজি ভিসা চেক করে নিতে পারবেন। ফিজি ভিসা চেক করার উপায়।
ফিজি ভিসা ফর বাংলাদেশী
ফিজি ভ্রমণে বাংলাদেশি নাগরিকদের ট্যুরিস্ট ভিসার প্রয়োজন নেই। ফিজি ভিসা বিনামূল্যে বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য। এই ট্যুরিস্ট ভিসায় থাকার সময়কাল সাধারণত ৪ মাস এবং ভিসার মেয়াদ 90 দিনের মধ্যে শেষ হয়। ফিজি ভিসার জন্য বিনামূল্যে আবেদন করার সময় আবেদনকারীকে উপস্থিত থাকতে হবে না।
ফিজি ভিসা বিনামূল্যে আবেদন করার জন্য মোট ৩টি নথির প্রয়োজন। আপনি ফিজি ভিসা ছাড় পেতে পারেন।ফিজিতে বিভিন্ন কাজের ভিসায় যাওয়া যায় এবং বর্তমানে অনেক বাংলাদেশি শ্রমিক ফিজিতে কাজ করছে। ফিজিতে প্রধান কাজ হল জেলে বা মাছ ধরা কিন্তু এছাড়াও ইলেকট্রিশিয়ান, কৃষি, গার্মেন্টস, মেকানিক্যাল, ওয়েল্ডার, কনস্ট্রাকশন ইত্যাদি কাজের চাহিদা রয়েছে।
তাই এসব কাজের ভিসা সহজে পাওয়া যায়।ফিজিতে ২ ধরনের কাজের ভিসা পাওয়া যায় যার একটি হলো ১ বছর বা স্বল্প মেয়াদী কাজের ভিসা এবং অন্যটি হলো ৩ বছর বা দীর্ঘ মেয়াদি কাজের ভিসা।আপনি যেকোনো একটি কাজের ভিসা সিলেক্ট করে বাংলাদেশ থেকে ফিজিতে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে পারবেন।
ফিজিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি
ফিজিতে অনেক ধরনের কাজের সুযোগ থাকলেও লেবার, ওয়েল্ডার, কার্পেন্টার, গার্মেন্টস, কৃষি, ইলেকট্রনিক্স, ড্রাইভিং, ক্লিনার ইত্যাদি কাজের চাহিদা অনেক বেশি। প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে অনেক শ্রমিক ফিজিতে কাজের উদ্দেশ্যে যায় এবং বর্তমানে প্রায় ৫ হাজার এর মতো দক্ষ বাংলাদেশি শ্রমিক ফিজিতে কাজ করছে।
ফিজিতে যেসব কাজের চাহিদা বেশি সেগুলো হলো:
- কৃষি
- ওয়েল্ডিং
- মেকানিক্যাল
- গার্মেন্টস
- ড্রাইভিং
- ইলেকট্রনিক্স
- কনস্ট্রাকশন
- ক্লিনিং
- পেইন্টিং
- হোটেল বয়।ইত্যাদি।
উপরোক্ত কাজগুলো চাহিদা ফিজিতে অনেক বেশি এবং বাংলাদেশ থেকে অধিকাংশ শ্রমিক এ সকল কাজ করার জন্যই ফিজিতে যেয়ে থাকে।
ফিজি কাজের বেতন কত
- ফিজিতে সর্বনিম্ন বেতন ঘন্টা প্রতি ৪ ফিজিয়ান ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে জানুয়ারী ২০২২ থেকে। সুতরাং মাসে নুন্যতম ৮০০ থেকে ১০০০ ফিজিয়ান ডলার আয় করা সম্ভব যা বাংলাদেশি টাকায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা প্রায়।
- ফিজিতে বিভিন্ন কাজে কর্মরত কর্মীরা প্রতি মাসে প্রায় ৩০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৪০/৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পেয়ে থাকে।
- কাজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে ফিজিতে শ্রমিকদের বেতন কম বেশি হয়ে থাকে।
- ফিজিতে সর্বনিম্ন বেতন একজন গার্মেন্টস কর্মী এবং ক্লিনারের যা ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা, শ্রমিক, কনস্ট্রাকশন, কৃষি, ড্রাইভিং ইত্যাদির ক্ষেত্রে বেতন ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিশিয়ান ইত্যাদি কাজের বেতন প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
- তবে বিভিন্ন পেশার উপর নির্ভর করে কাজের মান এবং দক্ষতা যত বৃদ্ধি পাবে কর্মীদের কাজের বেতনও তত বৃদ্ধি পাবে।
ফিজি যেতে মোট কত টাকা লাগে
ফিজিতে আসার কোন ফিক্স খরচ নেই ভাই. যিনি লোক নিয়ে আসার কাজের সাথে জড়িত মোট খরচ অনেক সময় তার উপর নির্ভরশীল. কারণ নিজের আত্মীয় ও দূরের মধ্যে খরচ কম বেশি হওয়া সাধারণ ব্যপার। সুতরাং, কেও যদি বলেন আমি তিন লাখ টাকায় এসেছি আবার কেও যদি বলেন আমি পাঁচ লাখ টাকায় এসেছি তাহলে দুজনই ঠিক।
তবে আসল কথা হচ্ছে এজেন্ট যদি বেশি টাকা দাবি করে আর আপনি যদি দিতে রাজি হয়ে যান তাহলে কারও কিছু করার নেই এটা যেমন ঠিক তেমনি এজেন্টদেরও উচিত খরচ বেতনের, ভিসার মেয়াদ ও অন্যান্য সুবিধা বিবেচনা করে নির্ধারণ করা উচিত যাতে বাংলাদেশী ভাইয়েরা একটু হলেও উন্নতি করতে পারে।
ফিজির ভিসা বের করার ধাপে ধাপে খরচ
ফিজির ভিসা বের করতে হলে নিম্নোক্ত ধাপে ধাপে খরচ হয় যেমন,
১. ভিসার আবেদন খরচ, আনুমানিক পচিঁশ হাজার টাকা।
২. ম্যানপাও্যার খরচ, আনুমানিক বিশ থেকে চল্লিশ হাজার হতে পারে. এটা নির্ধারিত ভাবে বলা কঠিন একটু।
বি:দ্রঃ ম্যানপাওয়ার না হলে এয়ারপোর্ট এ আলাদা খরচ হয়. এখানে আশি থেকে এক লাখের মধ্যে হতে পারে।
৩. যাওয়া ও আসার বিমান টিকেট , এটা এক লাখ পঁচিশ হাজার থেকে পঁয়ত্রিশ হাজার মত।
৪. এজেন্টকে কোম্পানি, ভিসা অফিসে ভিসা আবেদন জমা ও উত্তোলন এ যাতায়াতের খরচ, এটা আনুমানিক বিশ হাজার।
৫. লোক সংগ্রহে কাজে যারা জড়িত তাদের খরচ, এটা আনুমানিক বিশ হাজার থেকে পঁচিশ হাজার।
৬. কাগজ প্রস্তুত করার খরচ ইত্যাদি. এটা দুই থেকে তিন হাজার হতে পারে।
এর বাইরে আরও খরচ হয়ে থাকে অনেক সময় যা সঠিকভাবে বলা কঠিন. তবে যিনি ফিজিতে আসেন তিনি সাধারণত তিন বছরের জন্য আসেন প্রাথমিক ভাবে. এজেন্ট যাদেরকে নিয়ে আসেন তাদেরকে সাধারণত তিন বছরের মৌখিক গ্যারান্টি দিয়েই নিয়ে আসে, সাথে ভিসা রিনিউ হবে এটাও গ্যারান্টি বা দায়বদ্ধতা দিয়েই নিয়ে আসেন এই জন্য মোট খরচ বেশি হওয়া স্বাভাবিক।
ফিজি টাকার মান কত
ফিজি দেশের টাকার নাম ফিজি ডলার বাংলাদেশের মুদ্রার নাম টাকা আর আজকের বাংলাদেশের টাকার রেট হিসাবে ফিজি এক ডলার বাংলাদেশের ৪৮ টাকা ৬০পয়সা প্রিয় বন্ধুরা আপনাদের অনুরোধে নিচের চাটে দেয়া হলো ১ ডলারে আপনি বাংলাদেশী কত টাকা পাবেন-
- ১ ডলার = ৪৮ টাকা ৫৬ পয়সা
- ৫ ডলার = ২৪২ টাকা ৮২ পয়সা
- ১০ ডলার = ৪৮৫ টাকা ৬৫ পয়সা
- ২০ ডলার = ৯৭১ টাকা ৩১ পয়সা
- ৫০ ডলার = ২০৪২৮ টাকা ২৯পয়সা
- ১০০ ডলার = ৪৮৫৬ টাকা ৫৮ পয়সা
- ১০০০ ডলার = ৪-৮৫৬৫ টাকা ৮৪ পয়সা
- ১০ হাজার ডলার = ৪৮৫৬৫৮ টাকা ৪৫পয়সা
ফিজি দেশের ধর্ম
ফিজিতে মুসলমান ধর্ম
ফিজিতে ইসলামের একটি উচ্চ অনুসারী রয়েছে। ফিজিতে প্রায় ৬০,০০০ মুসলিম রয়েছে। ফিজির মুসলমানরা বেশিরভাগই । ১৯৬৬ সালের ফিজি নির্বাচনে, সুভা-ভিত্তিক মুসলিম দল, মুসলিম রাজনৈতিক ফ্রন্ট, অংশ নেয়। বর্তমানে, সারা ফিজি জুড়ে ফিজিয়ান মুসলমানদের জন্য মুসলিম স্কুলে আরবি ব্যাপকভাবে পড়ানো হয়।
১৯ শতকের গোড়ার দিকে, মুসলমানরা দক্ষিণ এশিয়া থেকে ফিজিতে চলে আসে। ফিজি মুসলিম লীগ (এফএমএল) ১৯২৬ সালে গঠিত হয়। এফএমএল ইসলামের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ছিল কারণ তারা দেশে মুসলিম স্কুল চালু করে ফিজির স্কুলিং সিস্টেমে অবদান রাখে। ১৯২৯ সালে, ফিজি মুসলিম লীগ ফিজি আইন পরিষদে মুসলমানদের জন্য পৃথক প্রতিনিধিত্ব অর্জনের চেষ্টা করে।
ফিজিতে হিন্দু ধর্ম
ফিজিতে প্রায় ২,৭০,০০০ জন হিন্দু বাস করে, যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৭.৯%। ফিজির 1976 সালের আদমশুমারিতে, এর জনসংখ্যার 45% হিন্দু বলে দাবি করেছে।1980-এর দশকের শেষ থেকে 2000-এর দশকের গোড়ার দিকে, ফিজি বেশ কয়েকটি অভ্যুত্থান এবং উল্লেখযোগ্য সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা প্রত্যক্ষ করেছিল, যেখানে কিছু হিন্দু নিপীড়নের সম্মুখীন হয়েছিল। ফিজির অনেক হিন্দু অন্য দেশে চলে যায়
ফিজিতে কয়টি ধর্ম আছে
ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়ন ডাটাবেস অনুসারে, ২০২০ সালে, খ্রিস্টানরা জনসংখ্যার ৬৩.৯১% (প্রধানত প্রোটেস্ট্যান্ট), ২৭.৭৪% হিন্দু এবং ৬.২% মুসলমান; ১ শতাংশের কোনো ধর্ম নেই ।
ফিজি দেশ কেমন
ফিজি (ফিজীয় ভাষায়: Matanitu ko Viti মাতানিতু কো ভিতি, ফিজি হিন্দি ভাষা: , ইংরেজি ভাষায়: Fiji) দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত একটি স্বাধীন দ্বীপরাষ্ট্র। এর সরকারি নাম প্রজাতন্ত্রী ফিজি দ্বীপপুঞ্জ (ফিজীয়: Matanitu Tu-Vaka-i-koya ko Viti মাতানিতু তুভাকাইকোয়া কো ভ়িতি, হিন্দি: ফ়িজি রিপাব্লিক্, ইংরেজি: Republic of the Fiji Islands রিপাব্লিক্ অভ়্ দ্য ফ়িজি আইল্যান্ড্জ়্)। এটি অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রায় ৩,১০০ কিমি উত্তর-পূর্বে এবং হাওয়াইয়ের ৫,০০০ কি.মি. দক্ষিণে।
ফিজির আবহাওয়া
আমার কাছে বাংলাদেশের মতই মনে হয়. সৌদি আরব, দুবাই , কাতার কিংবা অন্য দেশের মত গরম এক দমই না. চারিদিকে সাগর বেষ্টিত। তাই এই দেশে বসবাস করে আপনার আবহাওয়ার কারণে ভালো লাগারই কথা। তাছাড়া প্রধান সড়কগুলো প্রায়ই সাগরের ধার দিয়েই করা দেখতে মোটামুটি ভালই সুন্দর।
সাইটে কাজের পরিবেশ
যে সব ভাইয়েরা অন্য দেশ যেমন সৌদি আরব, দুবাই, কাতার, বাহরাইন ,ওমান, সিঙ্গাপুরে কাজ করেন তাদের ভাষ্যমতে সেই সব দেশে আপনি যেই ট্রেডে কাজ জানেন কিংবা আপনার যে ভিসা ট্রেড আপনাকে শুধুমাত্র সেই ট্রেডেই কাজ করিয়ে নেয় কম্পানি। এই দিক থেকে ফিজি একটু আলাদা। এখানে আপনি যেই ট্রেডেই আসুন না কেন প্রায়ই সময় অন্য ট্রেডেও কাজ করতে হতে পারে। এই দেশের কাজের সিস্টেমটাই এরকম।
ফিজি থেকে অস্ট্রেলিয়া দূরত্ব
ফিজি একটি দ্বীপ রাষ্ট্র যা অস্ট্রেলিয়ার প্রতিবেশী। ফিজি অস্ট্রেলিয়ার পূর্বে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত। এটি 300 টিরও বেশি দ্বীপ নিয়ে গঠিত, সবচেয়ে বড় হল ভিটি লেভু। ফিজির দ্বীপপুঞ্জের প্রায় 100 টি দ্বীপে মানুষ বাস করে। ফিজি থেকে অস্ট্রেলিয়া দূরত্ব 1980 মাইল।
ফিজি কি প্রথম বিশ্বের দেশ
ফিজিকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বর্ণনা করা হয় এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপের অর্থনীতির অন্যতম উন্নত, যদিও এটি একটি বৃহৎ জীবিকা নির্বাহকারী কৃষি খাতের উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে রয়ে গেছে ।
ফিজিতে যাওয়ার জন্য যা আপনাকে জানতে হবে
১/ ফিজিতে যেতে কি কি খরচ কর্মীর বহন করতে হয় এবং কত টাকা খরচ হয়?
উত্তরঃ যাওয়ার বিমান ভাড়া, মেডিকেল, বিএমইটি হতে ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স এর ফি, এজেন্ট এর লাভ সহ আনুমানিক ২,০,০০০-২,৫০,০০০ টাকা খরচ হয়। বিমানের ভাড়া কম বেশি হলে এই খরচের পরিমাণও কম বেশি হতে পারে। তবে কোন মতেই ২,৭৫,০০০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়।
২/ বাংলাদেশে কি টাকা পাঠানো যায়?
উত্তরঃ বৈধভাবে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন, মানিগ্রাম দিয়ে টাকা পাঠানো যায়। অবৈধভাবে টাকা পাঠালে এবং যদি ঐদেশের সরকার তা জানতে পারে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
৩/ বিদেশি কমীর্দের জন্য কি প্রভিডেন্ট ফান্ড বাধ্যতামূলক?
উত্তরঃ বাধ্যতামূলক না। কোম্পানী চাইলে এই ধরণের ফান্ডের ব্যবস্থা করতে পারে।
ভূয়া এজেন্ট বা দালাল থেকে সাবধান
- দালাল বা এজেন্টদের মিথ্যা আশ্বাসে বিশ্বাস করবেন না।
- ফিজি থেকে কোন ভাবেই অস্ট্রেলিয়া বা নিউজিল্যান্ডে যাওয়া সম্ভব নয়। কেউ যদি আপনাকে আশ্বাস দেয়, ফিজি থেকে অন্য কোন দেশে নিয়ে যাবে, বুঝবেন সে মিথ্যা বলছে এবং আপনি প্রতারিত হতে পারেন। এই সকল দালাল বা এজেন্ট এর বিরুদ্ধে নিকটস্থ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাতে রিপোর্ট করুন।
- কোন অবস্থাতেই বিএমইটির স্মার্ট কার্ড/ ইমিগ্রেশন কার্ড ব্যতিত ফিজিতে আসবেন না। ইমিগ্রেশন কার্ড ব্যতিত অন্য কোন উপায়ে আসার চেষ্টা করবেন না। অন্যথায় প্রবাসে আপনার কোন সমস্যা হলে, সহায়তা প্রদান বিঘ্নিত হবে।
- পাসপোর্ট এবং ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ শেষ হওযার আগেই তা নবায়ন করুন। বৈধ থাকুন। নিজের ও দেশের সম্মান বজায় রাখুন।
লেখকের মন্তব্য
আপনারা যারা কাজ করার জন্য ফিজি যেতে চাচ্ছেন। সবাই অনলাইনের মাধ্যমে ফিজি যাওয়ার আগে কাজের বেতন সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবেন। কারণ এখন দালাল অথবা এজেন্সির মাধ্যমে সঠিক বেতনের খবর জানা যায় না। ইতিমধ্যেই আপনাদের সুবিধার্থে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে ফিজি কাজের বেতন কত এ সম্পর্কে জানিয়েছি।
আশা করি আপনি আমাদের সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়েছেন এবং আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো জানতে পেরেছেন। ধন্যবাদ
msta2z.comব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url