কোন আমল করলে স্বামী পাগলের মত ভালবাসবে জেনে নিন
কোন আমল করলে স্বামী পাগলের মত ভালবাসবে এই বিষয় নিয়ে আজকের এই পোষ্ট। অনেক স্বামী আছে যারা স্ত্রীর সাথে ঝগড়া লাগতেই থাকে। স্ত্রী কোন কিছু তার সহ্য হয় না। সংসারে শান্তি নষ্ট করে এবং বিচ্ছেদের মতো অবস্থা হয়ে যায়। বন্ধুরা আমাদের এই পোষ্টে আজকে লেখবো কোন আমল করলে স্বামী পাগলের মতো ভালোবাসবে। কোন আমল করলে স্বামী পাগলের মত ভালবাসবে এবং স্বামীকে সুখে রাখার ১০ টি টিপস।
স্বামী রাগ করলে কি করতে হবে ইত্যদি বিষয় গুলো নিয়ে আজ আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো।কিভাবে স্বামীকে ভালো বাসতে হবে কিভাবে স্বামীর সাথে চললে স্বামীর সংসার টিকানো যাবে ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হলে আমাদের এই পোষ্ট শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। তাহলে সকল বিষয় গুলো ভালো করে জানতে পারবেন।
স্বামীকে সুখে রাখার ১০টি টিপস?
স্বামীকে সুখে রাখার ১০টি টিপস? স্ত্রীর জন্য স্বামী আর স্বামীর জন্য স্ত্রী। দুজন দুজনকে ভালো রাখার চেষ্টা করতে হবে। অনেক স্ত্রীরা বিভিন্ন মানুষের কাছে জানতে চান যে কি উপায় অবলম্বন কররে স্বামীকে সুখে রাখা যায়। সে সব স্ত্রীর জন্য আমাদের এই অধ্যায়। স্বামীকে সুখে রাখার ১০টি টিপস নিয়ে আজ আমরা আলোচনা করবো। যে টিপস গুলো ফলো করলে আপনি আপনার স্বামীকে সুখে রাখতে পারবেন ইনশাল্লাহ। টিপস গুলো নিচে দেওয়া হলো-
১ নং টিপসঃ স্বামীকে সুখে রাখার জন্য প্রথম টিপস হলো স্ত্রীকে সব সময় পরিষ্কার হয়ে থাকতে হবে এবং নিজের চুল, চেহারা, হাত -পা গুছিয়ে রাখতে হবে। স্বামী বাহিরে থেকে আসলে হাসি মুখে কথা বলতে হবে। স্বামী যেন বাহিরে থেকেই এসে ঘরের স্ত্রীকে দেখেই মন শান্ত হয়ে যায়। তাহলে ঘরের সুখ শান্তি বজায় থাকবে।
২ নং টিপসঃ দিনে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়বেন এবং স্বামীর মঙ্গলের জন্য দুই রাকাত করে নফল নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন। দেখবেন আল্লাহর রহমতে আপনার সংসার দুনিয়াতে জান্নাতি সংসার হয়ে যাবে।
৩ নং টিপসঃ সংসারের শান্তি বজায় রাখার জন্য একজন স্ত্রীকে ভালো হাতের রান্না জানতে হবে। বিশেষ করে সব পদের রান্না জানতে হবে। মজাদার মাজাদার স্বাদ যুক্ত রান্না স্বামী কে খাওয়াতে হবে তাহলে দেখবেন স্বামী খুব সুখি থাকবে এবং সংসারে শান্তি হবে।
৪ নং টিপসঃ স্বামীর কানের কাছে সবসময় শ্বশুর-শ্বাশুরী, ননদ-জা, দেবর-ভাসুর ইত্যাদির বিষয় নিয়ে কানের কাছে ঘ্যানর ঘ্যানর করা যাবে না। এতে স্বামীর মাথা বিগরিয়ে যায়। যদি কিছু বলার থাকে তাহলে স্বামীর মাথা যখন ঠান্ডা থাকবে তখন সুন্দর করে বুঝিয়ে বলতে হবে তাহলে দেখবেন ঐ সংসারে শান্তি আসবে।
৫ নং টিপসঃ স্বামীর ফোনে যখন কারো কল আসবে তখন স্বামীকে জিঙ্গেস না করে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। এমন কি কারো সাথে প্রেম করলে তার সাথে ঝামেলা না করে বঝিয়ে বলার চেষ্টা করবেন তাহলে দেখবেন উরাধুরা প্রেম একদিন স্ত্রীরির ভালোবাসায় ঝরে পরে গেছে।
৬ নং টিপসঃ স্বামী যখন মিলন করতে চাইবে সেটা রাত হোক বা দিন হোক তখনই রাজি হতে হবে। অবশ্যই একটি মেয়েকে বিছানায় তার স্বামীকে খুশি রাখাতে হবে। স্বামী খুশি তো সংসারে প্রচুর শান্তি।
৭ নং টিপসঃ স্বামীর অসুস্থ্য হলে সেবা করতে হবে এবং কোন টেনশানে পড়লে টেনশান দুর করার চেষ্টা করতে হবে। তাকে বোঝাতে হবে যে টেনশান করো না বা কোন উপায়ে টেনশান দূর করা গেলে সেই উপায় বলতে হবে। তাহলে দেখবেন আপনার স্বামীর মনে অনে সুখ ও শান্তি থাকবে।
৮ নং টিপসঃ স্বামীকে কোন উচু-নিচু কথা বলা যাবে না। বাপের বাড়ির কোন জিনিষের তুলনা দেওয়া যাবে না। স্বামীর মুখে মুখে তর্ক করা যাবে না তাহলে দেখবেন আপনার উপর রাগ হলেও একটু পরে সেই রাগ পানির মতো ঠান্ডা হয়ে গেছে।
৯ নং টিপসঃ স্বামী কে টাকা দিয়ে সাহায্য না করতে পারেন কিন্তু কোন বিপদে পড়লে ভালো বুদ্ধি দিয়ে সাহায্য করতে হবে। কারন বিপদে পড়লে অনেক ছেলে মানুষের মাথা কাজ করে না মানে বুদ্ধি পায় না। সেই সময় যদি আপনি স্ত্রী হয়ে ভালো পরামর্শ দেন তাহলে স্বামী মনে সাহস পাবে। এবং স্বামীর মনে একটা অন্য রকম সুখ থাকবে।
১০ নং টিপসঃ স্বামীর যে কোন ভালো মতামতকে গুরত্ব দিতে হবে। এর খারাপ যদি মতামত থাকে তাহলে তাকে সুন্দর করে বুঝিয়ে বলতে হবে। তাহলে সে ভালো ভাবে বুঝতে পারবে। স্বামীকে সুখে রাখার ১০টি টিপস?
১১ নং টিপসঃ স্বামী যে সব জিনিষ পছন্দ করে সে সব জিনিষ স্ত্রীর ও পছন্দ করতে হবে। মানে স্বামীর সকল সখ গুলো কে পছন্দ করতে হবে। যে সকল ব্যাপার গুলো স্বামী পছন্দ করে না সে সকল ব্যাপার অবশ্যই এরিয়ে চলবেন। স্বামীকে সুখে রাখার ১০টি টিপস?
১২ নং টিপসঃ স্বামীর পিতা মাতাকে ভালো বাসতে হবে। সেবা যত্ন করতে হবে। স্বামী যদি তার পিতা মাতাকে টাকা দেয় বা সখের জিনিষ দেয় তাহলে মন খারাপ করা যাবে না।
১৩ নং টিপসঃ কোন পারা প্রতিবেশী বা আত্নীয় স্বাজনের কাছে স্বামীর নামে দুর্নাম করা যাবে না। আজে বাজে কথা বলা যাবে না।
১৪ নং টিপসঃ স্বামী কোন কাপর বা খাবার এনে দিলে তাতে সন্তুষ্টি থাকতে হবে। যে কাপর এনে দিবে সেই কাপরি খুব আগ্রহের সাথে এবং সন্মান দিয়ে নিতে হবে।
১৫ নং টিপসঃ সংসারের কোন কাজ স্বামীর জন্য ফেলে রাখা যাবে না। স্বামীর কাছে কোন কথা লুকানো যাবে না। যে কোন কথা তার কাছে খুলে বলার চেস্টা করবেন। এতে স্বামীর কাছে বিশ্বস্ত হবেন এবং স্বামী সুখে থাকবে।
কথায় আছে সংসার সুখে হয় রমনীর গুনে। সংসার সুখের করতে গেলে রমনীকে আগে সুখি থাকতে হবে স্বামীর প্রত্যেকটা কথাকে প্রাধান্য দিতে হবে এবং স্বামীর সাথে সবসময় হাসি মুখে কথা বলার চেষ্টা করতে হবে। স্বামী যদি সুখে থাকে দুনিয়াতে ও সুখ পাবেন এবং পরকালেও আল্লাহর ভালোবাসা পাবেন। প্রিয় মা ও বোনেরা কেউ যদি স্বামীকে সুখে রাখার টিপস গুলো অবলম্বন করতে চান তাহলে উপরের টিপস গুলো অবলম্বন করুন ভালো ফলাফল পাবেন আশা করা যায়।
কোন আমল করলে স্বামী পাগলের ভালবাসবে?
কোন আমল করলে স্বামী পাগলের ভালবাসবে? যারা প্রেম করে বিয়ে করে বা বেধর্মী মেয়েকে বা ছেলেকে বিয়ে করে সংসার করে তাদের সংসারে প্রায়ই অশান্তি লেগেই থাকে। পিতা- মাতার দোয়া ছারা কোন বিয়ে করলে সেই সংসারে অশান্তি লেগেই থাকে। হয়তো দেখা যায় স্ত্রী স্বামীকে ঠিক মতো ভালোবাসে না আবার স্বামী ও স্ত্রী কে ঠিক মতো ভালোবাসে না। এর জন্য এমন একটা আমল আছে যে আমল মোট ৭ দিন করলে স্বামী তার স্ত্রীকে পাগলের মতো ভালোবাসবে।
নিচের দেওয়া আমলটি ৭০৭ বার পাঠ করে কোন মিষ্টি জাতীয় খাবারের উপর ফু দিয়ে স্বামীকে ৭ দিন খাওয়াতে হবে। মানে আমল টি মোট ৭ দিন করতে হবে। ৭০৭ বার দোয়াটি পড়ার সময় প্রথমে একবার বিসমিল্লাহ বলতে হবে। বারে বারে বলার প্রয়োজন নেই। আর আমল টি করার সময় অবশ্যই মনকে ভালো রাখতে হবে। এই দোয়াটি শুরু করার আগে তিন বার দরুদ শরীফ পরবেন এবং শেষে তিন বার দরুদ শরীফ পড়বেন। আমলটি হলো-
উচ্চারণ- অ-মিন আয়া**তিহি আন খালাকা লা**কুম মিন আনফু**সিকুম আযওয়া**জাললি তাসকুনু ইলা**য়ইহা অ জায়ালা বাইনাহু**ম মাওয়া**দ্দাতাও অ**রহমাহ (সুরা রোর ২১)
অর্থ- আর এক নিদর্শন এই যে তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সঙ্গিনীদের সৃষ্টি করেছেন যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি পাও ৷ এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পারিক সম্পৃতী ও দয়া সৃষ্টি করেছেন ৷
প্রিয় মা ও বোনেরা উপরের আমল টি ভালো করে শহিশুদ্ধ ভাবে করতে পারলে আপনার স্বামী আপনাকে পাগলের মতো ভালোবাসবে। আমলের পাশাপাশি আপনাকেও স্বামীর সাথে সুন্দর আচরন করতে হবে এবং স্বামীকে সন্দেহ করা যাবে না আর স্বামীর সাথে ঝগরা করা বা মুখে মুখে তর্ক করা যাবে না। একজন স্ত্রী যদি চেষ্টা করে তাহলে তার স্বামীকে সুখি করতে পারে এবং সংসারে শান্তি আনতে পারে। এখন আমরা এই পোষ্টে বিস্তারিত জানাবো ভালোবাসা লাভের পরীক্ষিত আমল?
ভালোবাসা লাভের পরীক্ষিত আমল?
ভালোবাসা লাভের পরীক্ষিত আমল? এখানে যেই দোয়াটির কথা বা আমলটির কথা দেওয়া হয়েছে সেই আমল টি করলে ছেলে মেয়ে উভয় উভয়ের প্রতি ভালো বাসা বেড়ে যাবে। সেটা প্রেমিক -প্রেমিকা হোক বা স্বামী-স্ত্রী হোক। আর অবশ্যই মনে রাখবেন এই আমল টি যদি কোন অসৎ উদ্দেশে করা হয় তাহলে তার বীপরিত হতে পারে। যে এই আমলটি করবে সে তার দেল মনকে সৎ রেখে আমলটি করতে হবে। আয়াত টি তিন বার পড়ে কোন মিষ্টি জাতীয় খাবারের উপর ফু দিয়ে খাওয়াতে হবে। আমলটি হলো-
বাংলা উচ্চারণঃ হুয়াল্লাযী-আইয়াদাকা বিনাছরিহি অবিল মুমিনীন আল্লাফা বাইনা কুলুবিহিম লাউ আন ফাকতা মা ফিল আরদি জামীয়াম মা আল্লাফতা বাইনা কুলুবিহিম অলাকিন্নাল্লাহা আল্লাফা বাইনা কুলুবিহিম ইন্নাহু আযীযুন হাকীম ।
এই আমলটি ভালোবাসা লাভের পরীক্ষিত আমল। আমল টি করার সময় পাক পবিত্র হয়ে উত্তম রুপে অজু করে নামাজের ন্যায় বিছানায় বসে আমলটি তিন বার পাঠ করে মিষ্টি কোন খাবারের উপর ফু দিয়ে স্ত্রী হোক বা প্রেমিক- প্রেমিকা হোক তাকে খাওয়াতে হবে। আর যে খাবারের উপর আমল পড়ে ফু দিবেন সেই খাবার অন্য কেউ যেন না খায়। এভাবে কয়েক দিন আমল করুন তাহলে কাজ হয়ে যাবে আল্লাহর রহমতে।
স্বামী রাগ করলে ৪ টি কাজ করুন?
স্বামী রাগ করলে ৪ টি কাজ করুন? যে কোন সংসারে ঝগড়া বিবাদ হতেই পারে এটা স্বাবিক ব্যাপার। এমন কোন স্বামী-স্ত্রীর সংসার নেই যে সেই সংসারে অশান্তি হয় নাই। তবে ছেলেরা যেহেতু বাইরে কাজ করে টাকা ইনকাম করে সেহেতু তাদের মাথা অনেক সময় গরম হতেই পারে সেই বিষয় টা সামলাতে হবে তার স্ত্রী কেই। স্বামী যদি রাগ করে থাকে তাহলে ৪ টি কাজ করুন তাহলে দেখবেন সংসারে অশান্তি হবে না। স্বামী রাগ করলে যে ৪ টি কাজ করবেন তা নিচে দেওয়া হলো-
১. অনেক সময় দেখতে পাচ্ছেন যে, স্বামী যে কোন ব্যাপারে হোক রাগ করে আছে। তখন সেই স্ত্রী কে সর্তক হতে হবে। তখন স্বামীর সাথে এমন কোন কথা, ব্যাবহার করা যাবে না যেন ঝগরায় পরিনত হয়। তখন খুব সর্তক হয়ে কথা বার্তা বলতে হবে এবং স্বামীর রাগ কমানোর চেষ্টা করতে হবে।
২. স্ত্রীকে মনে করতে হবে যে, সে স্বামীর অধীনে এবং এই অধীনে থাকার মধ্যেই সাংসারিক ও পারিবারিক কল্যাণ ও শৃঙ্খলা রয়েছে স্বামীর রাগ সাময়িকভাবে তাকে সহ্য করে নিতে হবে। উল্টা রাগ হওয়া বা তর্ক করা যাবে না।৩.স্বামী রাগ হলে আর যদি সত্যিকারে স্ত্রী কোন অন্যায় নাও থাকে তবুও সেই মুহূর্তে স্ত্রী চুপ থাকা প্রয়োজন। স্বামীর সাথে তর্ক করা ঠিক নয়। কেননা তর্ক শুরু করলে স্বামীর রাগ আরো বেড়ে যাবে এবং শেষ পর্যন্ত কোন অঘটন ঘটে যেতে পারে।
যেমন মারধর করতে পারে বা তালাক দিতে পারে রাগের মুহূর্তে এসব ঘটে থাকে। অতএব স্বামী রাগ না বাড়িয়ে কমানোর চেষ্টা করা উচিত। স্ত্রী যদি কোন অন্যায় না থাকে আর সে স্বামীর রাগের মুহূর্তেও চুপ থাকে কথা কাটাকাটি না করে তাহলে পরে যখন স্বামীর রাগ ঠান্ডা হবে তখন সে নিজের রাগের জন্য অনুতপ্ত হবে এবং অন্যায় রাগ হওয়া সত্ত্বেও স্ত্রীর ধৈর্য এবং ভালো ব্যবহারের কারণে স্ত্রীর প্রতি মুগ্ধ হয়ে যাবে তার অনুগত হয়ে পড়বে। আর ভবিষ্যতের রাগ করতে গেলেও ভেবে চিন্তে রাগ করবে।
৩.স্বামী রাগ হলে যদিও স্ত্রীর সত্যিকারে কোন অন্যায় নাও থাকে তবুও সেই সময় স্ত্রীকে চুপ থাকতে হবে। এবং স্বামীর সাথে তর্ক করা যাবে না।
৪. স্বামীর রাগের পেছনে স্ত্রীর অন্যায় থাকুক বা না থাকুক স্ত্রীর উচিত খুশমোদ-তোশামোদ করে হলেও স্বামীর রাগ ভাঙ্গানো। আর স্ত্রীর যদি অন্যায় থাকে তাহলে তো তার জেদ ধরা চরম অন্যায় হবে। বরং সাথে সাথে তার স্বামীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। স্বামী রাগ করলে ৪ টি কাজ করুন?
রাগ ঈমানকে এমনভাবে ধ্বংস করে যেমন পিপুল গাছে তিক্ত রস মধুকে বিনিষ্ট করে। রসূল সাল্লাল্লাহু সালাম আরো বলেছেন যে, ক্রোধকে বাধা দেয় আল্লাহতালা কিয়ামতের দিন তার আজাবকে বাধা দিবেন। বেশি রাগ হলে ওজু করে নিতে হবে তাও যদি না কমে তাহলে শুয়ে পড়তে হবে। স্বামী রাগ করলে ৪ টি কাজ করুন?
কিভাবে স্বামীকে আকৃষ্ট করবেন?
কিভাবে স্বামীকে আকৃষ্ট করবেন? প্রত্যেকটা স্ত্রীই চায় তার স্বামীর ভালোবাসা পেতে। স্বামীকে নিজের প্রতি আকৃষ্ট করতে। স্বামী যদি স্ত্রীর প্রতি আকৃ্ষ্ট হয় তাহলে স্বামী অন্য কোন মেয়ের প্রেমে পরবে না। যে সকল উপায়ে স্বামীকে স্ত্রীর প্রতি আকৃষ্ট করা যায় সে সকল উপায় গুলো আমাদের এই পোষ্টে বিস্তারিত ভাবে দেওয়া হলো। কিভাবে স্বামীকে আকৃষ্ট করবেন?
- স্বামী বাইরে থেকে এলে স্বামীকে সালাম দিবেন। এবং ভালমন্দ জিঙ্গাসা করবেন। আর স্বামীর মেজাজ বুঝে কথা বার্তা বলার চেষ্টা করবেন।
- স্বামী স্ত্রীকে যে ভাবে দেখতে ভালো বাসে সে ভাবে থাকার চেষ্টা করতে হবে। যেমন, কোন কোন স্বামী স্ত্রীকে সব সময় সাজিয়ে রাখতে চায়। এই জন্য ঐ স্ত্রীর কাজ হবে তার স্বামীকে নিজের প্রতি আকৃ্ষ্ট করার জন্য সুন্দর ভাবে সাজে থাকতে হবে। এবং হাসি মুখে কথা বলতে হবে।
- স্বামী যখন বিছানায় বসবে তখন স্বামীর উরুতে মাথা রেখে শুতে হবে এবং কপালে চুম্বন দিতে হবে। এবং মজার মজার গল্প করতে হবে। হাসি ঠাট্টা করতে হবে।
- স্বামী যখন মেলামেশা করতে চাইবে তখনই সাড়া দিতে হবে। আর স্বামীকে খুশি করার জন্য স্বামীর সকল কথা শুনতে হবে।
- মাঝে মাঝে সুন্দর কাপর পড়ে স্বামীকে নিয়ে পার্কে বা নদীর ধারে ঘুরতে যেতে হবে।
- স্বামী যা খেতে পছন্দ করে তা নিজের হাতে বানিয়ে খাওয়াবেন।
- সন্তদের সামনে স্বামীর গুনগান করতে হবে। তাতে সন্তানেরা আপনার কাছ থেকে ভালো কিছু শিখতে পারবে।
- স্বামীর কাপর চোপর পরিষ্কার রাখুন এবং নিজের কাপর চোপর পরিষ্কার রাখুন তার সাথে শরীর পরিষ্কার রাখুন।
উপরোক্ত বিষয় গুলো যদি কোন স্ত্রী অবলম্বন করে তাহলে সেই স্ত্রীর প্রতি স্বামী অবশ্যই আকৃষ্ট হবে। যার স্বামী যেমন, সে অনুযায়ী তার স্বামীর সাথে চলাফেরা করতে হবে। আর স্বামীর কানের কাছে অবশ্যই ঘ্যানর ঘ্যানর করা যাবে না। এতে স্বামীর মাথা বিগরিয়ে যায়। প্রিয় মা ও বোনেরা আজ আমরা এই পোষ্টে আরো একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো তা হলো স্বামীর আয় রোজগার বৃদ্ধির দোয়া?
স্বামীর আয় রোজগার বৃদ্ধির দোয়া?
স্বামীর আয় রোজগার বৃদ্ধির দোয়া? প্রত্যেক টা স্ত্রীই চায় তার স্বামীর সংসারে উন্নতী হোক। স্বামী ভালো ব্যাবসা বা চাকুরী করুক। কিন্তু সবার ভাগ্যে তো সমান হয় না। এমন কিছু দোয়া আছে যা আমল করতে পারলে ইনশাল্লাহ আপনার স্বামীর আয় রোজগার বৃদ্ধি হবে। স্বামীর রোজগার বৃদ্ধির জন্য শুধু আমল করলেই হবে না তার পাশাপশি আল্লাহর নির্দেশ গুলো মেনে চলতে হবে। আল্লাহর কাছ থেকে রিজিক লাভ করতে হলে আল্লাহর কথা গুলো মেনে চলতে হবে।
যে ব্যক্তি দান-খয়রাত বেশি করে আল্লাহ তার জীবনে বরকত বেশি দেন। যে বান্দা সঠিক এবং হালাল পথে টাকা আয় করে এবং হালাল পথে ব্যায় করে আল্লাহ তায়ালা তার জন্য পর্থিব জীবনে প্রচুর বরকত দেয়। যে দোয়াটি আমল করলে আল্লাহ তায়ালা বরকত দেয় তা নিচে দেওয়া হলো- স্বামীর আয় রোজগার বৃদ্ধির দোয়া?
আরো একটা আমল আছে যে আমল প্রতিদিন একবার করে ফজরের নামাজের পরে পড়তে হবে। সে আমল হলো-
“আস্তাগফিরুল্লাহ্”
ফজরের নামাজের পরে তিনবার দরুদ শরীফ পাঠ করে ১০০ বার “আস্তাগফিরুল্লাহ্” পড়ে আবার শেষে তিনবার দরুদ শরীফ পাঠ করতে হবে। তার পরে দুই হাত তুলো আল্লাহর দরবারে কান্না করে স্বামীর আয় রোজগার বৃদ্ধির জন্য দোয়া করতে হবে। এভাবে দোয়া করলে আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই আপনার স্বামীর আয় রোজগার বাড়িয়ে দিবে। এই পোষ্টে আরো একটি দোয়া আপনাদের জানাবো তা হলো, সংসার টিকানোর দোয়া?
সংসার টিকানোর দোয়া?
সংসার টিকানোর দোয়া? সংসার টিকানোর দোয়া আছে কি না তা আমার সঠিক জানা নেই। তবে আল্লাহ ও রসুলের কিছু বিধান আছে যেগুলো একটি বিবাহিত মেয়ে সঠিক ভাবে মেনে চললে তার সংসারের উন্নতি হবে এবং তার সংসার নিঃসন্দেহে টিকে যাবে। কোন রকম সমস্যা হবে না। নিচের নিয়ম গুলো মেনে চলুন তাহলে দেখবেন আপনার সংসার টিকে যাবে। নিন্মোক্ত নিয়ম গুলো না মেলে চললে দোয়া পড়লেও সংসার টিকবে না। নিয়ম গুলো হলো-
- যতই রাগ হোক না কেন রাগ হজম করতে হবে। রাগের সময় ধর্য ধরতে হবে।
- স্বামীকে মুখ ফোটে বলতে হবে আমি তোমাকে খুব ভালো বাসি।
- স্বামী অথবা শ্বশুর-শ্বাশুরীর কাছে কোন ভুল করলে তৎক্ষনিক ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।
- শ্বশুর ও শ্বাশুরী কে সন্মান করতে হবে এবং অসুস্থ্য হলে সেবা করতে হবে।
- স্বামী, শ্বশুর ও শ্বাশুরী সহ এক সাথে খাবার খেতে হবে।
- সংসারে থেকে সংসারের অন্য কারো গীবত করা যাবে না।
- সংসারের কারো উপর মিথ্যা অপবাদ দেয়া যাবে না।
- কারো দোষ খোজা যাবে না। গুনের কথা বলা যাবে।
- কোন পরপুরুষের দিকে খারাপ নজরে মানে (পরকীয়া) করা যাবে না।
- পরপুরুষের সাথে হাসি ঠাট্টা আলাপ করা যাবে না।
- স্বামীকে কোন কারনে সন্দেহ করা যাবে না।
- স্বামী ও স্ত্রীর গোপন কথা অন্যা কারো কাছে বলা যাবে না।
- স্বামী, শ্বশুর ও শ্বাশুরী এবং পারাপ্রতিবেশির সাথে অহংকার করা যাবে না।
- স্বামীর ইনকাম কম হলেও তাতে সন্তুষ্টু থাকতে হবে।
- স্বামী ও স্ত্রী একে অপরকে কোন কথায় কষ্ট না দেয়া।
- সংসারে যতই দুঃখ কষ্ট হোক না কেন ধর্য ধরতে হবে।
- সত্য মিথ্যা কথা বলে সংসারে ঝামেলা করা যাবে না।
উপরোক্ত বিষয় গুলো যদি কোন নারী মেনে চলতে পারে তাহলে তার সংসার তো টিকে যাবে আবার সংসারে অনেক শান্তি থাকবে। একটা মেয়ের জন্যই সংসার সুখের হয়। সংসার টিকানোর উপরোক্ত কথা গুলো আমার বানানো নয় এগুলো কথা কোরআন ও হাদিসের। আমি দোয়া করি সকল মেয়েদের সংসার সুন্দর হোক এবং আল্লাহতায়ালা সকল স্বামী ও স্ত্রীকে ধর্য ধারন করার অসীম ক্ষমতা দান করুন। আমিন।
লেখকের শেষ কথাঃ কোন আমল করলে স্বামী পাগলের মত ভালবাসবে?
প্রিয় মা, বোন, ভাই আজ আমরা এই পোষ্টে জানতে পারলাম, স্বামীকে সুখে রাখার ১০টি টিপস?, ভালোবাসা লাভের পরীক্ষিত আমল?, স্বামী রাগ করলে ৪ টি কাজ করুন?, কিভাবে স্বামীকে আকৃষ্ট করবেন?, স্বামীর আয় রোজগার বৃদ্ধির দোয়া?, সংসার টিকানোর দোয়া? সম্পর্কে। তো আমাদের এই পোষ্ট পড়ে ভালো লেগে থাকলে বা আপনাদের কোন উপকার হলে অবশ্যই পরিচিতদের মধ্যে সেয়ার করে দিবেন। আর ভালো ভালো পোষ্ট পেতে ভিজিট করুন, msta2z.com ওয়েবসাইড। ধন্যবাদ।
msta2z.comব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url