কোমরের ব্যথা কমানোর ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট (বিস্তারিত জানুন) | Msta2z

কোমরের ব্যথা কমানোর ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট (বিস্তারিত জানুন)

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ভাই ও বোনেরা। নিশ্চয় আপনারা আল্লাহর রহমতে সকলেই ভালোই আছেন। আজ আমরা এই আরর্টিকেলে কোমরের ব্যথা কমানোর ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট, কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায়, কোমরের ব্যথা কমানোর ব্যায়াম, কোমর ব্যথার মলম, কোমর ব্যথা কিসের লক্ষণ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। কোমরের ব্যথা কমানোর ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট এর নাম গুলো জানতে হলে এই আরর্টিকেল টি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।
কোমরের-ব্যাথা-কমানোর-ক্যালসিয়াম-ট্যাবলেট

কোমরের ব্যথা কমানোর ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেলে কোমরের ব্যাথা, হাটুর ব্যাথা, মাংশপেশির ব্যাথা সহজেই কমিয়ে শরীরকে সুস্থ্য করে তুলে। একটি মানুষের দেহে প্রায় ২ শতাংশ ক্যালসিয়াম থাকে। সেই ক্যালসিয়ামের পরিমান যদি কমে যায় তাহলে কোমর ব্যাথা সহ শরীরের প্রত্যেকটি হারের জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যাথা শুরু হয়। তো বন্ধুরা আর দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোমরের ব্যথা কমানোর ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট গুলো কি?

কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায়?

কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায়? কোমরের ব্যাথা সহ্য করার মতো ব্যাথা নয়। যাদের কোমরের ব্যাথা আছে তাদের উঠতে, বসতে, ঘুমাতে গেলেও জানান দেয় ব্যাথাটা। যে ব্যাক্তি সবসময় বসে থেকে কাজ করে তাদের কোমর ব্যাথা বেশি হয়। বেশির ভাগ মেয়েদের কোমরের ব্যাথাটা বেশি হয়। কিন্তু এই ব্যাথা থেকে মুক্তির সহজ উপায় ও আছে। চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায় গুলো কি কি?
  • সহজে কোমরের ব্যাথা কমানোর জন্য দিনে দুই বার গরম সেক দিবেন। এতে অনেক উপকার পাবেন। কাপর গরম করে সেক দিতে পারবেন অথবা পানি ফুটিয়ে নিয়ে বোতলে ভরে কোমরে সেক দিতে পারবেন।
  • নারিকেল তেলের সাথে কর্পুর দিয়ে ভালো করে গরম করে নিবেন। তারপর তেল ঠান্ডা হয়ে গেলে কোমরে দিনে ৩ বার মালিশ করবেন। এতে অনেক আরাম পাবেন।
  • সরিষার তেল এবং রসুন কুচি কুচি করে দিয়ে ভালো করে গরম করতে হবে। তার পর হালকা কুসুম গরম থাকায় কোমরে মালিশ করবেন। এভাবে দিনে দুই বার কোমরে রসুন গরম সরিষার তেল মালিশ করলে কোমরের ব্যাথা অনেটা কমে যায়।
  • কাঁচা হলুদের রস এক গ্লাস কুসুম গরম দুধে মিশিয়ে খেয়ে নিবেন। কাঁচা হলুদ ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে। অথবা কুসুম গরম দুধ এক গ্লাস, এক চামুচ মধু এবং হলুদের রস মিশিয়ে সকালে এবং রাতে নিয়ম করে খেলে সহজেই কোমরের ব্যাথা সহ শরীরের অন্যান্য জায়গার ব্যাথা ও কমে যাবে।
  • পান পাতায় ঘি লাগিয়ে গরম করে কোমরে সেক দিন দেখবেন ব্যাথা অনেকটা সেরে যাবে।
  • কোমরের ব্যাথা হলে কাঁচা আদা চিবিয়ে খাবেন অথবা লাল চায়ের সাথে আদা খাবেন। আদায় যে পটাশিয়াম থাকে তা নার্ভের সকল সমস্যা দুর করে। আদা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন দেখবেন কোমরের ব্যাথা থাকলে সহজেই ভালো হয়ে যাবে।
  • কোমরের ব্যাথা হয় অনেক সময় ওজন বেড়ে গেলে। যাদের ওজন তুলুনামুলক ভাবে বেশি তাদের কে অবশ্যই ওজন কমাতে হবে। ওজন বেশি হলে কোমর এবং পায়ের জয়েন্টের উপর ভার পরে যার ফলে দিনে দিনে ব্যাথা বাড়তে থাকে। ওজন কমাতে নিয়মিত ব্যায়াম এর পাশাপাশি খাবার কন্ট্রল করতে হবে।
  • যাদের কোমরের ব্যাথা আছে তাদের কে নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। প্রতিদিন নিয়ম করে কোমরের ব্যায়াম করলে কোমরের ব্যাথা থেকে রেহাই পাবেন। তবে আপনার কোমরের ব্যাথা কিসের জন্য এবং ব্যাথার ধরন কি রকম তার উপর নির্ভর করে ব্যায়াম করতে হবে। তার জন্য অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ব্যায়াম করতে হবে।এছারাও লেবু, হলুদ, এ্যালোভেরা খেলেও কোমরের ব্যাথা কমে যায়। 
  • আর ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম জাতীয় খাবার গুলো খেতে হবে। কারন ক্যালসিয়ামের অভাবেও কোমর ব্যাথা হয়। শাকসবজি, দুধ, ঘি, পনির, ফল, বাদাম ইত্যাদি খাবার গুলো খেলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে এবং ব্যাথা ভালো হয়ে যাবে।
উপরের দেওয়া কোমরের ব্যাথা সারানোর সহজ উপায় গুলোর পাশাপাশি অবশ্যই বিশ্রাম নিতে হবে। কোন ধরনের ভারি কিছু তোলা যাবে না। আর এক ঘেয়ামি ভাবে দাড়িয়ে বা বসে কাজ করা যাবে না। সব সময় সর্তকতা অবলম্বন করে কাজ করতে হবে। ভালো থাকবেন সকলেই।

কোমরের ব্যথা কমানোর ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট?

কোমরের ব্যথা কমানোর ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট? ক্যালসিয়ামের অভাবে শুধু কোমর ব্যাথাই হয় না হাটু ব্যাথা, মেরুদন্ড ব্যাথা, পায়ের গিড়া ব্যাথা হয়। পর্যপ্ত পরিমান ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার গুলো না খেতে পারলে ব্যাথা কমানোর ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেতে হবে তাহলে কোমর ব্যাথা ধীরে ধীরে ভালো হয়ে যাবে। বাজারে বিভিন্ন ধরনের কোমরের ব্যাথার ক্যালসিয়ামের ট্যাবলেট আছে। ক্যালসিয়াম কার্বোনেট, ক্যালসিয়াম ফসফেট, ক্যালসিয়াম সাইট্রেট, ক্যালসিয়াম ল্যাকটেট সহ বিভিন্ন 

ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট আছে।প্রত্যেকটি ট্যাবলেটের আলাদা আলাদা কাজ এবং বৈশিষ্ট আছে। এই জন্য আমাদের কে ভালো ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট নির্বাচন করতে হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। নিজে নিজে ডাক্তার হয়ে কোমরের ব্যাথার ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট বাজার থেকে কিনে সেবন করা যাবে না। অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে কোমর ব্যাথার ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট গ্রহণ করতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোমরের ব্যথা কমানোর ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট কি?

Cavic-C Plus: Vitamin C & Vitamin D
এই ট্যাবলেট টি কোমর ব্যাথার জন্য উন্নতমানের একটি ট্যাবলেট। এই ট্যাবলেট টি প্রস্তুত করেছেন Vitamin C & Vitamin D এর সমন্বয়ে। প্রতিটি ট্যাবলেটের মূল্য পরবে ১৩ টাকা করে। যে কোন ফার্মেসিতে পাওয়া যাবে Cavic-C Plus ট্যাবলেট।শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলে কোমর ব্যাথা বা হাটু ব্যাথা হলে Cavic-C Plus খেতে পারবেন নিঃসন্দেহে। দিনে ২ টা করে ট্যাবলেট খেতে হবে। সকালে এবং রাতে। 

Nature-Made Calcium with D3
কোমর ব্যাথার জন্য এই ট্যাবলেট ও খেতে পারবেন। যে কোন ফার্মেসিতে পাওয়া যাবে। কিন্তু এই ট্যাবলেটের দাম একটু বেশি। ভিটামিন ডি 3 এবং ফসফরাস এর সমন্বয়ে এই ট্যাবলেট প্রস্তুত করেছেন।
একটি ট্যাবলেটের মূল্য ৪৬ টাকা। দিনে ২ টা করে ট্যাবলেট খেতে হবে। সকালে এবং রাতে।

Ideal for Low Strength Needs: Megafood Calcium and magnesium
কোমর ব্যাথার জন্য এই ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেতে পারবেন। একটি প্যাকেটে ৬০-৯০ টি ট্যাবলেট থাকে। প্রতি পিস ট্যাবলেটের দাম ৩৬-৪৫ টাকা হতে পারে। দিনে ২ টা করে ট্যাবলেট খেতে হবে। সকালে এবং রাতে।

Outstanding Overall Performer: Care/of Calcium
অতিরিক্ত ভিটামিন/খনিজ: Vitamin D, Vitamin K2এর সমন্বয়ে এই ট্যাবলেটি প্রস্তুত করেছেন। প্রতিটি প্যাকেটে ৬০ টি করে ট্যাবলেট আছে। প্রতিটি ট্যাবলেটের দাম ৩৫ টাকা। দিনে ২ টা করে ট্যাবলেট
খেতে হবে। সকালে এবং রাতে।

কোমরের ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট

কোমরের ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট? বর্তমানে কোমরের ব্যাথায় অনেকেই ভুগছেন। বিশেষ করে মেয়েরা বেশি কোমরের ব্যাথায় ভুগছেন। এই জন্য কোমরের ব্যাথা কমানোর জন্য অনেকেই ব্যাথা কমানোর ট্যাবলেটের নাম জানতে চান। কোমরের ব্যাথা কমানোর ট্যাবলেট গুলো সব ফার্মেসিতে পাওয়া যাবে। কিন্তু কোমরের ব্যাথা কমানোর ট্যাবলেট খাওয়ার জন্য অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। জেনে নেওয়া যাক কোমরের ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট গুলো কি কি?

Naprox (500 mg): Naprox 500 mg এস কে এফ কোম্পানীর। এই ট্যাবলেটটি খাওয়াই কোমরের ব্যাথা দুর করে। Naprox 500 mg ট্যাবলেট দিনে দুই বার খেতে হবে। সকালে এবং রাতে খাওয়া পরে। প্রতি পিচ ট্যাবলেটের দাম ১১ টাকা। যে কোন ফার্মেসিতে গেলে পাওয়া যাবে।

Napro A (500 mg): Napro A (500 mg) একমি কোম্পানীর একটি ভালো মানের কোমরের ব্যাথার ট্যাবলেট। এই ট্যাবলেট খেলে কোমরের ব্যাথা সহজেই কমে যাবে। Napro A (500 mg) ট্যাবলেট দিনে ২ বার খেতে হবে। সকালে এবং রাতে খাওয়ার পরে। প্রতি পিচ ট্যাবলেটের দাম ৮ টাকা। যে কোন ফার্মেসিতে গেলে পাওয়া যাবে।

Napryn (500 mg): Napryn (500 mg) হেলথ কেয়ার এর ভালো মানের কোমরের ব্যাথার ট্যাবলেট। এই ট্যাবলেট খেলে কোমরের ব্যাথা কমে যাবে সহজেই। Napryn (500 mg) ট্যাবলেট দিনে ২ বার খেতে হবে। সকালে এবং রাতে খাওয়ার পরে। প্রতি পিচ ট্যাবলেটের দাম ১১ টাকা করে। যে কোন ফার্মেসিতে গেলে পাওয়া যাবে।

Napro (500 mg): Napro (500 mg) এরিস্টো ফার্মা এর ভালো মানের কোমরের ব্যাথার ট্যাবলেট। এই ট্যাবলেট খেলে কোমরের ব্যাথা কমে যাবে সহজেই।Napro (500 mg) ট্যাবলেট দিনে ২ বার খেতে হবে। সকালে এবং রাতে খাওয়ার পরে। প্রতি পিচ ট্যাবলেটের দাম ৭ টাকা করে। যে কোন ফার্মেসিতে গেলে পাওয়া যাবে।

Naspro (500 mg): Naspro (500 mg) পপুলার এর ভালো মানের কোমরের ব্যাথার ট্যাবলেট। এই ট্যাবলেট খেলে কোমরের ব্যাথা কমে যাবে সহজেই। Naspro (500 mg) ট্যাবলেট দিনে ২ বার খেতে হবে। সকালে এবং রাতে খাওয়ার পরে। প্রতি পিচ ট্যাবলেটের দাম ৯ টাকা করে। যে কোন ফার্মেসিতে গেলে পাওয়া যাবে।

Ecless(500 mg): Ecless(500 mg) ইনসেপ্টা কোম্পানীর ভালো মানের কোমরের ব্যাথার ট্যাবলেট। এই ট্যাবলেট খেলে কোমরের ব্যাথা কমে যাবে সহজেই। Ecless(500 mg) ট্যাবলেট দিনে ২ বার খেতে হবে। সকালে এবং রাতে খাওয়ার পরে। প্রতি পিচ ট্যাবলেটের দাম ৯ টাকা করে। যে কোন ফার্মেসিতে গেলে পাওয়া যাবে।

Nuprafen (500 mg): Nuprafen (500 mg) বেক্সিমকো কোম্পানীর ট্যাবলেট। দিনে দুই বার খেতে হবে। সকালে এবং রাতে খাওয়ার পরে। প্রতি পিচ ট্যাবলেটের দাম ৮ টাকা করে।

Diproxen (500 mg): Diproxen (500 mg) ড্রাগ কোম্পানীর কোমরের ব্যাথার ট্যাবলেট। দিনে দুই বার খেতে হবে। প্রতি পিচ ট্যাবলেটের দাম ৭ টাকা করে। যে কোন ফার্মেসিতে পাওয়া যাবে।

Xenapro (500 mg): Xenapro (500 mg) রেনেটা কোম্পানীর ট্যাবলেট। দিনে দুই বার খেতে হবে। প্রতি পিচ ট্যাবলেটের দাম ৮ টাকা করে। যে কোন ফার্মেসিতে পাওয়া যাবে।

প্রিয় পাঠক উপরের দেওয়া কোমরের ব্যাথা কমানোর ট্যাবলেটের নাম, দাম, ও খাওয়ার নিয়ম দেওয়া হলো। কোমরের ব্যাথা হলে উপরের দেওয়া যে কোন একটি ট্যাবলেট খেলেই ব্যাথা কমে যাবে। তবে কোমরের ব্যাথার সবচেয়ে ভালো দুইটি ট্যাবলেট ফার্মেসিতে পাওয়া যাবে। এই ট্যাবলেট গুলো কোমরের ব্যাথার জন্য সবচেয়ে ভালো কার্যকর। ট্যাবলেট গুলো হলো-

  • আইবুপ্রোফেন
  • ন্যপ্রক্সেন সোডিয়াম

কোমর ব্যথার মলম

কোমর ব্যথার মলম? অনেক সময় হালকা কোমর ব্যাথা হলে মলম লাগালে সেরে যায়। এইজন্য অনেকেই জানতে চায় কোমর ব্যাথার মলম এর নাম কি। তো বন্ধুরা আপনাদের কে এই আরর্টিকেলে জানাবো কোমর ব্যাথার মলম গুলোর নাম। এখানে যে মলম গুলোর নাম দেওয়া হয়েছে সেগুলো ব্যাবহারে খুব দ্রুত কোমরের ব্যাথা সেরে যাবে। দিনে তিন বার মলম গুলো ব্যাথার জায়গাতে লাগাতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোমর ব্যাথার মলম গুলো নাম কি কি?

পেইন ও নিল মলমঃ কোমর ব্যাথা, পেশিতে ব্যাথা, পিঠের ব্যাথা, মাথা ব্যাথা দ্রুত ভালো করে এই মলম ব্যাবহারে। কোমর ব্যথার মলম।

ডাইক্লোফেন ১ % মলম (Diclofen 1 % Ointment): কোমর ব্যাথা, জয়েন্টে ফুলে যাওয়ার ব্যাথা ভালো করে ডাইক্লোফেন মলম।

ভলিজেল মলমঃ ভলিজেল মলম কোমর ব্যাথা, ঘারের ব্যাথা, মাংশপেশির ব্যাথা, জয়েন্টের ব্যাথা খুব দ্রুত ভালো করে। কোমর ব্যথার মলম।

Moov (মুভ)ঃ কোমরের ব্যাথায় মুভ ব্যাবহার করতে পারেন। কোমরের ব্যাথা সহ শরীরের যে কোন ব্যাথা ভালো করে মুভ। কোমর ব্যথার মলম।

Recovery crime( রিকোভারি মলম)ঃ পেশির ব্যথা, কোমরের ব্যাথা, ঘার ব্যাথা, জয়েন্টের ব্যাথা দ্রুত এবং দীর্ঘস্থায়ী মুক্তি দিতে সাহায্য করে রিকোভারি মলম।

Painliv মলমঃ এই মলম ব্যাবহারের ফলে কোমরের ব্যাথা, মাংসপেশির ব্যাথা সহ অন্যান্য ব্যাথা গুলো সামায়িক ভাবে আরাম দিতে পারে।

কোমরের ব্যথা কমানোর ব্যায়াম

কোমরের ব্যথা কমানোর ব্যায়াম? কোমরের ব্যাথা বিভিন্ন কারনে হয়ে থাকে। যে কারনে কোমরের ব্যাথা হোক না কেন তাতে ৫ টি বিষয় জরিত থাকে। এই বিষয় গুলো হলো- মাংসপেশি, মেরুদন্ড, জয়েন্টস, লিগামেন্টস ও স্নায়ু। শরীরের এসব জায়গাতে কোন আঘাত লাগলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে হাল্কা অথবা অস্বাভিক ব্যাথা হতে পারে। কোমরের ব্যাথা সারাতে এমন কিছু ঘরোয়া ব্যায়াম আছে যা অবলম্বন করলে ব্যাথা থেকে অনেকটাই আপনারা মুক্তি পাবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোমরের ব্যথা কমানোর ব্যায়াম।


১.সোজা হয়ে বিছানায় শুয়ে দুই হাত সোজা করতে হবে তার পর দুই পা সোজা করে রাখতে হবে। এরপর এক পা ভাজ না করে সোজা উপরের দিকে তোলার চেষ্টা করবেন। এভাবে যতক্ষন সম্ভব রাখার চেষ্টা করবেন। একই ভাবে অন্য পা উপরের দিকে তুলে রাখবেন কিছুক্ষন। দেখবেন মেরুদন্ডে টান পরে অনেকটা আরাম পাওয়া যাবে। যাদের কোমরের ব্যাথা আছে এভাবে নিয়মিত ব্যায়াম করুন দেখবেন অনেকটা আরাম পাবেন।

২.সোজা হয়ে বিছানায় সুয়ে দুই পা ভাজ না করে সোজা উপরের দিকে তুলে রাখবেন প্রায় ১০-১৫ মিনিট ধরে। দেখবেন অনেকটা আরাম পাবেন।

৩. উপুর হয়ে শুয়ে পড়ুন। থুতনি মাটিতে লেগে দিবেন। দুই হাত দুই উরুর নিচে থাকবে। পায়ের পাতা দুটি টান থাকবে। শ্বস টেনে পা দুটি ধিরে ধিরে উপরের দিকে তোলে ধরে রাখার চেষ্টা করবেন। এভাবে ডান পায়ের জোরে ডান পা তুলবেন আর বাম পায়ের জোরে বাম পা তুলবেন। এভাবে ১০-১৫ মিনিট থাকার পর পা নামান। মনে রাখতে হবে আসনে থাকা অবস্থায় স্বাভিক শ্বাস প্রশ্বাস খুব আরামের সাথে নিয়ত্রন করতে হবে।

৪. মেঝেতে উপুর হয়ে শুবেন। দুই হাত সামনের দিকে সোজা করে রাখবেন। তার পর মাথা আস্তে আস্তে উপরে তোলার চেষ্টা করবেন। যতদুর সম্ভব মাথা উচু করবেন। এভাবে মাথা উচু করে রাখতে হবে ৩-৪ মিনিট। এভাবে কয়েক বার মাথা নামাবেন এবং উচু করে ধরে রাখার চেষ্টা করবেন। এতে আপনার কোমরের ব্যাথা অনেক টা কমে যাবে। মেরুদন্ড আরাম পাবে।

৫. সোজা হয়ে বিছানায় শুয়ে কোমরের নিচে একটা বা দুইটা বালিশ দিয়ে রাখবেন প্রায় ১০-১৫ মিনিট। প্রত্যেকদিন সকালে এবং রাতে সোয়ার আগে এই ব্যায়াম টা করে দেখবেন কোমরের ব্যাথায় অনেক টা আরাম পাবেন। কোমরের ব্যথা কমানোর ব্যায়াম।

কোমর ব্যথা কিসের লক্ষণ?

কোমর ব্যথা কিসের লক্ষণ? আপনার কি ঘন ঘন কোমরের ব্যাথায় ভুগছেন।  তাহলে অবশ্যই ভালো কোন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে আপনাকে। কোমরের ব্যাথা শুধু যে কোন আঘাত লাগার কারনে হয় বা ক্যালসিয়ামের অভাবে হয় এমন কোন কারন নয়। কোমরের ব্যাথা বড় কোন অসুখের ও লক্ষণ হতে পারে। এই জন্য ব্যাথা বেশি হলে অবহেলা না করে ভালো ডাক্তারের চিকিৎসা নিবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোমরের ব্যাথা কিসের লক্ষণ?

পেশিতে টানঃ ভারি কোন জিনিষ তুলতে গেলে দেখা যায় পেশিতে টান লাগে। তার সাথে আশে পাশের পেশিতে টান লাগে এবং মোচর লাগে এরকম হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং ভারি কোন জিনিষ তোলা থেকে বিরত থাকতে হবে।

কিডনির সমস্যাঃ আমরা প্রায় সকলেই জানি যে, কিডনির সমস্যা দেখা দিলে কোমরের সাইডে ব্যাথা করে। কিডনিতে পাথর হলে পিঠ এবং কোমর ব্যাথা করে তার সাথে এই ব্যাথা তল পেট পর্যন্ত ছরিয়ে যায়। এই রকম ব্যাথা হলে অবহেলা না করে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

ক্যানসারের সমস্যাঃ ক্যান্সার রোগীদের ও কোমরের এবং পিঠ ব্যাথা করে। এই জন্য পিঠ ব্যাথা করলে বা কোমর ব্যাথা করলে অবহেলা না করে এরিয়ে যাবেন না। দ্রুত ডাক্তারের চিকিৎসা নেওয়ার চেষ্টা করবেন।

ভিটামিন ডি এর অভাবে কোমরের ব্যাথাঃ শরীরে যখন ভিটামিন ডি এর অভাব পরে তখন কোমর সহ শরীরের সকল জয়েন্টের ব্যাথা হয়। এই জন্য ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার গুলো খাবেন এবং শরীরে সকালের রোদ লাগাবেন ১০-১৫ মিনিট।

পেলিভিক পেইনঃ পেলিভিক অঙ্গগুলোতে সমস্যা হলে যেমন, মেয়েদের মুত্রথলি, জরায়ু, ডিম্বাশয় বা পুরুষদের ক্ষেত্রেও এসব অঙ্গগুলোতে সমস্যা দেখা দিলে কোমরে এবং পিঠে ব্যাথা হতে পারে।

হাড়ের টিবিঃ বোন টিবির কারনেও পিঠে এবং কোমরে প্রচুর ব্যাথা হয়। এই ব্যাথা গোটা শরীরের ও প্রভাব ফেলতে পারে। হারের টিবি হলে মেরুদন্ড, হিপ জয়েন্ট এবং কোমরের প্রচুর ব্যাথা হয়।

প্রিয় পাঠক শরীরের কোন অংশেরই ব্যাথা হওয়াটা খুব একটা ভালো নয়। কোন কারন ছারা এমনি এমনি ব্যাথা হয় না। যে কোন অঙ্গের ব্যাথা হলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করুন ইনশাল্লাহ সুস্থ্য হয়ে যাবেন। আর আপনার কোমরের ব্যাথার ধরন কি রকম তা আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন। কোন রোগের লক্ষণ হলে দ্রুত চিকিৎসা নিবেন।

কোমরের ব্যথা নিয়ে কিছু ছোট প্রশ্ন ও উত্তর

 কোমরের দুই পাশে ব্যথার কারণ?
উত্তরঃ পাঁজরের খাঁচার ঠিক নীচে এবং কোমরের উপরে পিঠের পাশে ব্যথা। এটি এক বা উভয় দিকে হতে পারে। কিডনিতে পাথর, মূত্রনালীর সংক্রমণ বা পিঠে স্ট্রেন সহ ফ্ল্যাঙ্ক ব্যথার অনেকগুলি সম্ভাব্য কারণ রয়েছে। ফ্ল্যাঙ্কের ব্যথা নিজে থেকেই ভালো হয়ে যেতে পারে।

কোমর ব্যাথার জন্য কোন ডাক্তার দেখাতে হবে?
উত্তরঃ আপনার যদি কোমরের ব্যাথা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই অর্থোপেডিক ডাক্তার দেখাতে হবে। অর্থোপেডিক ডাক্তার মানে মেডিসিনের একটি শাখা যেখানে হাড়, জয়েন্টের ব্যাথা, পেশির ব্যাথা বিভিন্ন ত্রুটি- বিচ্যুতি ইত্যাদি রোগে চিকিৎসা করেন।

কোমরের ডান পাশে ব্যাথা কেন হয়?
কোমরের ডান দিকে ব্যাথা হয় অতিরোক্ত গ্যাস, হার্নিয়া, কিডনির সমস্যা, প্রজনন সিস্টেমের সমস্যা, বদহজমের কারনে এবং অ্যাপেন্ডিসাইট এর কারনে কোমরের ডান পাশে ব্যাথা হয়।

ইনফেকশন হলে কি কোমরের ব্যাথা হয়?
উত্তরঃ আপনার যদি পেটের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকে যেমন. পেসাবের ইনফেকশান, কিডনি সমস্যা, পেলভিক সংক্রামন, ডিম্বাশয়ের সমস্যা ইত্যাদি সমস্যা গুলো হলে কোমর ব্যাথা হবে।

কোমরে ব্যাথা হলে বসে থাকা ভালো নাকি দাড়িয়ে থাকা ভালো?
উত্তরঃ আপনার যদি কোমরে ব্যাথা হয় তাহলে বসে ও থাকতে পারবেন এবং দাড়িয়ে ও থাকতে পারবেন। কিন্তু বেশিক্ষণ না। সবচেয়ে ভালো হবে সুয়ে থাকে রেস্ট করা এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা। ভারি জিনিষ তুলা যাবে না। হাটা চলার চেষ্টা করতে হবে।

লেখকের শেষ কথাঃ কোমরের ব্যথা কমানোর ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট?

প্রিয় পাঠক, কোমর ব্যাথা বিভিন্ন বিষয়, এই আরর্টিকেল থেকে জানতে পারলাম। যেমন, কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায়, কোমরের ব্যথা কমানোর ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট, কোমরের ব্যথা কমানোর ব্যায়াম, কোমরের ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট, কোমর ব্যথার মলম, কোমর ব্যথা কিসের লক্ষণ নিয়ে আমরা বিস্তারিত জানলাম। সুস্থ্য থাকতে হলে অবশ্যই শরীরের যত্ন নিতে হবে। এবং বিভিন্ন বিষয়ে জানতে হলে আমাদের ওয়েবসাইড ভিজিট করুন। ভালো থাকবেন সকলেই ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

msta2z.comব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url