মুখের স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির উপায় জেনে নিন | Msta2z

মুখের স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির উপায় জেনে নিন

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় বন্ধুরা। নিশ্চয় আল্লাহর রহমতে সকলেই ভালোই আছেন। আজ আমরা এই আরর্টিকেলে মুখের স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। এলার্জি থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের আরর্টিকেল টি ভালো করে শুর থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো। মুখের স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির উপায়, এলার্জির ঔষধ এলার্জি, কি খাবার খেলে এলার্জি বেশি হয় সে সব বিষয়ে জানতে হলে মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
মুখের-স্কিন-এলার্জি-থেকে-মুক্তির-উপায়

মুখের স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির উপায়। এখন প্রায় সকল মানুষেরাই এলার্জির সমস্যায় ভুগছেন। এলার্জি সমস্যা হলে শরীর খুব চুলকায়। এলার্জি শরীরের বিভিন্ন জায়গাতে হতে পারে যেমন, মুখে, কারো চোখের ভিতরে, কারো মাথায়, কারো আবার পিঠে, কারো বুকে , কারো গলায়। এলার্জি চুলকানি খুব যন্ত্রনা দায়ক। এলার্জির চুলকানি থেকে সবাই মুক্তি পেতে চায়। আজ আমরা মুখের স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে এই আরর্টিকেলে আলোচনা করবো।
পেজ সূচিপত্রঃ মুখের স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির উপায়?
ভৃমিকা

মুখেন স্কিন এলার্জি হলে চুলকাতে চুলকাতে কপালে, গাল, থুতনির নিচে ফুসকুড়ি, ঘা, দাদ ইত্যাদির মতো হয়ে যায়। তখন অনেকেই গুরুত্ব দেয় না। কিন্তু আমাদের উচিত মুখের ত্বক যেহেতু সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে সেহেতু অবহেলা করা যাবে না। ‍মুখের স্কিন এলার্জি বিভিন্ন উপায়ে ভালো করা যায়। আজ আমরা সেই সব বিষয় আপনাদেরকে জানাবো। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, মুখের স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির উপায় কি?

এলার্জি হলে কি কি খাওয়া নিষেধ?

এলার্জি হলে কি কি খাওয়া নিষেধ? অবশ্যই এমন কিছু খাবার আছে যা খেলে এলার্জির প্রকোপ বেড়ে যায়। এলার্জি হয় সাধারনত এলার্জি জাতীয় খাবার খেয়েই। এলার্জি জাতীয় খাবার খাওয়ার ৫-১০ মিনিট পর এলার্জির প্রকোপ বেড়ে যায়। গোটা শরীর দাগরা দাগরা হওয়া, চুলকানি, জিহ্বা ফুলে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, রক্তচাপ, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া এইসব শুরু হয় এলার্জি জাতীয় খাবার গুলো খেলে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এলার্জি হলে কি কি খাওয়া নিষেধ?

গরুর মাংসঃ গরুর মাংসতে প্রচুর পরিমান এলার্জি আছে। যাদের এলার্জি আছে তারা গরুর মাংস এড়িয়ে চলবেন। ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার আগে এলার্জির জন্য গরুর মাংস খেতে বাড়ন করবেন।

গরুর দুধঃ গরুর মাংসে যেমন এলার্জি আছে তেমনি গরুর দুধে ও এলার্জি আছে। কিন্তু দুধ সাবার জন্য সমান কাজ করে না। কারো কারো আবার গরুর দুধে এলার্জি নেই। কারো কারো প্রচুর এলার্জি আছে। তবে গরুর দধে এলার্জি আছে অন্য কোন দুধে নেই।

মাছঃ একেক জনার একেক মাছে এলার্জি থাকে। তবে ইলিশ মাছ, চিংড়ি মাছ, স্যালমুনা, ম্যাকরলে প্রচুর পরিমানে এলার্জি থাকে। এলার্জি হলে এসব মাছ খাওয়া নিষেধ?

সবজিঃ বেগুন, কচু, কচুশাক, পুই শাক, টমেটো, গাজর, মিষ্টি কুমরা থেকে এলার্জি সমস্যায় ভোগেন।যাদের এসব সবজিতে এলার্জি আছে তারা এসব সবজি খাওয়া থেকে দুরে থাকবেন।


মসুর ডালঃ মসুর ডাল খেলে প্রচুর পরিমানে এলার্জি হয়। যাদের এলার্জি আছে তারা কেওই মসুর ডাল খাবেন না। এই ডাল খাওয়ার সাথে সাথেই প্রায় এলার্জির প্রকোপ হয়। এলার্জি হলে মসুর ডাল খাওয়া নিষেধ?

চিনাবাদামঃ চিনা বাদাম খাওয়াতে কারো কারো এলাার্জির সমস্যা হয়। যাদের চীনা বাদামে এলার্জি আছে তারা চিনাবাদাম খাওয়া থেকে দুরে থাকবেন। বিশেষ করে শিশুদের চিনা বাদাম খেলে বেশি এলার্জি দেখা দেয়।

ব্যক্তি বিশেষে নিদির্ষ্ট একটি খাবারে এলার্জির সমস্যা থাকতে পারে। এতগুলো উপাদানের ফলে সাধারণত একজন মানুষের এলার্জির সমস্যা হয় না। যে খাবার গুলো খেয়ে আপনার এলার্জি সমস্যা হবে মনে করবেন সেই সব খাবারে আপনার এলার্জি আছে।সকলের সব ধরনের খাবারে এলার্জি থাকে না। আপনার যদি গরুর মাংস খেয়ে এলার্জি না হয় তাহলে বুঝবেন আপনার জন্য গরুর মাংসতে কোন এলার্জি নেই।

মুখে এলার্জি দূর করার ক্রিম?

মুখে এলার্জি দূর করার ক্রিম? মুখের এলার্জি, চুলকানি, লালভাব থেকে মুক্তি দেয় কর্টিকোস্টেরয়েড ক্রিমগুলি। কর্টিকোস্টেরয়েড ক্রিম গুলোর মধ্যে কিছু ক্রিম আছে যেগুলোর একটু কম ক্ষমতা থাকায় কোন প্রেসক্রিপসন ছারাই ফার্মেসি থেকে কিনতে পাওয়া যায়। তবে এই ক্রিম গুলো ব্যাবহারের আগে যে কোন ডাক্তারের পরামর্শ নিলে ভালো হয়। মুখে এলার্জি বা ফুসকুরি হলে সেখান থেকে কসানি বা পানি বের হলে 

অবশ্যই Fusicort 10mg cream Antibiotic/corticosteroid (ফুসিকার্ট ক্রিম ১০এমজি এন্টিবায়েটিক/ কার্টিকোস্টেরয়েড ) ব্যাবহার করবেন তার সাথে Fluclox 500mg এবং তার সাথে এলার্জির ট্যাবলেট রুপা বা এলার্টল খাবেন তাহলে দেখবেন স্কিন এলার্জি সহজেই ভালো হয়ে যাবে। মুখে এলার্জি দূর করার ক্রিম Fusicort 10mg cream দিনে চার বার ব্যাবহার করতে হবে। মুখে এলার্জি দূর করার আরো বিভিন্ন ধরনের ক্রিম আছে সেগুলো হলো-
  • কর্টিকোস্টেরয়েড ক্রিম
  • অ্যান্টিহিস্টামাইন ক্রিম
  • ক্যালসিনিয়াম ননিয়ামিন ক্রিম
  • ফুসিকার্ট ক্রিম

মুখে এলার্জি দূর করার ঔষধ?

মুখে এলার্জি দূর করার ঔষধ? মুখের এলার্জি দুর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ঔষধ আছে। নিচে মুখে এলার্জি দূর করার ঔষধের নাম গুলো দেওয়া হলো-
  • সেটিরিজিন (জিরটেক)
  • লোরাটাডিন (ক্লারিটিন)
  • ডেক্সক্লোরফেনিরামিন (পোলারামিন)
  • এ্যালাট্রোল® (সেটিরিজিন)
  • লোরা-১০® (লোরাটাডিন)
  • ফেক্সো-১২০® (ফেক্সোফেনাডিন)
  • এভিল
  • হিস্টাসন
  • রূপা
মুখে এলার্জি হলে দূর করার জন্য উপরের দেওয়া যে কোন একটি ঔষধ সেবন করতে পারবেন। তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেবন করলে সবচেয়ে ভালো হবে। এখন আমরা এই আরর্টিকেলে আপনাদেরকে বিস্তারিত জানাবো মুখের স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির উপায় কি? জানতে হলে আরর্টিকেল টি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোদ রইলো।

মুখের স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির উপায়?

মুখের স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির উপায়? শীত গরম সারাবছরই প্রায় এলার্জি হয়। এলার্জি জাতীয় খাবার খেলে, বিভিন্ন ধুলো বালি, নোংড়া ইত্যাদি কারনে এলার্জি হয়ে থাকে। এলার্জির অসাধারন চুলকানি থেকে সকলেই মুক্তি পেতে চায়। আর মুখের স্কিনে এলার্জি বের হলে তো আরো বেশি কষ্টদায়ক। মুখের স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তি পেতে হলে মুখের কিছু যত্ন নিতে হবে। আজ এই আরর্টিকেল থেকে জেনে নিন মুখের স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির উপায়?

নিমপাতাঃ নিমপাতা তেতো এলার্জির জন্য কার্যকরী ঔষধ। কাচা নিমপাতা ভালো করে বেটে মুখে লাগিয়ে রাখবেন ২০-৩০ মিনিট । এভাবে কয়েকদিন ব্যাবহার করবেন দেখবেন এলার্জি সহজেই ভালো হয়ে যাবে। শুধু মুখে নয় গোটা শরীর নিমপাতা বাটা লাগালে খুব উপকার পাবেন।

অ্যালোভেরা জেলঃ মুখের স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তি পেতে অ্যালোভেরা জেল ভালো কাজ করে। অ্যালোভেরা জেল মুখের স্কিনে লাগালে চুলকানি সহজেই ভালো হবে এবং ত্বকের জ্বালা পোড়া থেকে রক্ষা পাবেন। তাজা অ্যালোভেরা জেল লাগালে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।


তুলসীর রসঃ তুলসীতে রয়েছে আন্টি-ইনফ্ল্যামেটরি যা ত্বকের চুলকানি দুর করে। কাচা তুলসি পাতা ধুয়ে ভালো করে বেটে নিবেন। মুখের স্কিনে মাস্কের মতো লাগিয়ে রাখবেন ১০-২০ মিনিট। নিয়মিত ব্যাবহারে মুখের স্কিনের এলার্জি দুর হয়ে যাবে এবং এলার্জির দাগ কমে যাবে।

আপেল সিডার ভিনেগারঃ আপেল সিডার ভিনেগার মুখের স্কিন সহ সারা শরীরের এলার্জি দুর করতে কার্যকর ভৃমিকা পালন করে। আপেল সিডার ভিনেগারে রয়েছে অ্যাসিটিক অ্যাসিড, যার মাধ্যমে ত্বকের চুলকানি এবং এলাার্জি সহজেই কমিয়ে দেয়। তবে সংবেদনশীল ত্বকের জন্য আপেল সিডরি ভিনেগার না ব্যাবহার করাটাই ভালো হবে।

নারিকেল তেলঃ মুখের ত্বকের স্কিন ভালো রাখার জন্য নারিকেল তেল বেশ কার্যকরী। নারিকেল তেলে রয়েছে ময়েশ্চারাইজিং যা ত্বককে এলার্জির হাত থেকে রক্ষা করে। আবার কারো কারো নারিকেল তেলে এলার্জি থাকে। তাদের নারিকেল তেল সাবধানে ব্যাবহার করতে হবে। দুই চামুচ নারিকেল তেল গরম করে নিন তার পর হালকা গরম থাকাকালীন মুখের এলার্জি গুলো তে লাগিয়ে দিন। এভাবে দিলে মুখের স্কিন ও কমল ও নরম হবে তার পাশাপাশি এলার্জি থেকে ও মুক্তি পাবেন।

এলার্জি জনিত কাশির লক্ষণ?

এলার্জি জনিত কাশির লক্ষণ? বিভিন্ন ধরনের উড়ানো ময়লা, ধুলাবালি, কলকারখানা থেকে দুষিত ধোয়, গাড়ির কালো ধোয়া ইত্যাদির কারনে যে কারো এলার্জি হতে পারে। যে কোন বয়সের মানুষের এলার্জি হতে পারে। সামান্য এই এলার্জির মতো উপসর্গ হতে শুরু হতে পারে বিভিন্ন ধরনের ভয়ানক অসুখ। যেমন. এজমা, শ্বাসকষ্ট, হাপানি, সর্দি-কাশি ইত্যাদি হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এলার্জি জনিত কাশির লক্ষণ গুলো কি?

এলার্জির সমস্যায় অনেক সময় নাক দিয়ে পানি পড়ে আবার সর্দি লাগলেও নাক দিয়ে পানি পড়ে এটা বোঝা যায় না যে সর্দির জন্য নাকি এলার্জির জন্য। এলার্জির সমস্যায় কাশির এই রকম লক্ষণ দেখা দেয় যেমন, নাক দিয়ে অঝরে পানি পড়া, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, ঘন ঘন হাচি দেওয়া, গলা শুং শুং করে কাশি ওঠা, আর গলা, নাক, মুখ চুলাকানো। তাহলে বুঝবেন যে, আপনার সেই কাশি এলার্জি জনিত কাশিই হয়েছে। এলার্জি জনিত কাশির লক্ষণ।

এলার্জি কাশি সারানোর উপায়?

এলার্জি কাশি সারানোর উপায়? যাদের এলার্জি আছে তাদের একটু ঠান্ডা লাগলেই সর্দি বা কাশি হয়ে যায়। এই কাশি এবং সর্দি কমানোর জন্য আমরা বেশির ভাগ ঔষধ খেয়েই সারানোর চেষ্টা করি। যেমন,এন্টিহিস্টামিন ড্রাগ। মূলত ভাইরাসের জন্য এখন পর্যন্ত কোন কার্যকরী ঔষধ নেই। এই জন্য আমাদের প্রায়ই সর্দি-কাশির মতো অসুখ লেগেই থাকে। আর দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক এলার্জি কাশি সারানোর উপায়?

আদাঃ একটা আদার ছোট টুকরা নিয়ে দাতের নিচে দিয়ে চিবিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। তা ছারাও আদা চা করে খেলেও বেশ উপকার পাওয়া যাবে। কাশি সারাতে গলার খুশখুশানি কমাতে আদা বেশ উপকারি।। এলার্জি কাশি সারানোর উপায়।

লবঙ্গঃ লবঙ্গের রস গলার ভিতরের জীবানু দুর করে দেয় এবং কাশি সহজেই কমিয়ে দেয়। একটা লবঙ্গ দাতের নিচে রেখে দিবেন আস্তে আস্তে চাপ দিবেন রস বেরিয়ে আসবে সেই রস গিলে খাবেন দেখবেন কাশি কমিয়ে গেছে কয়েক মিনিটের মধ্যে।

তুলসি পাতাঃ কাচা তুলসি পাতা ভালো করে বেটে রস বের করে তাতে এক চামুচ মধু মিশিয়ে হালকা করে গরম করে নিবেন। দেখবেন লাল রঙ্গের হয়ে যাবে। কুসুম গরম তুলসির পাতা রস খাবেন দেখবেন কয়েকদিনের মধ্যে কাশি অনেকটা সেরে যাবে।

মধুঃ কাশি সারাতে মধু ঔষধের মতো কাজ করে। একটা কাপে এক চামুচ মধু, একটা লেবুর রস, আদার রস ভালো করে মিশিয়ে দিনে ২-৩ বার খাবেন দেখবেন কাশি অনেক কমে যাবে। এতে গলার ব্যাথা থাকলেও ভালো হয়ে যাবে।

কুসুম গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করাঃ কুসুম গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করলে গলার ব্যাথা এবং কাশি সহজেই ভালো হয়ে যায়। এক গ্লাস কুসুম গরম পানি নেবেন তাতে আধা চামুচ লবণ মিশেয়ে কয়েক মিনিট ধরে গড়গড়া করুন তাতে অনেক আরাম পাবেন। সকালে একবার সন্ধায় একবার কুসুম গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করবেন।

উপরোক্ত নিয়মগুলো পালন করার পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ খেতে হবে। এবং অবশ্যই ধুলো বালি ময়লা থেকে এলার্জি আক্রান্ত মানুষগুলো কে দুরে থাকার চেষ্টা করতে হবে। বেশি ঠান্ডা ও গরম লাগানো যাবে না। গরমে গা ঘামে গেলে শুকনো কাপর দিয়ে গায়ের ঘাম মুছতে হবে। এখন আমরা এই আরর্টিকেলে রক্তে এলার্জি দূর করার উপায় নিয়ে আলোচনা করবো।

রক্তের এলার্জি দূর করার উপায়?

রক্তের এলার্জি দূর করার উপায়? শরীরে এলার্জি আছে কিনা তা আগে ভালো করে বুঝতে হবে। ধুলো বালির সংস্পর্শে যদি এলার্জি বের হয় বা গরুর মাংস, চিংড়ি মাছ, মসুর ডাল, পুইশাক, বেগুন এগুলো খাবার খেয়ে যদি আপনার শরীরে চাকা চাকা দাগ হয়, বা গলায় চুলকানি শুরু হয় তাহলে বুঝবেন যে আপনার শরীরে প্রচুর পরিমানে এলার্জি আছে। একেক জনার শরীরে একেক ধরনের খাবার খাওয়ার ফলে এলার্জি হতে পারে।

রক্তে এলার্জি দূর করার উপায়?
এলার্জি সনাক্ত হওয়ার পরে আপনাকে অবশ্যই এলার্জি জাতীয় খাবার গুলো থেকে দুরে থাকতে হবে। যে খাবারে এলার্জি আছে সে খাবার গুলো খাবেন না তার পাশাপাশি ডাক্তারের চিকিৎসা নিবেন। এলার্জির ঔষধ খাওয়ার পাশাপাশি এলার্জির ভ্যাকসিন নিবেন। এলার্জির ভ্যাকসিন নিলে এলার্জি জনিত রোগীর সুস্থ্য থাকার অন্যতম চিকিৎসা পদ্ধতি। বর্তমানে যাদের রক্তে এলার্জি আছে তাদের কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভ্যাকসিন পদ্ধতির মাধ্যমে এলার্জি জনিত রোগীদের দীর্ঘদিন সুস্থ্য থাকার চিকিৎসা পদ্ধতি বলে বিবেচিত করেছেন।

কি খেলে রক্তে এলার্জি কমে?

কি খেলে রক্তে এলার্জি কমে? প্রথমে আপনাকে জানতে হবে কোন কোন খাবার খেলে আপনার এলার্জি হয়। যে সকল খাবার গুলো খাওয়ার পরে এলার্জির সমস্যা দেখা দিবে সে সকল খাবার গুলো আপনাকে এড়িয়ে চলতে হবে। এখন কথা হলো কি খেলে রক্তে এলার্জি কমবে, সাদা পেঁয়াজ কাচা খাবেন না। লাল পেঁয়াজ হলে ভালো। আপেল, আঙ্গুর, কমলালেবু, আনারস, আঙ্গুর, লেবু, ফুলকপি, বাধাকপি, ওমেগা-৩ ফ্যাটসমৃদ্ধ মাছ, তেল, কিছু বাদামজাতীয় খাবার, টক দই, সহ খাবার গুলো খাবেন। 


আর যে খাবার গুলো খেয়ে এলার্জির সমস্যা দেখা দেয় না সে খাবার ‍গুলো আপনি খেতে পারবেন। আর আপনার যদি বেশি মাত্রায় এলার্জি হয়ে থাকে তাহলে প্রতিদিন রাতে একটা করে বিলটিন ট্যাবলেট ২ মাস খাবেন। আর এলার্জি জাতীয় খাবার গুলো, ধুলোবালি থেকে দুরে থাকবেন তাহলে দুই মাস পরেই ভালো রেজাল্ট পাবেন। তাহলে বন্ধুরা আপনারা বুঝতে পারলেন, কি খেলে রক্তে এলার্জি কমে?

FAQ । মুখের স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির উপায়?

কি খেলে শরীরের এলার্জি কমে?
অ্যালার্জির সমস্যা প্রায় সকল মানুষ। সুস্থ থাকার জন্য তিনটি খাবারের উপর ভরসা রাখতে পারবেন।
  • ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল কমলালেবু, স্ট্রবেরি, আপেল, তরমুজ হল ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফল। প্রদাহবিরোধী ক্ষমতা থাকে এ সব ফলে। ত্বকের র‌্যাশ, চুলকানির মতো অ্যালার্জি জাতীয় সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
  • বায়োফ্ল্যাভনয়েড-সমৃদ্ধ খাবার
  • ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ খাবার
কোন কোন খাবারে বেশি এলার্জি আছে?
উত্তরঃ বেগুন, পুঁই শাক, মসুর ডাল, গরুর মাংস, চিংড়ি মাছ, ইলিশ মাছ, এই খাবার গুলো খাওয়ার সাথে সাথে এলার্জি আক্রমন করতে থাকে। যাদের এলার্জি আছে তারা এই খাবার গুলো থেকে দুরে থাকবেন।

এলার্জি হলে কি কাশি হয়?
উত্তরঃ অ্যাজমা বা এলার্জি হলে ঠান্ডার কারনে শ্বাসনালী ফুলে যায়। যার ফলে আপনার দীর্ঘস্থায়ী এলার্জি কাশি হতে পারে।

এলার্জির লক্ষণ গুলো কি কি?
উত্তরঃ এলার্জি হলে কিছু লক্ষণ দেখা দিবে যা আপনি অনুভব করলে বুঝবেন যে আপনার এলার্জি হয়েছে। লক্ষণ গুলো হলো- শরীরে লাল চাকা চাকা হয়ে দাগ বের হওয়া এবং অসহ্য চুলকানি, ঘন ঘন হাচি পড়া, নাক দিয়ে পানি পড়া, কাশি দেওয়া, গলা ফুলে যাওয়া বা শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি হলে আপনি বুঝবেন আপনার এলার্জি হয়েছে।

এলার্জি কতদিন শরীরে থাকে?
উত্তরঃ অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া বিভিন্ন সময়ের জন্য স্থায়ী হতে পারে। কয়েক ঘন্টা, কয়েকদিন বা কয়েক সপ্তাহ ও থাকতে পারে। এলার্জির প্রাকার ভেদের উপর নির্ভর করে।

এলার্জির ঔষধের নাম কি?
উত্তরঃ যদি আপনার এলার্জি বেশি হয় তাহলে বিলটিন ট্যাবলেট রাতে একটা করে খাবেন। আর যদি অল্প মাত্রায় এলার্জি হয় তাহলে এলাট্রল, এভিল বা রুপা খেতে পারবেন।

এলার্জির জন্য কোন ঔষধ ভালো?
উত্তরঃ একটি নন-প্রেসক্রিপশন মৌখিক অ্যান্টিহিস্টামিন, যেমন লোরাটাডিন (অ্যালাভার্ট, ক্লারিটিন, অন্যান্য), সেটিরিজিন (জাইর্টেক অ্যালার্জি, অন্যান্য) বা ডিফেনহাইড্রাইমাইন (বেনাড্রিল অ্যালার্জি, অন্যান্য) চুলকানি উপশম করতে সাহায্য করতে পারে।

প্রতিদিন এলার্জির ঔষধ খাওয়া কি নিরাপদ?
উত্তরঃ না। প্রতিদিন এলার্জির ঔষধ খেলে আপনার অভ্যাসে পরিনত হবে এবং ঔষধ খাওয়া ছারা এলার্জি ভালো হবে না। এবং এলার্জি জাতীয় লক্ষণ গুলো দিনে দিনে বেশি বাড়তে থাকবে।

লেখকের শেষ কথাঃ মুখের স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির উপায়?

প্রিয় পাঠক আজ আমরা এই আরর্টিকেল থেকে জানতে পারলাম, এলার্জি হলে কি কি খাওয়া নিষেধ, মুখে এলার্জি দূর করার ক্রিম, মুখে এলার্জি দূর করার ঔষধ, এলার্জি জনিত কাশির লক্ষণ, এলার্জি কাশি সারানোর উপায়, রক্তের এলার্জি দূর করার উপায়, কি খেলে রক্তে এলার্জি কমে, ইত্যাদি বিষয়ে আমরা বিস্তারিত জানতে পারলাম। আরো ভালো ভালো পোষ্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইড ভিজিট করুন। ভালো থাকবেন। আরর্টিকেল টি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

msta2z.comব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url