অবিবাহিত মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার কেন হয় (বিস্তারিত জানুন) | Msta2z

অবিবাহিত মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার কেন হয় (বিস্তারিত জানুন)

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক। নিশ্চয় আপনারা আল্লাহর রহমতে সকলেই ভালোই আছেন। অবিবাহিত মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার কেন হয়, জরায়ু টিউমারের লক্ষণ গুলো কি কি এবং জরায়ু টিউমার চেনার উপায়, জরায়ুতে টিউমার হলে করণীয়,মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার কেন হয়, জরায়ুতে টিউমার হলে কি হয়, জরায়ুতে টিউমার হলে কি বাচ্চা হয়, জরায়ু টিউমার প্রতিরোধের উপায়, জরায়ুর টিউমার অপারেশন খরচ কত, জরায়ু অপারেশন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত জানাবো।
অবিবাহিত-মেয়েদের-জরায়ুতে-টিউমার-কেন-হয়?

বর্তমানে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের প্রায় সকল দেশের নারীদের জরায়ু টিউমারের আধিক্য বেড়েই চলেছে। তবে আগেকার দিনে এই রোগের এতো প্রচলন ছিল না। বর্তমান যুগে নারীরা খুবই সজাগ তার পরেও জরায়ু টিউমার দিন দিন বেড়েই চলেছে। প্রিয় পাঠক অবিবাহিত মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার কেন হয় এবং জরায়ু টিউমারের লক্ষণ গুলো কি কি, সে বিষয় জানতে হলে এই আরর্টিকেল টি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো। চলুন জেনে নেওয়া যাক অবিবাহিত মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার কেন হয়?

অবিবাহিত মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার কেন হয়?

অবিবাহিত মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার কেন হয়? মনে রাখবেন জরায়ুর পেশীর অতিরিক্ত ও অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে এ টিউমারের সৃষ্টি হয়। মাংস পেশি ছারাও জরায়ুর বাইরে বা ভিতরে টিউমার হতে পারে। জরায়ু টিউমার কি কারনে হয় তা এখনো সুস্পষ্টভাবে জানা যায়নি। বংশগত কারনে, গ্রেথ ফ্যাক্টর ও জিনগত কারনে এবং বন্ধ্যাত্বর কারনে টিউমার হয়ে থাকে মনে করা হয়। জরায়ু টিউমার বিবাহিতা বা অবিবাহিতা যে কারো হতে পারে।

এখানে অবিবাহিতা মেয়েদের জরায়ু টিউমার হওয়ার আলাদা কোন কারন নেই বললেই চলে। মাসিকের সময় যদি স্বাভিকের তুলনায় বেশি রক্তপাত হয় এবং মাসিক হওয়ার আগে ও পরে তলপেট ব্যাথা করে এবং টিউমারের সাইজ যদি ১১থেকে ১২ সপ্তাহের প্রেগন্সির সমান হয় তাহলে ডাক্তারের চিকিৎসা নিয়া অতি জরুরি। অবিবাহিত মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার হতেই পারে এটা কোন আতঙ্কের কারন না। ভালো ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা করলে দ্রুত ভালো হয়ে যাবে।

জরায়ু টিউমারের লক্ষণ গুলো কি কি?

জরায়ু টিউমারের লক্ষণ গুলো কি কি সেই বিষয়ে ভালো করে জানতে হলে পড়তে থাকুন মনোযোগ সহকারে। আপনার জরায়ুতে যদি টিউমার হয় তা যদি আপনি নিজেই অল্পদিনেই বুঝতে পারেন তাহলে চিকিৎসা সহজ হয়ে যায়। প্রিয় মা ও বোনেরা জরায়ুতে টিউমার হলে এমন কিছু লক্ষণ প্রকাশ পাবে যা আপনি অনুভব করলে সহজেই বুঝতে পারবেন। জরায়ুতে টিউমারের লক্ষণ গুলো কি কি তা জানার জন্য পড়তে থাকুন মনোযোগ সহকারে।

কোমর ব্যাথা- জরায়ু টিউমারের লক্ষণ?
জরায়ু টিউমারের কারনে আপনার কোমর ব্যাথা এবং তলপেট ফুলে যেতে পারে। এরকম লক্ষণ প্রকাশ পেলে আপনাকে ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।

মাসিকের সমস্যা- জরায়ু টিউমারের লক্ষণ?
সাধারনত মাসিক ৫-৭ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। তবে জরায়ু টিউমার হলে ১০-১৫ ‍দিন ধরে রক্তপাত হতে পারে এবং রক্তপাত বেড়ে যাবে তার সাথে রক্ত দলা দলা বেড় হতে পারে।

অতিরোক্ত রক্তপাত হওয়া- জরায়ু টিউমারের লক্ষণ?
জরায়ু টিউমার হলে অতিরোক্ত রক্তপাত হবে যার কারনে শরীর দ্রুত ক্ষতির দিকে যাবে। রক্তপাত হওয়ার সাথে সাথে জরায়ুতে ব্যাথা ব্যাথা অনুভব হবে।

গর্ভপাত- জরায়ু টিউমারের লক্ষণ?
জরায়ুতে যদি টিউমার হয় তাহলে ফেলোপিয়ান টিউবকে বন্ধ করে দেয় যার ফলে গর্ভ ধারনে বাধা দেয়। তাছারাও গর্ভবতী হলেও গর্ভপাত হয়ে যায়।

ঘন ঘন প্রসাব- জরায়ু টিউমারের লক্ষণ?
জরায়ুতে টিউমার হলে মুত্রথলির উপর চাপ পরে যার ফলে ঘন ঘন প্রসাবের চাপ আসে। তাছারা ও কোষ্ঠ কাঠিন্যর মতো রোগ ও হতে পারে।

সহবাস কালীন ব্যাথা- জরায়ু টিউমারের লক্ষণ?
জরায়ু টিউমার হলে সহবাসের সময় অসহ্য ব্যাথা করবে।

তাছারাও জরায়ুতে টিউমার হলে তলপেট ব্যাথা করবে এবং টিউমারের আকৃতি দিন দিন বাড়তে থাকবে। তলপেট বড় বড় লাগবে এবং ভারি ভারি লাগবে। আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন। উপরের দেওয়া লক্ষণ গুলো আপনি যদি বুঝতে পারেন তাহলে আপনার নিশ্চিত জরায়ু টিউমার হয়েছে। এইজন্য কোন ভয়ের কারন নেই। জরায়ু টিউমার কিভাবে ভালো হবে তা জানার জন্য পড়তে থাকুন। নিচে দেওয়া হলো।

জরায়ু টিউমার চেনার উপায়?

সাধারনত জরায়ু টিউমার শরীরের বাইরে থেকে দেখা যায় না এবং চেনাও যায় না। চেনার জন্য কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায় যা দেখে আপনি বুঝতে পারবেন। মাসিকের সমস্যা, অতিরোক্ত রক্তপাত, তলপেট ব্যাথা, ঘন ঘন প্রসাবের চাপ এবং অন্ত্রের চাপ, গর্ভপাত, সহবাসের সময় ব্যাথা অনুভব হলে আপনাকে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে এরকম লক্ষণ গুলো নাও দেখা দিতে পারে। তবে একটা কথা মনে রাখবেন জরায়ু টিউমার হলে অন্যান্য সমস্যা গুলো দেখা না দিলেও পিরিয়ডের সময় স্বাভিকের তুলনায় অতিরোক্ত রক্তপাত হবে।

কাদের বেশি জরায়ু টিউমার হয়?

কাদের বেশি জরায়ু টিউমার হয়? জরয়ু টিউমারের আরেকটি নাম আছে তা হলো (ইউটেরিন ফাইব্রয়েড)। তবে এটিকে সংক্ষেপে ফাইব্রেয়েড ও বলা হয়। টিউমার জরায়ুর যে কোন অংশে হতে পারে। এর আকৃতি প্রথমে মোটর দানার মতো পড়ে বাঙ্গির মতো বড় হয়ে যাবে। তবে শরীরে যে কোন জায়গাতে টিউমার হলে প্রথমে কোন ব্যাথা বা কষ্ট অনুভব হবে না তবে আস্তে আস্তে বড় হতে থাকলে তখন হালকা ব্যাথা অনুভব হবে।

যাদের বেশি টিউমার হয়
যারা সঠিক সময়ে বাচ্চা নেয় না, একটি মাত্র সন্তান বা দীর্ঘ বছর পরে সন্তান নেয়, যাদের সন্তান নেই এবং বন্ধ্যত্ব সমস্যা আছে সেই নারীদের টিউমার হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাছারাও যাদের বংশগত ভাবে থাকে যেমন, বড় বোনের, মায়ের, ফুফু বা খালা এরকম কারো টিউমার থাকলেও বংশগত কারনে টিউমার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কারো ইস্ট্রোজেন হরমোন বেশি থাকলে টিউমার হতে পারে। তবে প্রায় গবেষনায় দেখা গেছে যারা যথাযথ সময়ে বাচ্চা নেয় না এবং বাচ্চা হয়নি তাদের টিউমার বেশি হয়।

মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার কেন হয়?

মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার কেন হয় এই ব্যাপারটা প্রত্যেকটা মেয়েদের জানা প্রয়োজন। জরায়ুর পেশীর অতিরিক্ত ও অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে এ টিউমারের সৃষ্টি হয়। সাধারনত ৩০ বছরের উর্ধ্বে মেয়েদের জরায়ু টিউমার বেশি হয়। আসলে যে মেয়েরা একটা সন্তান নিয়ে দীর্ঘবছর পরে আরেকটা সন্তান নেয়, যথাযথ সময়ে সন্তান যে না নেয়, এবং যাদের একটা সন্তান আছে আর সন্তান নেয় না এবং গর্ভপাত করে ও বন্ধ্যাত্ব এরকম মেয়েদের ক্ষেত্রে জরায়ুতে টিউমার বেশি হয়।

জরায়ুতে টিউমার হলে করণীয়?

জরায়ুতে টিউমার হলে ভয় পাওয়ার কারন নেই অবশ্যই প্রত্যেকটা অসুখের চিকিৎসা আছে। জরায়ু টিউমারের ও চিকিৎসা আছে। ২০% নারী যাদের বয়স ৩০ বছরের উর্দ্ধে তারা এই সমস্যায় বেশি ভুগেন। ফাইব্রয়েড এক ধরনের নীরিহ টিউমার। এই টিউমার ক্যান্সার বা বিপজ্জনক কোন অসুখ সৃষ্টি করে না। তবে মনে রাখবেন দুটি সমস্যার কারনে চিকিৎসা অবশ্যই করতে হবে। যদি অতিরোক্ত রক্তচাপ হয় এবং তলপেট ব্যাথা করে। তাহলে শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দিবে।

তাছারাও টিউমার ছোট- বড় যে রকম আকৃতির হোক চিকিৎসা অবশ্যেই করতে হবে। এর জন্য ডাক্তারের কাছে আগে যেতে হবে পরিক্ষা-নীরীক্ষা করে তারপর ডাক্তার চিকিৎসা শুরু করবেন। জরায়ুর টিউমার হলে সবসময় অস্ত্রপাচারের দরকার হয় না। ছোট টিউমার হলে ঔষধ দিয়ে গলিয়ে দিবে এবং যাদের বয়স চল্লিশের কম এবং টিউমারের আকৃতি বড় হয় তাদের ক্ষেত্রে অস্ত্রপাচারের প্রয়োজন পড়ে। অস্ত্রপাচার দুই ভাবে করা হয় যেমন,
  1. পেট কেটে এবং
  2. ল্যাপারোস্কোপির মাধ্যমে

জরায়ুতে টিউমার হলে কি বাচ্চা হয়?

জরায়ুতে টিউমার হলে বাচ্চা ধারনে সমস্যা হয়। কারন জরায়ুতে টিউমার হলে বার বার গর্ভপাত এবং বন্ধ্যাত্ব হওয়ার আশঙ্কা থাকে। জরায়ুতে টিউমার হওয়ার কারনে জরায়ু বেশ বড় হয়ে যায়। যার কারনে ভ্রুন ঠিকমতো বড় হতে পারে না, জরায়ু ও ফেলোপিয়ান টিউবের সংযোস্থলে বা এমন জায়গায় টিউমার টি অবস্থান করে যা ভ্রুন কে বড় হতে বাধা দেয়। যার ফলে বার বার গর্ভপাত ঘটে এবং বন্ধ্যাত্ব হয়। এ ধরনের টিউমার অনিয়মিত ও ব্যাথাযুক্ত মাসিকের কারন হয়ে থাকে যার ফলে বাচ্চা হয় না।

জরায়ুর টিউমার অপারেশন খরচ কত?

জরায়ুর টিউমার অপারেশন খরচ কত? যে কোন ক্লিনিক বা হাসপাতালে জরায়ু টিউমার অপারেশন করতে গেলে শুধু অপারেশন খরচ হিসাব করলে হবে না। কারন অপারেশন করার আগে হাসপাতাল বা ক্লিনিক ফি দিতে হয়, টিউমারের বিভিন্ন পরিক্ষা নীরক্ষা করতে হয় তার খরচ ইত্যাদি হিসাব গুলো ধরতে হবে। আর জরায়ু টিউমার অপারেশন আপনার চাহিদা এবং চিকিৎসার উপর নির্ভর করবে। আপনি যদি বাংলাদেশে জরায়ুর টিউমার অপারেশন করেন তাহলে,

খরচ হবে ৩০,০০০ টাকা থেকে ৭০,০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত। আর সমস্ত ফি, পরিক্ষা নীরীক্ষা, অপারেশন এবং ক্লিনিক খরচ বাবদ মোট খরচ হবে ১,০০,০০০ থেকে ১,২০,০০০ টাকা পর্যন্ত। আরো সঠিক ভাবে জানতে কোন যোগ্যতা সম্পর্ন স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করলে ভালো করে জানতে পারবেন জরায়ুর টিউমার অপারেশন খরচ কত?

*বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ প্রিয় ভাই ও বোনেরা আপনারা যদি ঢাকা হাসপাতাল বা ক্লিনিকে জরায়ু টিউমার অপারেশন করাতে চান তাহলে নিচের দেওয়া নাম্বারে ফোন দিয়ে যোগাযোগ করুন এবং সকল বিষয়ে তথ্য নিন। ০১৭৪০-৪৮৬১২৩ ****************

জরায়ু অপারেশন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া?

জরায়ু অপারেশন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া? জরায়ু অপারেশন করার পর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা সাইড ইফেক্ট হবে কিনা তা আমাদের জানা প্রায়োজন। জরায়ু অপারেশন করার পরে যে সব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো হয় তা নিচে দেওয়া হলো-
  • কোনদিন গর্ভবতী হতে পারবে না
  • মাসিক হবে না।
  • যোনিপথ শুষ্ক হয়ে থাকবে
  • যৌন মিলনে আগ্রহ কমে যাবে
  • মেনোপজের উপসর্গ
  • বিষণ্নতা লাগবে এবং
  • বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।

জরায়ুর টিউমার থেকে কি ক্যান্সার হয়?

জরায়ুর টিউমার থেকে কি ক্যান্সার হয়? অনেক ভাই ও বোনেরা মনে করেন জরায়ুর টিউমার থেকে ক্যান্সার হয়। এই কথাটা সম্পর্ন ভুল। জরায়ুর টিউমার থেকে ক্যান্সার হয় না। এখন বর্তমান যুগে অনেক উন্নত মানের চিকিৎসা আছে। কোন রকম অস্ত্রপাচার ছারাই টিউমার গলিয়ে ভালো করে দিবে। আপনারা অযথা কোন হাতুরি ডাক্তার বা কোন মুর্খ মানুষের কথা শুনে হতাশা হবে না। আগে ডাক্তারের কাছে যাবেন পরিক্ষা নীরক্ষা করে চিকিৎসা নিবেন। জরায়ুর টিউমার ভালো হয়ে যাবে।

টিউমারের কারনে বেশি রক্তপাত হলে কি ঔষধ খাবো?

টিউমারের কারনে বেশি রক্তপাত হলে কি ঔষধ খাবো? বেশির ভাগ টিউমারের ক্ষেত্রে তেমন কোন চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। তবে জরায়ুতে টিউমার হলে রক্তপাত বেশি হয়। স্বাভিকের তুলনায় বেশি রক্তপাত হলে মুখে খাওয়ার কিছু ঔষধ আছে সেগুলো খেলেই ভালো হয়ে যায়। ট্রানেক্সেমিক গ্রুপের ওষুধই খেলেই যতেষ্ট। যেমন,
  • এইচপিআর ক্যাপসুল এবং
  • জ্যামিক ক্যাপসুল
মাসিক শুরু হওয়ার দিন থেকে সেবন করতে হবে। সাধারনত ৩-৪ দিন সেবন করলেই স্বাভিক রক্তপাত হতে থাকবে।

FAQ । অবিবাহিত মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার কেন হয়?

ব্রেন টিউমার প্রতিরোধের উপায়?
উত্তরঃ ব্রেন টিউমার প্রতিরোধ করা যায় না। ধূমপান এবং অত্যধিক বিকিরণ এক্সপোজারের মতো পরিবেশগত বিপদগুলি এড়িয়ে থাকলে ব্রেন টিউমার থেকে রক্ষা পেতে পারবেন।

লিভার টিউমার হলে কি রক্তক্ষরণ হয়?
উত্তরঃ হ্যা, লিভার টিউমার হলে রক্তক্ষরন হয়। এই রক্তক্ষরন দ্রুত বন্ধ করতে হবে। না হলে রোগীর মৃত্যু হতে পারে।

জরায়ুতে টিউমার হলে কি পেটে ব্যথা হয়?
উত্তরঃ জরায়ুতে টিউমার হলে তল পেট ব্যাথা করে,প্রসাবের হার বেরে যাওয়া, প্রসাবের সময় তীব্র ব্যাথা হওয়া ইত্যাদি হতে পারে।

টিউমার হলে কি করা উচিত?
উত্তরঃ টিউমার প্রথমে ছোট বুটকলাই এর মতো হয় তার পর ধিরে ধিরে আধা কেজি থেকে ১ কেজি বা ২ কেজি হতে পারে। এতে বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। সমস্যা থেকে বাচতে আপনি টিউমারের লক্ষন গুলো বুঝতে পারলেই দ্রুত চিকিৎসা নিবেন।

টিউমার কি নরম হয়?
উত্তরঃ লাইপোমা একটি নির্দোষ টিউমার যা চর্বিযুক্ত টিস্যু দিয়ে গঠিত যা খুব ধীরে ধীরে বড় হয়। এটি সাধারণত ত্বক ও মাংসপেশীর মাঝে সৃষ্টি হয়। আঙ্গুল দিয়ে সামান্য চাপ দিলে এটি নড়াচড়া করে, তাই সহজেই একে শনাক্ত করা যায়। এটি সাধারণত বেশ শক্ত হয় এবং এক বা একের অধিক শরীরের ত্বকে দেখা দিতে পারে।

জরায়ুতে টিউমার হলে কি মাসিক বন্ধ থাকে?
উত্তরঃ ডিম্বাশয়ে উৎপন্ন সংবেদনশীল হরমোন ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বাড়লে টিউমারের আকার বাড়ে। সাধারণত গর্ভকালে ইস্ট্রোজেন বৃদ্ধি পায়। ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমলে টিউমারের আকার সংকুচিত হয়, যেমন মেনোপজের (মাসিক বন্ধ) পর এটা ঘটে।

জরায়ুর টিউমার অপারেশন কিভাবে করা হয়?
উত্তরঃ একটি ভ্যাজাইনাল হিস্টেরেক্টোমির সময়, যোনির শীর্ষে তৈরি ছেদের মাধ্যমে গর্ভাশয় এবং জরায়ু অপসারণ করা হয়। গর্ভাশয়টিকে স্বস্থানে ধরে থাকা লিগামেন্টগুলি থেকে পৃথক করার জন্য যোনিতে বিশেষ অস্ত্রোপচারের যন্ত্র প্রবেশ করানো হয়। গর্ভাশয় এবং জরায়ুর অপসারণের পরে, কাটা স্থানটি সেলাই করা হবে।

জরায়ু টিউমার কত বছর বয়সে হয়?
উত্তরঃ সাধারনত ২০ বছরের মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার হয় না। ৩০ থেকে ৫৫ বছর বয়সের মেয়েদের জরায়ু টিউমার বেশি হয়। কোন কোন সময় ৬০-৭০ বছর মেয়েদের ও জরায়ু টিউমার হতে পারে।

জরায়ু ভালো রাখার উপায় কি?
উত্তরঃ ভিটামিন সি এবং ম্যাগনেসিয়াম জরায়ু সুস্থ রাখে, যা রজঃচক্র ঠিক রাখতে সহায়ক। কাঁচা-পেঁপে: খাদ্য-তালিকায় কাঁচা-পেঁপে রেখে রজঃচক্র ঠিক রাখতে পারেন। পেঁপে জরায়ুর পেশি সবল রাখে যা নিম্নাঙ্গে রক্ত সঞ্চালন এবং কোষ সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। দারুচিনি: রান্নার স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি দারুচিনি রজঃচক্র ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

লেখকের শেষ কথাঃ অবিবাহিত মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার কেন হয়?

প্রিয় পাঠক, এই আরর্টিকেল থেকে জানতে পারলাম, অবিবাহিত মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার কেন হয়?, জরায়ু টিউমারের লক্ষণ গুলো কি কি, জরায়ু টিউমার চেনার উপায়, জরায়ুতে টিউমার হলে করণীয়, মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার কেন হয়, জরায়ুতে টিউমার হলে কি বাচ্চা হয়, জরায়ুর টিউমার অপারেশন খরচ কত , জরায়ু অপারেশন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, জরায়ুর টিউমার থেকে কি ক্যান্সার হয়?, টিউমারের কারনে বেশি রক্তপাত হলে কি ঔষধ খাবো?, ব্রেন টিউমার প্রতিরোধের উপায়?,

লিভার টিউমার হলে কি রক্তক্ষরণ হয়, জরায়ুতে টিউমার হলে কি পেটে ব্যথা হয়?, টিউমার হলে কি করা উচিত, টিউমার কি নরম হয়?, জরায়ুতে টিউমার হলে কি মাসিক বন্ধ থাকে?, জরায়ুর টিউমার অপারেশন কিভাবে করা হয়?, জরায়ু টিউমার কত বছর বয়সে হয়?, জরায়ু ভালো রাখার উপায় কি? ইত্যাদি মূল্যাবান বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলাম। এরকম আরো ভালো ভালো পোষ্ট পেতে msta2z.com ওয়েবসাইড ভিজিট করুন। আরর্টিকেল টি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

msta2z.comব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url