রোজার কাফফারা কিভাবে দিতে হয় জানুন সত্য হাদিস | Msta2z

রোজার কাফফারা কিভাবে দিতে হয় জানুন সত্য হাদিস

রোজার কাফফারা কিভাবে দিতে হয়? প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা আপনাদের হয়তো অনেকেরই জানা নেই যে, সঠিক নিয়মে কিভাবে রোজার কাফফারা দিতে হয়। কোন মুসলিম যদি ইচ্ছাকৃত ভাবে রোজা বাদ দেয়, কোন উদ্দেশে রোজা ভঙ্গ করে বা রোজা অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করে বা খাবার খায়ে রোজা ভেঙ্গে দেয় তখন কাফফারা দেওয়া হয়।
রোজার কাফফারা কিভাবে দিতে হয়

কোন রোজাদার ব্যক্তি যদি কোন কারন ছারা ভেঙ্গে ফেলে ঐ রোজার জন্য তার উপর রোজা কাযা বা কাফফারা ওয়াজিব হয়ে যায়।রমজান মাসে রোজা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ন অঙ্গ। তাই কেউ যদি বিনা ওজরে রোজা ভেঙ্গে দেয় সেই রোজা ভঙ্গের অপরাধকে ইসলাম অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিয়েছেন। তো বন্ধুরা রোজার কাফফারা কিভাবে দিতে হয় তা জানার জন্য আমাদের এই পোষ্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।

রোজার কাফফারা কয়টি

রোজার কাফফারা কয়টি? কোন রোজাদার ব্যক্তি যদি ইচ্ছকৃত ভাবে একধিকবার একই রমজানের রোজার ভাঙ্গার কারণে এক কাফফারাই যতেষ্ট। অর্থাৎএকই রমজানে একাধিক রোজা ভেঙ্গে ফেললে একটাই কাফফারা ওয়াজিব হবে। যে সব রোজা ইচ্ছকৃত ভাবে ভেঙ্গ ফেলা হয়েছে সেই রোজা গুলোর জন্য ৬০ জন গরিব মানুষকে দুবেলা খাবার খাওয়াতে হবে। অথবা প্রতি মিসকিনকে এক ফিতরা পরিমান সম্পদ সদকার মাধ্যমে কাফফারা আদায় করা যাবে।

রোজার কাফফারা কিভাবে দিতে হয়

রোজার কাফফারা কিভাবে দিতে হয়? একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিমের উপর রোজা ফরজ। কেউ যদি ইচ্ছাকৃত ভাবে রোজা না রাখে বা ভেঙ্গে ফেলে তাহলে সেটা মারাত্বক গুনাহের কাজ। কারন আমরা ১ টি বছর পর এই রমজানের রোজা পাই। রমজানের একটি রোজার সমান সারা বছরের রোজা হবে না। 

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিসে বলেন, যে ব্যক্তি শরীয়ত সম্মত বা কারণ বা অসুস্থ ছারা রমজানের একটি রোজা ভাঙ্গে তার ওই রোজার বিপরীতে সারা জীবনের রোজা ও রমজানের একটি রোজার সময় মর্যাদা হবে না । (সুনানে তিরমিযি, হাদিস নং: ৭২৩)

কাফফারা রোজা রাখার নিয়ম

কাফফারা রোজা রাখার নিয়ম?  প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা রমজানের রোজা ভাঙ্গার কাফফারা হলো লাগাতার ৬০ দিন রোজা রাখতে হবে। এই ৬০ দিনের মধ্যে যদি একদিন কোন কারনে বাতিল হয়ে যায় তাহলে পেছনের কাফফারা রোজাগুলো বাতিল হয়ে যাবে। কাফফারার রোজা গুলো এমন সময় রাখতে হবে যে কোন ধরনের নিষিদ্ধ দিন গুলো না চলে আসে। 

বিশেষ করে ঈদুল ফিতর বা ঈদুল আযহ বা কোন নারীর সন্তান প্রসবের সময়। এই দিন গুলোর প্রতি গুরুত্বসহকারে লক্ষ রেখে কাফফারা রোজার দিন নির্ধারন করতে হবে। কাজা ও কাফফারা উভয় রোজার নিয়ত সুবহে সাদিক এর পূর্বে করতে হবে।

রোজার কাফফারা দেয়ার নিয়ম

রোজার কাফফারা কিভাবে দিতে হয়? পেট ভরে খেতে পারবে এমন গরিব মিসকিনকে দুইবেলা পেট ভরে খাওয়াতে হবে। খাওয়াতে না পারলে সাদকায়ে ফিতর যে পরিমান গম, আটা বা চাল দিতে হবে। না হলে উক্ত চাল, আটা, গমের সমপরিমান মূল্য দিতে হবে। একজন মিসকিন কে দুইবেলা করে ৬০ দিন খাওয়ালেও হবে। 

তবে মাথায় রাখতে হবে যে ৬০ দিনের খাবারের মূল্য একদিনে মিসকিন কে দিয়ে দিলে কাফফারা আদায় হবে না। এতে ১ দিনের কাফফারা আদায় হবে। বাকি ৫৯ দিনের কাফফারা আদায় হবে না। আপনারা যদি ৬০ দিন খাওয়াতে খাওয়াতে ১ দিন খাওয়ানো না হয় তাতে কোন অসুবিধা নেই। একই রমজানে একাধিক রোজা ভেঙ্গে ফেললে একটাই কাফফারা ওয়াজিব হবে। 


তবে যে কয়েকদিনের রোজা ভঙ্গ করবেন রমজান শেষে ওই রোজাগুলো কাযা করতে হ বে।যেমন কেউ যদি এক রমজানের পাঁচদিন রোজা ভঙ্গ করে তাহলে তাকে পাঁচদিনের কাজা ও কাফফারা মিলিয়ে মোট পঁয়ষট্টিটা রোজা রাখতে হবে। মহান আল্লহতায়ালা সকল মুসলিম বান্দাকে রমজান মাসের ৩০ টি ফরজ রোজা করার হেদায়েত দান করুন। আমিন।রোজার কাফফারা কিভাবে দিতে হয়।

কাফফারা না দিলে কি হয়

কাফফারা সাধারণত তিন পদ্ধতিতে দেয়া হয়ে থাকে। এর কোন একটি আদায় করার সামর্থ্য না থাকলে তাকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। এতে আল্লাহর ক্ষমা প্রাপ্তির আশা করা যায়। তবে তাকে সত্যিই অপারক হতে হবে। আল্লাহ তার প্রিয় বান্দার উপর কোন অসাধ্য কাজ চেপে দেন না।

মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবদ্দশায় এমন এক ঘটনা ঘটেছে। হাদিসে এসেছে একবার রমজান মাসে এক সাহাবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বললেন হে আল্লাহর রাসূল, আমি নিজেকে ধ্বংস করে ফেলেছি। আমি রোজা পালন অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করে ফেলেছি। 


এ অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেই সাহাবীকে বললেন, তোমাকে অবশ্যই সেই রোজার বিনিময়ে কাফাফারা দিতে হবে। সাহাবী বললেন, কাফফারা হিসেবে কি দিতে হবে। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, কাফফারা হিসেবে তুমি দিতে পারো-
  1. একজন দাস মুক্ত করে দাও। এই কথায় সে সাহাবী বলল হে রাসূল, আমার তো সেই ক্ষমতা নেই।
  2. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাহলে তুমি ৬০ দিন রোজা রাখো। লোকটি বলল হে আল্লাহর রাসূল, আমার শারীরিক সক্ষমতা নেই।
  3. আবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তাহলে তুমি ৬০ জন মিসকিন গরিব মানুষকে পেট ভরে খাওয়াবে। সাহাবী বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমার তো আর্থিক সক্ষমতা ও আমার নেই।
তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অপেক্ষা করতে বললেন। সাহাবীকে কিছুক্ষণ পর এক সাহাবী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে এক ঝুরি খেজুর হাদিয়া দিলেন। মহানবী সাল্লাল্লাহু লোকটিকে ডেকে বললেন এগুলো নিয়ে গিয়ে গরীবদের মধ্যে সদকা করে দাও। লোকটি বললেন হে আল্লাহর রাসূল এই এলাকায় আমার চেয়ে গরিব আর কে আছে। 

একথা শুনে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটু হাসলেন এবং সেই সাহাবীকে বললেন তাহলে এই খেজুরগুলি তুমি তোমার পরিবারের নিয়ে যাও। (বুখারি: ১৩৩৭; মুসলিম: ১১১১)

অসুস্থতার জন্য রোজার কাফফারা

অসুস্থতার জন্য রোজার কাফফারা? মহান আল্লাহ তায়ালা সূরা বাকারার ২৮৪ নম্বর আয়াতে বলেছেন যে ব্যক্তির জন্য সিয়াম পালন কষ্টকর হবে তাদের কর্তব্য ফিদিয়া তথা একজন দরিদ্রকে খাবার প্রদান করা।

কোন মানুষ যদি বেশি অসুস্থ হয়ে যায় বা তার সুস্থ হওয়ার কোন লক্ষণ দেখা না যায় তাহলে আপনাকে বিগত ও আগত মাস গুলোর প্রতিদিনের পরিবর্তে একজন মিসকিনকে পেট ভরে খাওয়াতে হবে। যার পরিমাণ হলো দেশীয় খাদ্য দ্রাব্য যেমন, খেজুর বা অন্য কোন খাদ্য। আপনি যদি ছুটে যাওয়া রোজা গুলোর সময় সংখ্যক দিন একজন মিসকিনকে রাতের বা দুপুরের খাবার খাইয়ে থাকেন তবে তা যথেষ্ট হবে। 

কিন্তু অর্থদানের মাধ্যমে ফিদিয়া দিলে সেটা যথেষ্ট হবে না। অতএব বৃদ্ধ ব্যক্তি অথবা এমন রোগী যারা সুস্থতা আশা করা যায় না, তারা প্রতিদিনের পরিবর্তে একজন মিসকিন খাওয়াবেন। খাওয়াতে না পারলে তার বদলে আপনি গম, চাল, আটা, বা খেজুর দিতে পারবেন। তা না দিলে সেগুলোর দামে অর্থ প্রদান করতে পারবেন।অসুস্থতার জন্য রোজার কাফফারা।

ফিদিয়া অর্থ কি?

ফিদিয়া অর্থ কি? ফিদিয়া এবং কাফফারা দুটোই আরবি শব্দ। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, যে ব্যক্তিরা রোজা পালনে অক্ষম বা সক্ষম নয়, তাদের জন্য একজন গরিব মিসকিন কে খানা খওয়ানোর নামই ফিদিয়া। অতি বৃদ্ধ পুরুষ এবং মহিলার জন্য যারা রোজা রাখতে পারে না। তারা যেন প্রতিদিনের রোজার পরিবর্তে একজন মিসকিনকে পেট ভরে খাবার খাওয়ান।

রোজার ফিদিয়া কত টাকা

রোজার ফিদিয়া কত টাকা? রোজার ফিদিয়ার বিষয়ে কোরআনে বলেছেন, রোজা যাদের জন্য কষ্ট কর হবে তারা যেন একজন দরিদ্রকে পেট ভরে খাবার খাওয়াই। ( সূরা আল বাকারা: ১৮৪)

কোন ব্যক্তি রোজা রাখতে না পারলে সে যেন প্রতিদিন একজন দরিদ্রর পেট ভরে খাবার খাওয়ান। আবার কেউ খাবার না দিলে নগদ টাকা দিতে পারবেন। প্রত্যেক রোজার জন্য ফিদিয়ার নূন্যতম পরিমান হলো সদকায়ে ফিতরের সমান। ( আল ইমায়াহ: ২/২৭৩) রোজার ফিদিয়া কত টাকা।

ফিদিয়া কাকে দেওয়া যাবে

ফিদিয়া কাকে দেওয়া যাবে? ফিদিয়ার হকদার সাধারনত গরিব বা মিসকিনদের দিতে হবে। বিশেষ করে যারা যাকাতের হকদার হয়ে থাকে এমন প্রকৃতির গরিব লোকদের ফিদিয়া দিতে পারবেন। ফিদিয়া কোন দ্বিনি প্রতিষ্ঠান, যেখানে যাকাতের হকদার আছে, সেখানেও দেওয়া যাবে। ( আল ইনয়াহ: ২/২৭৩)

রমজান মাসটি অন্যান্য মাসের চেয়ে ফজিলত পূর্ন মাস। রমজান মাসে আমাদের কে বেশি বেশি দান করতে হবে এবং আমল করতে হ েব। আল্লহ তায়ালার কাছে গুনাহের মাফ চাইতে হবে এবং সদকা দিতে হবে। এই মাস টি অত্যান্ত ফজিলত পূর্ণ মাস। আগামী ১২ মার্চ ২০২৪ সালে পবিত্র মাহে রমজান মাস আসছে। 

এই মাসে আমরা বেশি বেশি আমল করবো এবং গরিবদের কে দান করবো। েএবং ফিদিয়া কি তা জানার চেষ্টা করবো। আর যে সব রোজা ভঙ্গ হবে সে রোজা গুলোর কাযা অবশ্যই করবো রমজানের পর। আল্লহ তায়ালা যেন সকল মুসলিমদের কে রমজান মাসে রোজা রাখার তৌফিক দান করেন। আমিন।

ফিদিয়া দেওয়ার নিয়ম

ফিদিয়া দেওয়ার নিয়ম? দুই শ্রেনীর লোকদের জন্য রোজার পরিবর্তে ফিদিয়া দিতে হয়। সেই দুই শ্রেনীর লোক কে তা নিচে দেওয়া হলো পড়তে থাকুন- ফিদিয়া দেওয়ার নিয়ম?

বৃদ্ধ লোকঃ এমন কোন বৃদ্ধ লোক যার কোন ভাবেই রমজানের রোজা করা সম্ভব হয় না বা শারিরিক ক্ষমতা নেই বা পরবর্তিতে রোজা রাখার আশা করা যায় না। এই রকম লোকের জন্য রোজার পরিবর্তে ফিদিয়া দিতে হবে।

অসুস্থ রোগীঃ যে রোগীর রোজা রাখার শক্তি একে বারেই নেই বা ভবিষ্যতে রোজা রাখতে পারবে না এরকম লোকের জন্য ফিদিয়া দিতে হয়।এরকম লোকদের জন্য রোজার পরিবর্তে একজন মিসকিনকে দুবেলা পেট ভরে খাওয়ানোর নামই হচ্ছে ফিদিয়া।প্রতিদিনের খাবারের পরিবর্তে সদকাতুল ফিতরের মূল্য পরমান অর্থ দেওয়া কেও ফিদিয়া বলা হয়। সাদকাতুল ফিতরের পরিমান ৩ কেজি তিনশ গ্রাম কিশমিশ. খেজুর অথবা ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম গম দিয়ে ফিদিয়া আদায় করা যায়।

রোজা না রাখতে পারলে করনীয়

রোজা না রাখতে পারলে করনীয়? অবশ্যই রোজা রাখতে না পারলে ফিদিয়া দিতে হবে। অনেক সময় আমাদের কঠিন অসুখ হয়ে থাকে সে অবস্থায় ডাক্তারা রোজা রাখতে বারন করে। এরকম পরিস্থিতি হলে আপনি রোজার পরে কাযা রোজা আদায় করবেন অথবা গরিব লোকদের কে পেট ভরে দুবেলা খাবারের ব্যাবস্থা করবেন।

রোজা ভঙ্গের ১৫ টি কারণ সমূহ

রোজা ভঙ্গের ১৫ টি কারণ সমূহ? আমরা অনেকেই জানি না যে রোজা কি কি কারনে ভাঙ্গে যায়। এই কথাটা প্রত্যেক মুসলিমদের জানা খুব প্রয়োজন রোজা কি কি কারনে ভাঙ্গে যায়। তো বন্ধুরা আজ আমরা জানবো রোজা ভঙ্গের ১৫ কি কারন।
  • দিনের বেলায় স্ত্রী সহবাস করলে রোজা ভেঙ্গে যায়।
  • বীর্যপাত হলে রোজা ভেঙ্গে যায়।
  • মুখ ভরে বুমি করলে রোজা ভেঙ্গে যায়।
  • গরাগরা সহকারে অজু করার সময় গলার ভিতরে পানি গেলে রোজা ভেঙ্গে যায়।
  • কানে এবং নাকের ভিতর তেল দিলে সেই তেল গলায় গেলে রোজা ভেঙ্গে যায়।
  • ক্ষত স্থান থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়লে রোজা ভেঙ্গে যায়।
  • মিথ্যা কথা বললে মুখের রোজা ভেঙ্গে যায়।
  • গীবত করলে রোজা ভেঙেগ যায়।
  • রোজাদার ব্যক্তিকে জোর করে খাওয়ালে রোজা ভেঙে্গ যায়।
  • রোজা অবস্থায় কোন ঔষধ খেলে রোজা ভেঙ্গে যায়।
  • রোজা অবস্থায় সিগরেট খেলে রোজা ভেঙ্গে যায়।
  • ইফতারের আগে কিছু খেয়ে ফেললে রোজা ভেঙ্গে যায়।
  • রোজা অবস্থায় হাত দিয়ে চুরি করলে হাতের রোজা ভেঙ্গে যায়।
  • রোজা অবস্থায় চোখ দিয়ে অশ্লীল ছবি দেখলে চোখের রোজা ভেঙ্গে যায়।
  • বাজে কথা বললে, গীবত করলে রোজা ভেঙ্গে যায়।
আল্লাহ তায়ালা মুসলিম জাতিকে যথাযথ ভাবে কোরআন এবং হাদিসের আদেশে রোজা রাখার তৌফিক দান করুন। রমজান মাসে বেশি বেশি দান করার তৌফিক দান করুন। এবং রোজা ভাঙ্গ এবং নষ্টের কারন গুলো থেকে মুক্ত থাকার তৌফিক দান করুন। আমিন।

পাঠকদের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

মাসিক অবস্থায় রোজা রাখা যাবে?
প্রিয় মুসলিম বোনেরা মাসিক অবস্থায় নামাজ রোজা কিছুই হবে না। মাসিকের সময় নামাজ পড়া এবং রোজা রাখা নিষিদ্ধ। পরে রোজার কাযা করতে হয় কিন্তু নামাজের কাযা নেই। মাসিক অবস্থায় মসজিদে যাওয়া, কাবা শরীফ তাওয়াফ করা, কোরআন স্পর্শ করা এবং তেলওয়াত করা নিষধ।

নেফাস অবস্থায় রোজা রাখা যাবে?
মাসিকের সময় যে সকল কাজগুলো স্ত্রী লোকের জন্য নিষিদ্ধ, নেফাসের সময় ও সেসব কাজ নিষিদ্ধ। নেফাস অবস্থায় রোজা হবে না।

এস্তেহাযার অবস্থায় নামাজ রোজা হবে কি?
এস্তেহাযার রক্তপাতে অজু ভঙ্গ হয় সত্য কিন্তু গোসল করা ওয়াজিব হয় না। এস্তেহাযার সময় নামাজ রোজা ত্যাগ করা জায়েজ নয়। প্রত্যেক ওয়াক্ত মা“যূরের ন্যায় নামাজ পড়বে এবং রোজা থাকা যাবে এতে কোন গুনাহ হবে না। কারন এস্তেহাযা একটি রোগ।

মাসিকের কত দিন পর রোজা রাখা যাবে?
মাসিক যেহেতু একটি নির্দিষ্ট সময় থাকে যেমন ৩ -১০ দিন পর্যন্ত। এই সময়টা পার হলে আপনি আপনার শরীর এবং কাপর পরিষ্কার পরিচ্ছিন্ন করে রোজা রাখতে পারবেন।

ক্ষত স্থান থেকে রক্ত পড়লে কি রোজা ভেঙেগ যাবে?
ক্ষতস্থান থেকে যদি সামান্য রক্ত বের হয় তাহলে রোজা ভঙ্গ হবে না। আর যদি বেশি পরিমান মানে রক্ত গরিয়ে পরে তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে।

কতদিন পর পর মাসিক হয়?
মাসিক সাধারনত ২৮ থেকে ৩৫ দিন পর পর হয়। তবে এই দিনগুলোর কম বা বেশি হলে অনিয়মিত মাসিক ধরে নেওয়া যায়।

ফিদিয়া কিভাবে দিতে হয়?
ভেঙে ফেলা সব রোজার জন্য ৬০ জন মিসকিনকে দু'বেলা খানা খাওয়াবে, অথবা প্রতি মিসকিনকে এক ফিতরা পরিমাণ সম্পদ সদকার মাধ্যমেও কাফফারা আদায় করা যাবে।

এক রোজার ফিদিয়া কত?
উল্লেখ্য যে প্রতিটি রোজার ফিদইয়া হলো একটি সদকাতুল ফিতর অর্থাৎ ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম আটা বা তার সমমূল্য দরিদ্র এতিম বা মিসকিনকে দান করা অথবা একজন ফকির বা গরিবকে দুই বেলা পেট পুরে খাওয়ানো।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় বন্ধুরা আজ আমরা এই পোষ্টে জানতে পারলাম রোজার কাফফারা কিভাবে দিতে হয় । আমাদের সমাজে অনেক মুসলিম আছে তারা আজ ও পর্যন্ত জানে না যে রোজা করেতে না পারলে বা ইচ্ছাকৃত রোজা ভঙ্গ করলে কি করতে হয়। রোজার কাফফারা বা ফিদিয়া কিভাবে দিতে হয়। বন্ধুরা আমাদের এই পোস্টটি ঐ সব না জানা মানুষদের কাছে পৌছে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। 

কারন তাদের রোজার কাফফারা বা ফিদিয়া সম্পর্কে জানা অবশ্যক। তো বন্ধুরা রমজান মাস আসছে সকল মুসলিম ভাই বোনেরা রোজা থাকবেন। কারন আল্লাহ তায়ালা মুসলিমের উপর রোজা ফরজ করে দিয়েছেন। রোজা থাকা বাধ্যাতামুলক। সবাই ভালো থাকবেন খোদা হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

msta2z.comব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url