আপেল সিডার ভিনেগার এর উপকারিতা ও অপকারিতা
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। নিশ্চয় আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আজ আমরা আপেল সিডার ভিনেগার এর উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত জানাবো আপনাদেরকে। প্রত্যেকটা খাবারের উপকারিতা এবং অপকারিতা আছে। সেই রকম আপেল সিডার ভিনেগার এর উপকারিতা ও অপকারিতা আছে। আপেল সিডার ভিনেগার কোনটা ভালো, আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার নিয়ম সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানানো হলো। জানতে হলে পুরো আরর্টিকেল টি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইলো।
আপেল সিডার ভিনেগার এর উপকারিতা ও অপকারিতা। আপেল সিডার ভিনেগার হাজার হাজার বছর ধরে খাদ্য সংরক্ষন করা, ওজন কমাতে, খ্যাদ্যের মশলা হিসাবে, একটি ক্ষত বাম এবং সৌন্দর্য উপাদানের সহায়ক হিসাবে ব্যাবহারিত হয়ে আসছে।প্রাচীন গ্রীক এবং রোমান আপেল সিডার ভিনেগারকে ঔষধ হিসাবে ব্যাবহার করতেন। তো আর দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক, আপেল সিডার ভিনেগার এর উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো কি?
আপেল সিডার ভিনেগার কোনটা ভালো
আপেল সিডার ভিনেগার কোনটা ভালো- ব্র্যাগ অ্যাপেল সাইড ভিনেগার-এটি সর্বোত্তম পণ্যের মধ্যে সেরা কারণ এটি সম্পূর্ণ কাঁচা, ফিল্টার করা ছাড়া এবং পাস্তুরিতবিহীন। সেরা অংশ যে এটি মা সঙ্গে আসে. এমনকি দীর্ঘ সময় ধরে বাজারে নামকরা। অল্প সময়ের মধ্যে ওজন কমানোর জন্য আপেল সিডার ভিনেগার দ্রুত কাজ করে। তাছারাও ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্ত চাপ সহ বিভিন্ন রোগের সমস্যার সমাধান করে আপেল সিডার ভিনেগার।
সাদা ভিনেগার, অ্যাপলসিডার ভিনেগার, নারকেল ভিনেগার, বালসামিক ভিনেগার এবং রাইস ভিনেগার সব ভিনেগারের উপকারিতা এবং অপকারিতা রয়েছে। প্রিয় পাঠকেরা মনে রাখবেন সকল আপেল সিডার ভিনেগারের মান সমান নয়। সঠিক আপেল সিডার ভিনেগার বাছাই করার জন্য কিছু বিষয় খেয়াল রেখে আপেল সিডার ভিনেগার কিনতে হবে। বিষয় গুলো হলো-
- এইটা কি সম্পর্ন কাঁচা?
- এইটা কি আনফিল্টার ?
- এইটা কি unpasteurized?
- এতে কি ভিনেগারের প্রকৃত মাদার সামগ্রী রয়েছে (বোতলের মধ্যে মেঘলা এবং ভাসমান স্ট্র্যান্ড হিসাবে দৃশ্যমান) কমপক্ষে 3% থাকতে হবে।
একেবারে পরিষ্কার অ্যাম্বার রঙের অ্যাপল সাইডার ভিনেগার আসলে ভালো নয়। আপনাকে এমন একটি বেছে নিতে হবে যেখানে মাঝে মাঝে ভাসমান স্ট্র্যান্ডের সাথে মেঘলা থাকে কারণ সেখানেই এর বেশিরভাগ সুস্থতা লুকিয়ে থাকে।
আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার নিয়ম
আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার নিয়ম? বর্তমানে মানুষেরা আপেল সিডার ভিনেগারের উপর খুব ঝুকে পড়েছে। অনেকেই মনে করেন সকাল, বিকাল, রাত তিনবেলা যদি আপেল সিডার ভিনেগার খাই তাহলে আমাদের শরীর কে ফিট, হেলদি এবং স্কিন সুন্দর লাগবে। কিংবা রোগ বালাই থেকে মুক্তি দিবে। আসলে বিষয়টি কি তাই। না কখনো ও না। আপেল সিডার ভিনেগার হলো আপেল কে গাজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরীকৃত একটি পানিয়।
শরীরের ওজন কমাতে, কোলেষ্টেরেল লেভেল ঠিক রাখতে এবং ডায়াবেটিস কন্ট্রল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভৃমিকা পালন করে থাকে কিন্তু ভিনেগার খাওয়ার মাত্রা অতিরোক্ত হওয়া যাবে না। অতিরোক্ত গ্রহণের ফলে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। এই জন্য আপনাকে মাথায় রাখতে হবে পরিমান মতো আপেল সিডার ভিনেগার খেতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার নিয়ম কি?
- এক গ্লাস নরমাল পানি বা কুসুম গরম পানির মধ্যে এক চা চামুচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করতে পারেন। দিনে দুই বার সকালে এবং রাতের খাওয়ার পরে। কিন্তু আপনি দীর্ঘ সময় ধরে যদি খালি পেটে খেতে থাকেন তাহলে আপনার আসিডিটি অথবা বদমহজম জনিত সমস্যা হতে পারে।
- ইসুবগুল অথবা চিয়াসিডের সাথে মিশিয়ে খেলেও ভালো উপকার পাওয়া যাবে। দিনে দুই বার করে খেতে হবে আপেল সিডার ভিনেগার। আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার নিয়ম।
- অনেকেই আপেল সিডার ভিনেগারের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে খায় এ রকম একদমই খাওয়া যাবে না। লেবুতে রয়েছে সাইট্রিক আসিড এবং ভিনেগারে রয়েছে অ্যাসিটিক অ্যাসিড যার ফলে দুটোই এক জায়গাতে হয়ে মারাত্বক ক্ষতি হতে পারে।
- ডায়াবেটিস রোগীরা ডায়াবেটিস নিয়ত্রনে রাখার জন্য খাওয়ার আগে বা খাওয়ার ২০-৩০ মিনিট পরে আপেল সিডার ভিনেগার খেতে পারবেন। আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার নিয়ম।
- একজন মানুষ দিনে ২ চামুচ আপেল সিডার ভিনেগার খেতে পারবে। প্রথমে এক চামুচ খেয়ে শুরু করতে হবে। আগে দেখতে হবে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে না কি। তার পর আস্তে আস্তে দুই চামুচ খাওয়া শুরু করবেন। যদি কোন অসুবিধা হয় তাহলে এক চামুচ অথবা হাফ চামুচ খাবেন। আর বেশি সমস্যা হলে খাওয়া বন্ধ করে দিবেন।
আপেল সিডার ভিনেগার এর উপকারিতা ও অপকারিতা
আপেল সিডার ভিনেগার এর উপকারিতা ও অপকারিতা? আপেল সিডার ভিনেগার প্রাকৃতিক অ্যাসিড। কিছু মানুষ স্বাস্থ্য রক্ষায় আপেল সিডার ভিনেগার নিয়মিত খেয়ে থাকে। যেমন, ওজন কমাতে, হার্ট ভালো রাখতে, ডায়াবেটিস কন্ট্রল রাখতে, হেচকি নিরাময়ে ও কোলেস্টেরল ঠিক রাখতে নিয়মিত খেয়ে থাকেন। তবে অতিরোক্ত আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার ফলে শরীরের কিছু অপকারিতা ও আছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক আপেল সিডার ভিনেগার এর উপকারিতা ও অপকারিতা।
আপেল সিডার ভিনেগার এর উপকারিতাঃ
- আপেল সিডার ভিনেগার নিয়মিত খাওয়ার ফলে শরীরের অতিরোক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে। এর অ্যাসিটিক অ্যাসিড খাওয়ার ইচ্ছে কে দমন করে রাখে এবং মটোবলিজম বাড়ায়।
- পেটে জমে থাকা মেদ কমায় দ্রুত গতিতে।
- আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার ফলে টক স্বাদ হেচকি বন্ধ হয়ে যায়।
- কোন খাবার খেয়ে বদহজম হলে সাথে সাতে এক চামুচ আপেল সিডার ভিনেগার পানিতে মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে বদহজম ভালো হয়ে যাবে।
- আধা আউন্স আপেল সিডার ভিনেগার নিয়মিত সেবন কোলেস্টেরল এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
- আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার ফলে ত্বক সুন্দর হয় এবং ব্রণ কমাত সাহায্য করে।
- গলা ব্যাথা হলে এক গ্লাস গরম পানিতে দুই থেকে তিন চামুচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে গড়গড়া করুন গলা ব্যাথা দ্রুত সেরে যাবে। গলার ভিতরে খুসখুস কাশি এবং গলার ব্যাথা সহজেই সেরে যাবে।
- আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার ফলে চুল পড়া বন্ধ হয় এবং চুলের উজ্জলতা বেড়ে ঝলমলে করে তুলে।
- ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখে। ইনসুলিন সেনসিটিভিট অনেক বেশি বাড়ায় যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে থাকে।
- আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার ফলে পেটের সমস্যা দুর করে এবং হজম করতে সাহায্য করে।
আপেল সিডার ভিনেগার এর অপকারিতাঃ
- অনিয়মিত ভাবে আপেল সিডার ভিনেগার খেলে রুচি নষ্ট হয়ে যায় এবং বমি বমি ভাব লাগে।
- বেশি পরিমানে আপেল সিডার ভিনেগার খেলে দাঁতের এবং ইসোফেগাস ও স্টমাক লাইনিং এর ক্ষতি হতে পারে।
- দীর্ঘদিন ধরে আপেল সিডার ভিনেগার এর অম্ল গুণ শরীরের মারাত্বক ক্ষতি করতে পারে।
- ডাইরেক্ট আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার ফলে দাঁতের সংস্পর্শে আসে যার ফলে দাঁতের এনামেল ক্ষয়ে গিয়ে দাঁত ভাংতে থাকে। এবং দাঁতের গোড়া শিরশির করে।
- অতিমাত্রায় আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার ফলে চোখ, হৃৎপিণ্ড ও ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
- দীর্ঘদিন ধরে আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার ফলে চোখের সমস্যা, চুল পাকা এবং পুরুষত্বহীনতা হতে পারে।
- প্রতিদিন ২-৩ বার আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার ফলে এলার্জি, গলাব্যাথা, পেটখারাপ, মারি ফুলে যেতে পারে।
আপেল সিডার ভিনেগার দাম কত?
আপেল সিডার ভিনেগার দাম কত? প্রিয় পাঠক আপনারা জানতে চেয়েছেন আপেল সিডার ভিনেগার এর দাম কত? আজ আমরা আপনাদের জন্য এই আরর্টিকেলে আপেল সিডার ভিনেগারের কত মিলির কত দাম তা বিস্তারিত দিলাম। আপনারা এই আরর্টিকেল থেকে সঠিক দাম জানতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক আপেল সিডার ভিনেগার এর দাম কত। জানতে হলে পড়তে থাকুন- আপেল সিডার ভিনেগার দাম কত?
- ইতালীয় আপেল সিডার ভিনেগার উইথ দি মাদার ৫০০মিলি= ৬৫০ টাকা মাত্র।
- ভ্যানটেজ আপেল সিডার ভিনেগার মাদারের সাথে ১০০০ মিলি= ১,৮৫০ টাকা মাত্র।
- ব্রাগ অর্গানিক আপেল সিডার ভিনেগার উইথ দি মাদার ৪৭৩ মিলি= ৯৫০ টাকা মাত্র।
- ব্রাগ অর্গানিক আপেল সিডার ভিনেগার উইথ দি মাদার ৯৪৬ মিলি=১,৫৫০ টাকা মাত্র।
- ডিসকভারী অর্গানিক আপেল সিডার ভিনেগার উইথ দি মাদার ৫০০মিলি=৭৫০ টাকা মাত্র।
- ডি নিগ্রিস অর্গানিক আপেল সিডার ভিনেগার উইথ দি মাদার ১০০০ মিলি= ১,৪০০ টাকা মাত্র।
- ডিসকভারী অর্গানিক আপেল সিডার ভিনেগার উইথ দি মাদার ১০০০ মিলি= ১,৩২৫ টাকা মাত্র।
- ডি নিগ্রিস অর্গানিক আপেল সিডার ভিনেগার উইথ দি মাদার ৫০০ মিলি= ৮০০ টাকা মাত্র।
- আপেল সিডার ভিনেগার 473 মিলি= ১৮০ টাকা মাত্র।
- অর্গানিক আপেল সিডার ভিনেগার 473 মিলি=২৮২ টাকা মাত্র।
- দারুচিনি ও হলুদের সাথে ডিটক্স আপেল সাইডার ভিনেগার ইনফিউশন (মায়ের সাথে)=৮৫০ টাকা মাত্র।
- Bargg জৈব আপেল সাইডার ভিঙ্গার মাদার সঙ্গে 473 m.l কম্বো 3 pis= ৮২৮ টাকা মাত্র।
- গুডলাইফ আপেল সাইডার ভিনেগার উইথ দ্য মাদার (৫০০ মিলি)=৩২০ টাকা মাত্র।
- গুডলাইফ আপেল সিডার ভিনেগার উইথ মাদার= ১৯০ টাকা মাত্র।
- অর্গানিক অ্যাপেল সাইডার ভিঙ্গার উইথ দ্য মাদার 473 Ml-Bl=৩১১ টাকা মাত্র।
- হ্যানিজ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার 473 মিলি=১৯৯ টাকা মাত্র।
আপেল সিডার ভিনেগার কি ফ্রিজে রাখতে হয়?
আপেল সিডার ভিনেগার কি ফ্রিজে রাখতে হয়? এক বোতল আপেল সিডার ভিনেগার একবারে রান্নায় শেষ করা সম্ভব নয়। এক বোতল আপেল সিডার ভিনেগার অনেক দিন যাবৎ খাওয়া যায়। কিন্তু কথা হলো এতো দিন কি ভাবে সংরক্ষন করা যায়। এখানে প্রশ্ন করা হয়েছে আপেল সিডার ভিনেগার কি ফ্রিজে রাখতে হয়। সঠিক ভাবে আপেল সিডার ভিনেগার সংরক্ষন করে না খেলে শরীরের মারাত্বক ক্ষতি হতে পারে। আনপাস্তুরাইজড আপেল সিডারের শেলফ লাইফ প্রায় দুই বা তিন দিন
এবং অবশ্যই সবসময় ফ্রিজে রাখতে হবে । নর্থ কোস্ট অর্গানিক এর পাস্তুরিত আপেল সাইডারের সাথে, এটি সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হলে বোতলের মুখ খোলা না থাকলে তিন বছর পর্যন্ত সংরক্ষন করা যায় ফ্রিজে। আর বোতলের মুখ খোলা থাকলে তিন মাস সংরক্ষন করা যাবে। আর ফ্রিজ না থাকলে ঠান্ডা কোন স্থানে সংরক্ষন করা যাবে। কিন্তু ফ্রিজ ছারা অন্য স্থানে বেশি দিন সংরক্ষন করা যাবে না। ফলে এর স্বাদ গন্ধর পরিবর্তন আসতে থাকবে।
ওজন কমাতে আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার নিয়ম?
ওজন কমাতে আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার নিয়ম? ওজন কমাতে সত্যিই কি আপেল সিডার ভিনেগার শরীরের জন্য কাজ করে। উত্তরঃ হ্যা, বন্ধুরা ওজন কমাতে আপেল সিডার ভিনেগার বেশ কার্যকরী। আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার ফলে মেদ ভুরি সহ শরীরের চর্বি ভেঙ্গে যায় যার ফলে দ্রুত ওজন কমতে শুরু করে। ওজন কমাতে কিভাবে আপেল সিডার ভিনেগার ব্যাবহার করবেন চলুন জেনে নেওয়া যাক। ওজন কমাতে আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার নিয়ম?
ওজন কমানোর বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন ১৫-৩০ মিলি (এক থেকে দুই চা চামচ) আপেল সিডার ভিনেগার পান করার পরামর্শ দেন। অল্প দিনে ওজন কমাতে কেউ কেউ একাধিক বার আপেল সিডার ভিনেগার খান। কিন্তু এভাবে খেলে হিতে বীপরিত হবে। এক গ্লাস পানিতে এক চামুচ আপেল সিডার ভিনেগার দিয়ে ভালো করে গুলিয়ে খেয়ে নেবেন। সকালে খালি পেটে একবার এবং রাতে খাওয়ার ২০-৩০ মিনিট পরে একবার।
এভাবে ২-৩ মাস আপেল সিডার ভিনেগার খাবেন দেখবেন আস্তে আস্তে মেদ ভুরি সহ আপনার শরীরের ওজন কমতে থাকবে। কিন্তু এক নাগারে ২-৩ বছর খাওয়া যাবে না। ২-৩ মাস খাওয়ার পরে কিছু দিন বাদ দিয়ে আবার খেতে হবে। বাদ দিয়ে না খেলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।
আপেল সিডার ভিনেগার কতদিন খাওয়া যায়?
আপেল সিডার ভিনেগার কতদিন খাওয়া যায়? আপেল সিডার ভিনেগার কত দিন খাওয়া যায় বা কতদিন আমাদের স্বাস্থের জন্য নিরাপদ সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাবো আজকের এই আরর্টিকেলে। আপেল সিডার ভিনেগার দিনে দুই বার করে খেতে হবে এবং সর্বোচ্চ তিন মাস খেতে পারবেন। এর বেশি দিন মুখ খোলা রাখা অবস্থায় রাখলে গন্ধ ও স্বাদের পরিবর্তন হবে তার সাথে আপনার স্বাস্থ্যের মারাত্বক ক্ষতি হতে পারে। একটি আপেল সিডার ভিনেগার সর্বোচ্চ ৩ মাস ধরে সংরক্ষন করে খেতে পারবেন।
FAQ। আপেল সিডার ভিনেগার এর উপকারিতা ও অপকারিতা
আপেল সিডার ভিনেগার কখন কিভাবে খাওয়া উচিত?
উত্তরঃ সকালে একবার কুসুম গরম পানি অথবা নরমাল পানির সাথে ইসুবগুলের ভুসি এবং তাতে এক চামুচ আপের সিডার ভিনেগার দিয়ে খাবেন। এবং রাতে খাওয়ার ২০-৩০ মিনিট পরে একই ভাবে খাবেন তাহলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
ভিনেগার খেলে কি কোন ক্ষতি হয়?
উত্তরঃ বেশি পরিমানে আপেল সিডার ভিনেগার খেলে দাঁত, ইসোফেগাস স্টমাক লাইনিং এর ক্ষতি করতে পারে। শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা কমে যায়। ডায়রিয়া, বদহজম সহ হারের মারাত্তক ক্ষতি হতে পারে।
দিনে কতটুকু আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়া যাবে?
উত্তরঃ দিনে দুই চামুচ আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়া যাবে। এর বেশি খেলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। আর ডাইরেক্ট আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়া যাবে না সাথে পানি মিশিয়ে খেতে হবে।
সকালে খালি পেটে আপেল সিডার ভিনেগার খেলে কি হয়?
উত্তরঃ অ্যাপল সিডার ভিনেগার শরীরের ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ানোর মাধ্যমে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ইনসুলিনের কারণে গ্লুকোজ দেহের কোষে প্রবেশ করে এবং কোষে প্রবেশ করে বিভিন্ন বিপাকীয় কাজে ব্যবহৃত হয়। ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বেশি হলে গ্লুকোজ রক্তে মিশ্রিত অবস্থায় না থেকে বিপাকীয় কাজে ব্যবহার হয়ে যাবে।
লেখকের শেষ কথাঃ আপেল সিডার ভিনেগার এর উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রিয় পাঠক আজ আমরা এই আরর্টিকেল থেকে আপেলি সিডার ভিনেগার সম্পর্কে জানতে পারলাম,আপেল সিডার ভিনেগার কোনটা ভালো, আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার নিয়ম, আপেল সিডার ভিনেগার এর উপকারিতা ও অপকারিতা, আপেল সিডার ভিনেগার দাম কত, আপেল সিডার ভিনেগার কি ফ্রিজে রাখতে হয়, ওজন কমাতে আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার নিয়ম, আপেল সিডার ভিনেগার কতদিন খাওয়া যায় ইত্যাদি বিষয়ে আমরা বিস্তারিত জানতে পারলাম। ভালো ভালো পোষ্ট পেতে এই ওয়েবসাইড ভিজিট করুন। ধন্যবাদ সকলকে।
msta2z.comব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url