তৈলাক্ত মুখের জন্য কোন ফেসওয়াস ভালো - ফেসওয়াশ ব্যবহারের নিয়ম
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। নিশ্চয় আপনারা আল্লাহর রহমতে সকলেই ভালোই আছেন। বন্ধুরা আজ আমরা এই আরর্টিকেলে তৈলাক্ত মুখের জন্য কোন ফেসওয়াস ভালো - ফেসওয়াশ ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। কোন ফেসওয়াশ ভালো এবং এবং ফেসওয়াশ ব্যাবহারের নিয়ম নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে। তো বন্ধুরা আজ আমরা এই আরর্টিকেলে সে সব বিষয় নিয়ে আপনাদের কে বিস্তারিত জানাবো।
তৈলাক্ত মুখের জন্য কোন ফেসওয়াস ভালো - ফেসওয়াশ ব্যবহারের নিয়ম? সকলের স্কিন এক রকম নয়। একেক জনের স্কিনের একেক রকম সমস্যা হয়ে থাকে। সাধারনত স্কিন টাইপ ৫ ধরনের দেখা যায়। কারো স্কিন নরমাল কারো ড্রাই, কারো তৈলাক্ত, কারো সেনসিটিভ এবং কম্বিনেশন স্কিন রয়েছে। তো বন্ধুরা আর দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক তৈলাক্ত মুখের জন্য কোন ফেসওয়াস ভালো এবং ফেসওয়াশ ব্যবহারের নিয়ম?
তৈলাক্ত মুখের জন্য কোন ফেসওয়াস ভালো?
তৈলাক্ত মুখের জন্য কোন ফেসওয়াস ভালো? বাজারে তো অনেক রকমেরি ফেসওয়াশ আছে তার মধ্যে কোন ফেসওয়াশ ভালো তা চিনা সহজ ব্যাপার নয়। প্রত্যেক ফেসওয়াশ বিক্রেতা বলবে সব ফেসওয়াস ভালো কিন্তু আপনাকে জেনে বুঝে কিনতে হবে। ফেসওয়াশ কেনার আগে ভালো করে পরে দেখবেন ফেসওয়াস কেমিক্যালে পরিপূর্ণ হয়ে থাকে কিন্তু। ফেসওয়াশের কেমিক্যাল আপনার ত্বকের জন্য কিন্তু বেশ ক্ষতিকর।
আরো পড়ুনঃ ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ক্রিম ক্লোভেট
যে সকল ফেসওয়াশে বেশি কেমিক্যাল যুক্ত থাকে সেকল ফেসওয়াশ গুলো হলো, লাকমি, ফেয়ার এন্ড লাভলী, জয়, হিমালয়া, ইত্যাদি ফেসওয়াশ গুলোতে প্রচুর পরিমানে কেমিক্যাল, সুগন্ধি এবং রং মেশানো হয়। আর কেমিক্যাল বীহিন তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ফেসওয়াশ ব্যাবহার করতে চাইলে নিচে পড়তে থাকুন। তৈলাক্ত মুখের জন্য কোন ফেসওয়াশ ভালো চলুন জেনে নিই।
নিউট্রোজিনা অয়েল ফ্রি অ্যাকনে ফেসওয়াশ টি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেশ কার্যকরী। এই ফেসওয়াশ টি ব্যাবহারের ফলে মুখের তেলতেলে ভাব কেটে যায় এবং চেহারায় উজ্জলাতা ও মসৃনতা নিয়ে আসে। এই ফেসওয়াশে আছে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ২%, সোডিয়াম সি ১৪-১৬ ওলেফিন সালফোনেট যা ব্রণের সমস্যা সমস্যা সমাধানে দারুন কার্যকরী। এই ফেসওয়াশ টি এ্যালকোহল ফ্রি ফেসওয়াশ যা ভেতর থেকে ডিপ ক্লিন করে।
এই ফেসওয়াশে আছে হলুদের সকল গুনাগুণ। এই ফেসওয়াশ ব্যাবহার করলে মুখের উজ্জলতা ফিরিয়ে আনে। এবং মুখের ফ্যাকাশে ভাব দুর করে। যাদের মুখে বলিরেখার ছাপ আছে তাদের জন্য এই ফেসওয়াশ দারুন কার্যকরী। কারন বলিরেখার ছাপ দূর করবে সহজেই। মুখ থেকে যে সব তেল বের হয় এবং ব্রণ দুর করতে নিউট্রোজিনা ক্লিয়ার এন্ড সুদ মূজ ক্লিনজার ফেসওয়াশ দারুন কাজ করে।
সিম্পল ডেইলি স্কিন ডিটক্স পিউরিফায়িং ফেসিয়াল ওয়াশ ব্যাবহার করে আপনার মুখের তেলতেলে ভাব দূর করুন সহজেই। এই ফেসওয়াশ টি ব্যাবহারে আপনার ব্রণের এবং মুখের তৈলাক্ত ভাব দুর করবে। আর ত্বক হয়ে উঠেবে উজ্জল ও চকচকে নিজের চেহারা দেখে নিজেই চমকে উঠবেন। যদি আপনার ত্বক তৈলাক্ত হয় তাহলে এই ফেসওয়াশ টি ব্যাবহার করতে পারেন নিঃসন্দেহে। তৈলাক্ত মুখের জন্য এই ফেসওয়াস ভালো?
পন্ড'স পিম্পল ক্লিয়ার ফেসওয়াশ ব্যাবহার করে ব্রণে ভরা মুখ ও তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নিতে পারবেন সহজেই। অনেক চেষ্টা করেও ব্রণ ২-৩ সপ্তাহে ও ভালো হয় না কিন্তু পন্ড'স পিম্পল ক্লিয়ার ফেসওয়াশ ব্যাবহারে ৫-৭ দিনের মধ্যে আপনার মুখের ব্রণ এবং তেলভাব দুর হয়ে যাবে। তৈলাক্ত মুখের জন্য এই ফেসওয়াস ভালো?
পিয়ার্স আলট্রা মাইল্ড ফেসওয়াশ ইন অয়েল ক্লিয়ার গ্লো ফেসওয়াশ টি লেবুর নির্যাস থেকে তৈরী। গরমের সময় এই ফেসওয়াশ টি ব্যাবহার করলে আপনার চেহারার তৈলাক্ত ভাব একে বারেই কমে দিবে। লেবু ত্বকের জন্য কিরকম কাজ করে সেই রকম এই ফেসওয়াশ ত্বকের জন্য খুব কার্যকরী। নিয়মিত ব্যাবহার করলে এই ফেসওয়াশ টি আপনার মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করবে তার সাথে সাথে মুখের উজ্জলতা ও কোমলতা বাড়াবে।
শুষ্ক ত্বকের জন্য কোন ফেসওয়াস ভালো?
শুষ্ক ত্বকের জন্য কোন ফেসওয়াস ভালো তা অনেকেই খুজেন। যাদের মুখের ত্বক শুষ্ক তাদের জন্য সব ধরনের ফেসওয়াশ ব্যাবহার করা যাবে না। শুষ্ক ত্বকের জন্য আলাদা ফেসওয়াশ আছে। ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখার জন্য ভালো ফেসওয়াশ সকলেই চায়। প্রিয় পাঠক আজকে আপনাদেরকে জানাবো
শুষ্ক ত্বকের জন্য কোন ফেসওয়াস ভালো? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
বডি শপ ভিটামিন ই মৃদু ফেসিয়াল ওয়াশ রয়েছে ভিটামিন -ই যা থাকার কারণে Wheat germ oil গরমের তেল রয়েছে। এই ফেসওয়াশ ব্যাবহারের ফলে আপনার ত্বক নরম করবে এবং এবং শুষ্ক থেকে তেলতেলে হয়ে যাবে। ফেসওয়াশ টি ব্যাবহারে ত্বককে ময়েশ্চারাইজড এবং হাইড্রেট রাখে। ত্বকের ন্যাচারাল অয়েল ধরে রাখে। নেই। শুষ্ক ত্বকের জন্য এই ফেসওয়াস ভালো?
Cerave হাইড্রেটিং ক্লিনজার নরমাল থেকে শুষ্ক ত্বকের জন্য উপযোগী। ব্রণ যুক্ত ত্বকের জন্য এই ফেসওয়াশ টি বেশি কাজ করে। এই ফেসওয়াশ ব্যাবহারে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। ত্বকের সঠিক আদ্রতা ধরে রাখে এবং ত্বকের ভেতরের ময়লা বের করে আনে। নেই। শুষ্ক ত্বকের জন্য এই ফেসওয়াস ভালো?
গ্লো বুস্টার ফেসিয়াল ওয়াশ শুষ্ক ও সেনসিটিভ দুটো ত্বকের জন্য উপযোগী। এই ফেসওয়াশ ব্যাবহারে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষ করে এবং চোখের নিচে ভাজ এবং চোখের নিচে কালো দাগ দুর করে। তাছারা ও এই ফেসওয়াস টি ব্যাবাহারে ত্বকের মৃত কোষ গুলো পরিষ্কার করে এবং ভেতর থেকে ত্বকের ময়লা দূর করে ত্বককে নরম ও কোমল করে তুলে।
শুষ্ক ত্বকের জন্য Pears আল্ট্রা মাইল্ড ফেসওয়াশ দারুন কার্যকর ভৃমিকা পালন করে। এই ফেসওয়াশ ব্যাবহারে ত্বক ভিতর থেকে পুরোপুরি পরিষ্কার করে এবং ত্বক শুষ্ক ও হতে দেয় না। এবং ত্বক হয় কোমল, নরম এবং উজ্জল। শুষ্ক ত্বক নরম ও কোমল করতে এই ফেসওয়াশ টি নিঃসন্দেহে ব্যাবহার করতে পারবেন। কোন সমস্যা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
নেই। শুষ্ক ত্বকের জন্য এই ফেসওয়াস ভালো?
ফেসওয়াশ ব্যবহারের উপকারিতা?
ফেসওয়াশ ব্যবহারের উপকারিতা? মুখের ত্বক পরিষ্কার রাখা এবং উজ্জল রাখার জন্য ফেসওয়াশ
ব্যাবহার করা হয়। সারাদিনের ধুলোবালি মুখের ত্বকে পরে ত্বক আদ্রতা হারিয়ে ফেলে এই জন্য ফেসওয়াশ ব্যাবহার করলে মুখের উজ্জলতা ফিরে আসে। ফেসওয়াশ ব্যাবহারে শুধু মুখের উজ্জলতা বেড়ে যায় না বরং বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও সমাধান করে। ফেসওয়াশ ব্যাবহারের উপকারিতা কি চলুন জেনে নেওয়া যাক।
- ফেসওয়াশ ব্যাবহারে ত্বকের ভিতরের ময়লা বের করে নিয়ে আসে।
- ত্বকের রং এবং গঠন উন্নত করে।
- ত্বকের ময়লা, তেল, শুষ্ককতা, মেকআপ দুর করে সহজেই।
- ফেসওয়াশ ব্যাবহারে ত্বকের উজ্জলতা বাড়ে এবং ত্বক কোমল করে তুলে।
- চোখের নিচের ভাজ এবং চোখের নিচের কালো সহজেই দুর করে। ফেসওয়াশ ব্যবহারের উপকারিতা?
ফেসওয়াশ ব্যবহারের ক্ষতি?
ফেসওয়াশ ব্যবহারের ক্ষতি? দিনে ৩-৪ বার মুখের ত্বকে ফেসওয়াশ ব্যাবহার করলে মুখের উজ্জলতা নষ্ট হয়ে যায়। যার ফলে ত্বক দিনে দিনে রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়। বেশি ফেসওয়াশ ব্যাবহার করলে উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ফেসওয়াশ ব্যাবহারে ক্ষতি কি?
দিনে ২ বারের বেশি ফেসওয়াশ ব্যাবহার করলে ত্বকের উজ্জলতা নষ্ট হয়ে যাবে এবং ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যাবে। বেশি ফেসওয়াশ ব্যাবহার করলে ত্বকের পটেনশিয়াল অফ হাইড্রেজেন নষ্ট হয়ে যায়। ত্বকের পটেনশিয়াল অফ হাইড্রেজেন একবার নষ্ট হয়ে গেলে ত্বকের স্বাভিকতা ফিরে আনতে সময় লাগবে। পটেনশিয়াল অফ হাইড্রেজেন মানে একটি পদার্থের এসিডিক। যা আপনার ত্বককে ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে।
যখন ত্বকের পটেনশিয়াল অফ হাইড্রেজেন নষ্ট হয়ে যায় তখন ত্বক রুক্ষ, মলিন, এবং অতিরোক্ত তৈলাক্ত হয়ে যায়। যা হলে ত্বকে ব্রণ ,র্যাশের সমস্যা দেখা দেয়। ত্বকের উজ্জলতা দিনে দিনে নষ্ক হতে থাকে। এই জন্য বলছি ফেসওয়াশ ব্যাবহার করলেই হবে না। তার গুনাগুন, উপকারিতা, অপকারিতা জেনে ব্যাবহার করতে হবে। এতে আপনার ত্বক ভালো থাকবে। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।ফেসওয়াশ ব্যবহারের ক্ষতি?
দিনে কতবার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়া উচিত?
দিনে কতবার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়া উচিত? আমরা অনেকেই আছি না জেনে বুঝে ফেসওয়াশ ব্যাবহার করে থাকি। কোন ফেসওয়াশ ভালো হবে, শুষ্ক ত্বকের জন্য কোন ফেসওয়াশ, রুক্ষ ত্বকের জন্য কোন ফেসওয়াশ এবং দিনে কতবার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়া উচিত তা আমরা সঠিক ভাবে না জেনে বুঝে ফেসওয়াশ ব্যাবহার করেই যাই। যার ফলে আমাদের ত্বকে অজান্তেই বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক দিনে কতবার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়া উচিত?
ফেসওয়াশ ব্যাবহার করে মুখের ত্বক ভালো রাখতে দিনে ২ বার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিবেন। সকালে একবার এবং রাতে শুতে যাওয়ার আগে একবার। তবে বাইরে রোদ থেকে এসে ফেসওয়াশ দিয়ে অবশ্যই মুখ ধয়ে নিবেন একবার। এতে ত্বকের জন্য ভালো হয়। এভাবে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুলে অল্প দিনেই ভালো ফলাফল পাবেন। দিনে ২ বার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়া উচিত? দিনে ২ বার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়া উচিত?
ফেসওয়াশ ব্যবহারের নিয়ম?
ফেসওয়াশ ব্যবহারের নিয়ম? মুখের ত্বক ভালো রাখার জন্য সাবান না ফেসওয়াশ ব্যাবহার করতে হবে। ফেসওয়াশ ব্যাবহার করলে ত্বকের ভিতরের ময়লা এবং তেলতেলে ভাব দুর করে দেয়। যার ফলে ত্বক হয় সুন্দর, উজ্জল, কোমল ও নরম। ফেসওয়াশ ব্যাবহার করে উজ্জল এবং কোমল ত্বক পাওয়ার জন্য সঠিক নিয়মে ফেসওয়াশ ব্যাবহার করতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সঠিক ভাবে ফেসওয়াশ ব্যাবহারের নিয়ম?
- দিনে ২ বার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিবেন। সকালে এবং রাতে। ফেসওয়াশ ব্যবহারের নিয়ম?
- ফেসওয়াশ ব্যাবহার করার আগে অবশ্যই দুই হাত ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। কারন হাতে থাকা ব্যাবটেরিয়া মুখের সাথে মিলেয়ে যাবে। ফেসওয়াশ ব্যবহারের নিয়ম?
- মুখে আগে পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিবেন তারপর হাতে পরিমান মতো ফেসওয়াস নিয়ে আগে দুই হাতের তালুতে ফানা করে কপাল, চোখের গোরালি, কানের নিচে, থুতনির নিচে হালকা করে ঘুষুন। ১-২ মিনিট।
- ভালো করে ঘষা হয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। হালকা কুসুম গরম পানি দিলে ও হবে আবার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুলেও হবে।
- একটি পরিষ্কার তোয়ালা বা গামছা দিয়ে মুখ শুকিয়ে নিবেন।।
ভালো ফেসওয়াশ চেনার উপায়?
ভালো ফেসওয়াশ চেনার উপায়? বাজারে বিভিন্ন ধরনের ফেসওয়াশ বিক্রি হচ্ছে। কোন টা আসল আর কোনটা নকল জানা না থাকলে ফেসওয়াশ কিনে ত্বকে ব্যাবহার করলে ত্বকের মারাত্বক ক্ষতি হতে পারে। এমন ফেসওয়াশ আছে যে গুলোর গায়ে লেখা থাকে বাইরের দেশের কোম্পানির নাম। আবার যেগুলো দেখে অনেকেই মনে করে এটাই মনে হয় আসল পন্য। কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক ভালো ফেসওয়াশ চেনার উপায় কি?
- ফেসওয়াশের প্যাকেজিং এর দিকে ভালো করে দেখবেন। কারন ফেসওয়াশ যদি নকল হয় তাহলে প্যাকেজিং এ কোন ত্রুটি থাকবে।
- যে ব্রান্ডের ফেসওয়াশ কিনবেন সে ব্রান্ডের ওয়েবসাইডে গিয়ে পণ্যের আসল চেহারা টা দেখবেন এবং প্রত্যেকটি লেখা মিলাবেন।
- যে দোকান অনুমোদিত সে দোকান থেকে পণ্য কিনবেন। ছোট বড় দোকান দেখার প্রয়োজন নেই। আসল পণ্য ছোট দোকানেও পাবেন এবং বড় দোকানেও পাবেন। ভালো ফেসওয়াশ চেনার উপায়?
- আর ফেসওয়াশ কেনার আগে ডেট/ তারিখ দেখে কিনবেন।
গরমে কোন ফেসওয়াস ভালো?
গরমে কোন ফেসওয়াস ভালো? ফেসওয়াস যেহেতু রেগুলার ব্যাবহারের জিনিষ। সেহেতু ভালো ফেসওয়াশ জেনে বুঝে কিনতে হবে এবং ব্যাবহার করতে হবে। গরমে কোন ফেসওয়াশ ভালো সেটা নির্ভর করবে আপনার মুখের ত্বকের উপর। কারন সবার ত্বক একই রকম না। যার ত্বক যে রকম সে রকম ফেসওয়াস ব্যাবহার করতে হবে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক আপনার ত্বকের জন্য গরমে কোন ফেসওয়াশ ভালো ?
- ক্লিন অ্যান্ড ক্লিয়ার ফেসওয়াশ ( Clean and clear face wash)
- গার্নিয়ার মেন অ্যাকনো ফাইট অ্যান্টি-পিম্পল ফেসওয়াশ (Garnier Men Acknow Fight Anti-Pimple Face Wash)
- পন্ড’স পিওর আন্টি-পলিউশন + পিউরিটি ফেসওয়াশ (Pond's Pure Anti-Pollution + Purity Face Wash)
- হিমালয় হার্বালস পিউরিফাইং নিম ফেস ওয়াশ (Himalaya Herbals Purifying Neem Face Wash)
- Cetaphil অয়েলি স্কিন ক্লিনজার ফেসওয়াশ (Cetaphil Oily Skin Cleanser Facewash)
- ল্যাকমে অ্যাবসোলিউট পারফেক্ট রেডিয়েন্স স্কিন লাইটেনিং ফেসওয়াশ (Lakme Absolute Perfect Radiance Skin Lightening Facewash)
- অ্যান্টি-অ্যাকনি অয়েল কন্ট্রোল ফেসওয়াশ (Anti-acne oil control face wash)
- লরিয়াল প্যারিস হোয়াইট পারফেক্ট মিল্কি ফোম ফেসওয়াশ (L'Oreal Paris White Perfect Milky Foam Face Wash)
গরমের সময় উপরের ফেসওয়াশ গুলো আপনার তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভালো হবে। উপরের যে কোন একটি ফেসওয়াশ আপনি গরমের সময় নিঃসন্দেহে ব্যাবহার করতে পারবেন। কোন সমস্যা হবে না। এখন এই আরর্টিকেলে আপনাদেরকে জানাবো শীতের জন্য কোন ফেসওয়াশ ভালো হবে। জানতে হলে পড়তে থাকুন-
শীতের জন্য কোন ফেসওয়াস ভালো?
শীতের জন্য কোন ফেসওয়াস ভালো? আবহাওয়া বদলের সাথে সাথে ত্বকের পরিচর্যা ও বদল হয়ে যায়। শীতের সময় একটু ত্বকের বেশি যত্ন নিতে হয়। কারন শীতের সময় ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। শীতের সময় কোনধরনের ফেসওয়াশ ব্যাবহার করলে আপনার ত্বকের জন্য ভালো হবে তার একটি তালিকা নিচে দেওয়া হলো। চলুন জেনে নেওয়া যাক শীতের জন্য কোন ফেসওয়াশ ভালো?
- ল্যাকমে ব্লাশ অ্যান্ড গ্লো স্ট্রবেরি ক্রিম ফেসওয়াশ উইথ স্ট্রবেরি এক্সট্রাক্ট
- পন্ড'স ব্রাইট বিউটি স্পট-লেস গ্লো ফেসওয়াশ উইথ ভিটামিনস
- সিম্পল কাইন্ড টু স্কিন ময়শ্চারাইজিং ফেসিয়াল ওয়াশ
- কিউকাম্বার এন্ড এলোভেরা ফেসওয়াশ
- লোটাস হোয়াইট লো ভিটামিন-সি ফেসওয়াশ
- প্লাম হোয়াইট ক্লে ফেসওয়াশ
- এম ক্যাফেন ফেসওয়াশ
- সিম্পেল মশ্চারাইজিং ফেসওয়াশ
- পিয়ার্স পিউর গ্লিসারিন ফেসওয়াশ
- নিভিয়া মিল্ক ডিলাইট ফেসওয়াশ।
শীতের জন্য এই ফেসওয়াশ গুলো খুব ভালো। উপরের দেওয়া ফেসওয়াশ গুলোর মধ্যে যে কোন একটি শীতের সময় আপনার মুখের ত্বক পরিষ্কার করতে ব্যাবহার করতে পারেন।
FAQ । তৈলাক্ত মুখের জন্য কোন ফেসওয়াস ভালো?
ত্বক উজ্জ্বল করে কোন ফেসওয়াশ?
উত্তরঃ অ্যাকোয়ালোজিকা ভিটামিন সি ফেসওয়াশ উজ্জ্বল এবং উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ভালো। এতে পেঁপে এবং ভিটামিন সি এর মতো প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে।
ব্রণের জন্য সবচেয়ে ভালো ক্রিম কোনটি
উত্তরঃ নোভাক্লিয়ার একনি ক্রিম, নোভাক্লিয়ার একনি ক্লিনজার, নরম্যাকনে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল,ক্লিনজিং ফেসিয়াল জেল,নরম্যাকনে একনি স্পট ট্রিটমেন্ট। এই ক্রিম গুলো ব্রণের জন্য সবচেয়ে ভালো ক্রিম।
ছেলেদের জন্য সবচেয়ে ভালো ফেসওয়াশ কোনটি?
উত্তরঃ নিউট্রোজিনা মেন স্কিন ক্লিয়ারিং একনে ওয়াশ, লরিয়াল মেন এক্সপার্ট হাইড্রা এনার্জেটিক ওয়েক-আপ ইফেক্ট ফেইস ওয়াশ, এই ফেসওয়াশ গুলো ছেলেরা ব্যাবহার করে। এগুলো ছেলেদের জন্য সবচেয়ে ভালো ফেসওয়াস।
রাতে ফেসওয়াস দিয়ে মুখ ধোয়া যাবে?
উত্তরঃ হ্যা, রাতে একবার এবং সকালে একবার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়ার সঠিক নিয়ম। তাছারাও বাইরে থেকে আসলে ঠান্ডা পানি ও ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
১২ বছরের বাচ্চারা কি ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারবে?
উত্তরঃ ১২ বছর থেকে মুখের হালকা যত্ন নিতে শুরু করুন। ১২ বছর বাচ্চারা একটু একটু করে ফেসওয়াশ ব্যাবহার করতে পারবে।
রাতারাতি মুখের শুষ্কতা দূর করার উপায়?
উত্তরঃ নারকেল তেল: শুতে যাওয়ার আগে আপনার মুখের চারপাশে শুষ্ক ত্বকে অল্প পরিমাণে নারকেল তেল লাগান এবং সারারাত রেখে দিন। নারকেল তেলে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা ত্বককে হাইড্রেট এবং পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে।
শেষ কথাঃ তৈলাক্ত মুখের জন্য কোন ফেসওয়াস ভালো?
প্রিয় পাঠক আজ আমরা এই আরর্টিকেল থেকে জানলাম, তৈলাক্ত মুখের জন্য কোন ফেসওয়াস ভালো, শুষ্ক ত্বকের জন্য কোন ফেসওয়াস ভালো, ফেসওয়াশ ব্যবহারের উপকারিতা, ফেসওয়াশ ব্যবহারের ক্ষতি, দিনে কতবার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়া উচিত, ফেসওয়াশ ব্যবহারের নিয়ম, ভালো ফেসওয়াশ চেনার উপায়, গরমে কোন ফেসওয়াস ভালো, শীতের জন্য কোন ফেসওয়াস ভালো ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আমরা জানলাম।
আমাদের ওয়েবসাইডের আরর্টিকেল গুলো পড়ে ভালো লাগলে পরিচিতদের মধ্যে সেয়ার করবেন এবং ভালো ভালো পোষ্ট পেতে এই ওয়েবসাইড ভিজিট করবেন। সকলেই ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।
msta2z.comব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url