সকল সিমের ইমারজেন্সি ব্যালেন্স - গ্রামীন সিম রেজিস্ট্রেশন চেক
সকল সিমের ইমারজেন্সি ব্যালেন্স-বর্তমানে দেশে এমন কোন মানুষ নেই যে মোবাইল ফোন ব্যাবহার করে না। কিন্তু আমরা মোবাইল ফোন ব্যাবহার করি কিন্তু অনেকেই জানি যে কিভাবে সিমে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিতে হয়। কারন ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ন কাজ। তাই আমাদের শিখতে হবে যে কিভাবে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিতে হবে।
বন্ধুরা আজ এই পোষ্টে আমি সকল সিমের ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার নিয়ম গুলো জানাবো। যারা এই বিষয়ে জানেন না তারা আমার এই পোষ্ট ভালো করে শুরু থেকে শেষ র্পর্যন্ত পড়তে থাকুন তাহলে সকল সিমের ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেওয়া সম্বর্কে জানতে পারবেন।
বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স কোড
- বাংলালিংক সিমে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিতে ডায়াল করুন- *874#
- ইমারজেন্সি ব্যালেন্স চেক করার জন্য - *874*0#
- আপনি যে বাংলালিংক সিম ব্যাবহার করছেন সে সিমের নাম্বার জানতে ডায়াল করুন- *511#
- রির্চাজ ব্যালেন্স জানতে ডায়াল করুন- *124#
- রিচার্জ করতে ডায়াল করুন- *১২৩* গোপন নাম্বার#
- USSD মেনু চেক করতে - *789#
- এসএমএস চেক করার জন্য ডায়াল করুন- *124*2#
- ইন্টারনেট ব্যালেন্স চেক করতে ডায়াল করুন- *124*5#
- বোনাস দেখাতে ডায়াল করুন- *124*3#
- কাস্টমার কেয়ার- 121
- বাংলালিংক কাস্টমার কেয়ার এর ফোন নাম্বার- 01911-304121
- বাংলালিংক সিমে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিতে হলে আপনাকে *874# ডায়াল করতে হবে। তারপরে এমার্জেন্সি ব্যালেন্স আপনার সিমে চলে আসবে। আপনি যদি ১০ টাকা লোন পেতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে ডায়াল করতে হবে *৮৭৪*১০#ডায়াল করতে হবে।
- আপনি ব্যালেন্স পাওয়ার যোগ্য কিনা সেটা জানার জন্য মোবাইল ফোনে ডায়াল অপশনে গিয়ে *874*9# ডায়াল করতে হবে।
- বাংলালিংক সিমে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স কত টাকা পর্যন্ত নিতে পারবেন
- প্রিয় বন্ধুরা আপনারা বাংলালিংক সিমে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিতে আপনাদের ১০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকা পর্যন্ত নিতে পারবেন। আপনাদের মোবাইল রিচার্জ এর উপর আপনারা যত বেশি পরিমাণে মোবাইল রিচার্জ করবেন তত বেশি পরিমাণে আপনাদের কে ইমার্জেন্সি লোন দেওয়া হবে
বাংলালিংক সিমে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স পরিশোধ করবেন যেভাবে
আপনাদের ধার নেওয়া অর্থাৎ আপনারা যে সিনেমার ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স আনবেন সেই সিমে যখন আপনারা ফ্লেক্সিলোড করবেন বা টাকা ভরবেন সাথে সাথে আপনাদের ব্যালেন্স যে কয় টাকা ধার নিয়েছেন তা কেটে নিবে। পরিশোধ করে দেয়ার পরে আপনারা চাইলে আবার ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নিতে পারবেন।বাংলালিংক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স কোড।
গ্রামীণফোন ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স কোড
- গ্রামীন সিমে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিতে ডায়াল করুন- *121*1*3#
- গ্রামীন সিমের ইমারজেন্সি ব্যালেন্স দেখতে ডায়াল করুন- *121*1*2#
- ইমারজেন্সি ব্যালেন্স কত টাকা পর্যন্ত পাবেন তা জানার জন্য ডায়াল করুন- *121*1010*2#
- রির্চাজ ব্যালেন্স দেখতে ডায়াল করুন-*566#
- আপনি যে গ্রামীন সিম ব্যাবহার করছেন সে সিমের নাম্বার জানতে ডায়াল করুন- *2#
- USSD মেনু চেক করতে-*111#
- গ্রামীন সিমে টাকা রিচার্জ করতে ডায়াল করুন- *555#
- গ্রামীন প্যাকেজ জানতে ডায়াল করুন-*121*6*4#
- ডাটা জানতে ডায়াল করুন-*566*10* / *567#
- মিনিট দেখতে ডায়াল করুন- *566*20# / *566*24#
- এসএমএস ব্যালেন্স দেখতে ডায়াল করুন- *566*2#
- পোস্টপেইড ব্যালেন্স চেক করতে- 12115
- এসএমএস করতে - 2000
- কাস্টমার কেয়ার-121
- গ্রামীণ কাস্টমার কেয়ার এর ফোন নম্বার-01711-594594
গ্রামীন সিমে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স পরিশোধ করবেন যেভাবে
গ্রামীন সিমে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স পরিশোধ করার জন্য কোন কোড ডায়াল করতে হবে না। আপনি যখন টাকা রিচার্জ করবেন তখন আপনাদের সিম থেকে টাকা কেটে নিবে অটোমেটিক। টাকা পরিশোধ করে দেওয়ার পরে আবার ব্যালেন্স ধার নিতে চাইলে নিতে পারবেন আগেকার নিয়মে।
রবি ইমারজেন্সি ব্যালেন্স কোড
- রবি সিমে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিতে ডায়াল করুন-*123*007#
- রবি সিমে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স দেখতে ডায়াল করুন- *222#
- রবি সিমে রিচার্জ করতে ডায়াল করুন- *111*গোপন নাম্বার #
- রবি সিমে রিচার্জ ব্যালেন্স জানতে ডায়াল করুন- *222#
- রবি সিমের নাম্বার জানতে ডায়াল করুন- *140*2*4#
- রবি সিমের মিনিট চেক করতে ডায়াল করুন- *222*3#
- ইন্টারনেক ব্যালেন্স চেক করতে ডায়াল করুন- *8444*88#
- প্যাকেজ দেখতে ডায়াল করুন-*140*14#
- SMS দেখতে ডায়াল করুন - *222*11#
- MMS দেখতে ডায়াল করুন - *222*13#
- রবি সিমের কাস্টমার কেয়ার এর ফোন নাম্বার- 01819-400400
টেলিটক ইমারজেন্সি ব্যালেন্স কোড
টেলিটক নাম্বারে ইমার্জেন্সি লোন পেতে হলে *1122# ডায়াল করা লাগবে অথবা লোন লিখে 1122 নাম্বারে মেসেজ পাঠিয়ে দিলে আপনার ফোনের লোন চলে আসবে। আপনার যত টাকা লোন নিতে চান তাদের কে এভাবে করে লিখতে হবে। *1122*10# এই ভাবে লিখলে আপনার ১০ টাকা লোন পেয়ে যাবেন।
আরো পড়ুনঃ বাংলালিংক সিমে মালিকানা পরিবর্তন
আবার ২০ টাকা লোন পেতে হলে *1122*20# ডায়াল করতে হবে তাহলে আপনারা ২০ টাকা লোন পেয়ে যাবেন। এইভাবে এই কোডের সাথে যত টাকা লিখবেন তত টাকা টেলিটক সিমে ইমারজেন্সি লোন পাবেন।
- টেলিটক নাম্বার জানতে মেসেজ এ TAR লিখে পাঠিয়ে দিন।
- ২২২ নাম্বারে or ডায়াল *551#
- টেলিটক সিমে রিচার্জ করতে ডায়াল করুন- *151* গোপন নাম্বার #
- রিচার্জ ব্যালেন্স জানতে ডায়াল করুন- *152#
- ইন্টারনেট ব্যালেন্স চেক করতে মেসেজ এ লিখুন- U
- এসএমএস পাঠান এই নম্বার দিয়ে- 111
- টেলিটক কাস্টমার কেয়ার এর নাম্বার- 0155-0157750
এয়ারটেল ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার কোড
এয়ারটেল সিমে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স পাওয়ার কোড নাম্বার- *141# অথবা *8# ডায়াল করলে আপনার সামনে ইমারজেন্সি ব্যালেন্সের অপশন গুলো চলে আসবে যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স গুলো নিতে পারবেন। নিচে এয়ারটেল সিমের ইমারজেন্সি ব্যালেন্স এর একটি তালিকা দেওয়া হলো।
- এয়ারটেল সিমে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স চেক করাতে ডায়াল করুন- *1#
- এয়ারটেল সিমের নাম্বার জানতে ডায়াল করুন- *121*7*3#
- রিচার্জ করতে ডায়াল করুন- *787* গোপন নাম্বার #
- রিচার্জ ব্যালেন্স চেক করতে ডায়াল করুন- *778#
- বোনাস চেক করতে ডায়াল করুন- *77৪*1# / *77৪*7#
- SMS দেখতে ডায়াল করুন - *778*2#
- ফ্রি SMS দেখতে ডায়াল করুন - *778*6#
- বোনাস মিনিট দেখতে ডায়াল করুন- *778*3#
- ফ্রি মিনিট দেখতে ডায়াল করুন- *778*5#
- রবি সিমের কাস্টমার কেয়ার এর ফোন নাম্বার
- কাস্টমার কেয়ার- 786
- এয়ারটেল কাস্টমার কেয়ার এর ফোন নাম্বার-01678-600786
স্কিটো সিমে ইমারর্জেন্সি ব্যালেন্স
স্কিটো সিমে ইমারর্জেন্সি ব্যালেন্স নিতে আপনাকে স্কিটো সিমে লগইন করতে হবে। তার পর আপনি মেনু থেকে ইমারর্জেন্সি লোনে যেতে হবে। তারপরে আপনি ৫ টাকায় ক্লিক করবেন তাহলে আপনার ফোনে ইমারর্জেন্সি ব্যালেন্স চলে আসবে। আপনি যদি স্কিটো সিম থেকে ইমারর্জেন্সি ব্যালেন্স নিতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার ফোনে ২ টাকা থাকতে হবে।
না থাকলে ব্যালেন্স পাবেন না। স্কিটো সিমে ইমারর্জেন্সি ব্যালেন্স এর মেয়াদ থাকবে সর্বমোট ৩০ দিন। আর মোট ইমারর্জেন্সি ব্যালেন্স নিতে পারবেন ৫ টাকা। এই টাকা দিয়ে আপনি ফেন কল, ইন্টারনেট এবং এসএমএস কিনে নিতে পারবেন। যারা স্কিটো ব্যাবহার করেন তারা এই টাকা দিয়ে অ্যাপস এর মাধ্যমে সমস্ত কাজগুলো করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ বাংলালিংক মিনিট লোন নেওয়ার কোড জেনে নিন
ব্যালেন্স পাওয়ার জন্য আগে স্কিটো অ্যাপসটি ওপেন করতে হবে তারপর মেনুবার থেকে ইমারর্জেন্সি লোন অপশনটি সিলেক্ট করে নিতে হবে।
আমার প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আমি সকল সিমের ইমারর্জেন্সি ব্যালেন্স কোড গুলো দিতে সক্ষম হয়েছি। যারা কোড গুলো জানতে চান তাদের কোড গুলো জেনে অবশ্যই ভালো লাগবে। আর কোড গুলোর মধ্যে কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে বন্ধুরা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
আইডি কার্ড দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে জেনে নিন
প্রিয় বন্ধুরা আপনার নামে কয়টি সিম NID কার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন হয়েছে তা জেনে থাকা ভালো। এতে আপনি বুঝতে পারবেন কোন অসাধু ব্যক্তি আপনার নামের সিম দিয়ে কোন অসাধু করছে কিনা। যে কোন মানুষ তার ভোটার আইডি কার্ড বা ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে সিম রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।
বন্ধুরা জেনে রাখুন একটি ডকুমেন্ট এর বীপরিতে আপনি ১৫ টি সিম রেজিস্টেশন করতে পারবেন আপনার NID কার্ড দিয়ে। আপনার NID কার্ড দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে তা জানার জন্য আপনাকে আগে-
- ডায়াল অপশনে যেতে হবে
- তারপর সিম রেজিস্ট্রেশন যাচাই কোড ডায়াল করুন- *১৬০০১#
- তার পর একটি ইনপুট ডায়লগ আসবে সেখানে আপনার NID কার্ডের শেষ ৪ ডিজিট টাইপ করে সেন্ট করুন।
- তারপরে একটি SMS এর মাধ্যমে জানিয়ে দিবে আপনার NID কার্ড দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে।
এই সহজ নিয়মটি অনুসরণ করার মাধ্যমে চেক করতে পারবেন আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র ব্যবহার করে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে।
গ্রামীন সিম রেজিস্ট্রেশন চেক
বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষই জিপি সিম ব্যবহার করে থাকে। একজন মানুষ তার নিজের ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে 10 থেকে 15 বার সিম রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে। কিন্তু এর অধিক রেজিস্ট্রেশন করতে গেলে ওই ভোটার আইডি কার্ড দেয়ার রেজিস্ট্রেশন হবে না। এর জন্য অনেকেই চেক করতে চান নিজের ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে জিপি সিম কয়টি রেজিস্ট্রেশন করা রয়েছে। এখান থেকে জানতে পারবেন কিভাবে আপনারা গ্রামীন সিম রেজিস্ট্রেশন চেক করতে পারবেন।
- আপনার মোবাইল ফোনে হটলাইন নম্বর ডায়াল করুন। গ্রামীন হটলাইনে কল করার জন্য নম্বর হল: 121
- কল করার পর আপনাকে একটি স্বাগতম বার্তা শোনানো হবে। এবং একটি কমান্ড লিস্ট প্রদর্শিত হবে। আপনি কমান্ড লিস্ট থেকে “সিম রেজিস্ট্রেশন চেক করুন” অপশনটি সিলেক্ট করুন।
- সিম রেজিস্ট্রেশন চেক করার পর সিম রেজিস্ট্রেশন স্ট্যাটাস আপনার সামনে প্রদর্শিত হবে।
শেষ কথা
সকল সিমের ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নেওয়ার নিয়ম নিয়ে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি সবাই বুঝতে পেরেছেন। কেউ বুঝতে না পারলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন আমরা তা যথাযথ উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। পুরো পোস্টটি টি দেখার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ পরবর্তী পোস্ট দেখার আমন্ত্রণ রইল ধন্যবাদ ভালো থাকুন ।
msta2z.comব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url