ঢেঁড়সের উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন | Msta2z

ঢেঁড়সের উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন

ঢেঁড়স আমাদের অনেকেরই একটি পছন্দনীয় সবজি। তাই আমরা আজকের পোষ্টে ঢেঁড়সের উপকারিত ও অপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। প্রিয় পাঠক ঢেঁড়সে কি কি পুষ্টি গুন আছে, ঢেঁড়সের উপকারিতা ও অপকারিতা, ঢেড়স খেলে কি এলার্জি হয়, ঢেঁড়স খেলে কি গ্যাস হয়, ঢেঁড়স,খাওয়ার নিয়ম, চুলের জন্য ঢেঁড়সের উপকারিতা নিয়ে আজ আমরা এই পোষ্টে বিস্তারিত জানাবো আপনাদেরকে।
ঢেঁড়সের-উপকারিতা-এবং-অপকারিতা

ঢেঁড়স গ্রীষ্মকালিন একটি সবজি তবে শীতকালেও এই সবজি চাষ করা হয় । এই সবজিতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুন। যা জানলে আপনারা অবাক হয়ে যাবেন। আজকের পোষ্ট পড়ে আপনারা জানতে পারবেন ঢেঁড়স খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা। ঢেঁড়সের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ভালো করে জানতে হলে আরর্টিকেল টি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।

ঢেঁড়সের উপকারিতা ও অপকারিতা?

ঢেঁড়সের উপকারিতা ও অপকারিতা- ঢেঁড়স প্রায়ই সকল মানুষেরই পছন্দ। শুধু আমাদের দেশের মানুষেরই নয়, বরং দেশ-বিদেশ সকল দেশের মানুষ ঢেঁড়স খায়। তবে বিভিন্ন দেশে ঢেঁড়সের বিভিন্ন নামে পরিচিত। আমাদের বাংলাদেশের মানুষের কাছে ঢেঁড়সকে ঢেঁড়স অথবা ভেনডি নামে বেশি পরিচিত। নাম দিয়ে কাজ নেই চলুন জেনে নেওয়া যাক ঢেঁড়স সবজির উপকারিতা এবং অপকারিতা গুলো কি কি?

ঢেঁড়সের উপকারিতাঃ
হজম সমস্যা দুর করেঃ ঢেঁড়স এ রয়েছে প্রচুর পরিমানে আঁস যা খাওয়ার ফলে হজম সমস্যা গুলো দুর করে। সবুজ সবজি ঢেঁড়স খেয়ে আপনার যদি কোন অসুবিধা না হয় তাহলে আপনি নিয়মিত ঢেঁড়সের তরকারি খেলে হজম সমস্যা ‍ দুর হয়ে যাবে।

ক্যালসিয়াম বাড়ায়ঃ ঢেঁড়স বিভিন্ন উপায়ে খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে যতেষ্ট ক্যালসিয়াম বাড়ানো যায়। রাতে সোয়ার আগে দুইটা ঢেঁড়স টুকরো করে কেটে এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে সেই পানি খেয়ে নিবেন। তাছারাও ঢেঁড়সের তরকারি, ভর্তা, ভাজা ইত্যাদি খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে ক্যালসিয়াম যোগন দেয়।

ডায়াবেটিস নিয়ত্রন করেঃ ঢেঁড়সের মধ্যে রয়েছে উপকারি ফাইবার যা ডায়াবেটিস কমাতে অত্যান্ত সাহায্য করে। ঢেঁড়সে থাকা ফাইবার শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে দিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ত্রনে রাখে। এই জন্য ডায়াবেটিস রোগীদের ঢেঁড়স নিয়মিত খাওয়া প্রয়োজন। ঢেঁড়স কাচা ও খাওয়া যায়। কোন সমস্যা হবে না।

রক্তশুন্যতা রোধ করেঃ নিয়মিত ঢেঁড়স খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের রক্তশুন্যতা রোধ করা যায়। ঢেঁড়সে যে আয়রন এবং ভিটামিন-কে থাকে তা রক্ত জমাট বাধতে দেয় না এবং শরীরে প্রয়োজনীয় লালপ্লেটলেট তৈরী করে। তাছারাও শরীরের বিভিন্ন দুর্বলতা গুলো দুর করতে সাহায্য করে।

ওজন কামাতে সাহায্য করেঃ ঢেঁড়সে ক্যালোরির পরিমান খুবই কম রয়েছে। যদি ওজন দ্রুত কমাতে চান তাহলে ডায়েটের মেন্যুতে ঢেঁড়স রাখতে পারেন।

হৃদপিন্ড সুস্থ্য রাখতে সাহায্য করেঃ হৃদ পিন্ড সুস্থ্য রাখতে চান তাহলে খাবার মেনুতে ঢেঁড়স রাখুন প্রতিদিন। ঢেঁড়সে থাকা পেক্টিন নামক দ্রবনীয় আঁশ থাকে যা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ত্রন করে রাখে। কোলেস্টেরলের শোসন কমিয়ে হৃদরোগের ঝুকি কমাতে সাহায্য করে ঢেঁড়স।

চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করেঃ ঢেঁড়সে থাকা ভিটামিন-এ, অ্যান্টি অক্সিডেন্ড চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

হাড় শক্ত করেঃ ঢেঁড়সে প্রচুর পরিমান ক্যালসিয়াম থাকায় হাড় মজবুত করে। কারন হাড়কে মজবুত করার জন্য ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন। এই ক্যালসিয়াম পূরন করতে পারবেন নিয়মিত ঢেঁড়স খাওয়ার মাধ্যমে।

গর্ভাবস্থায় ভ্রুন তৈরীতে সাহায্য করেঃ গর্ভবস্থায় বাচ্চার ভ্রুন তৈরীতে ঢেঁড়স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গর্ভবস্থায় নিয়মিত ঢেঁড়স খাওয়ার অভ্যাস করলে ভ্রুণের মস্তিষ্ক তৈরীতে সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ ঢেড়সে আন্টি অক্সিডেন্ট থাকার কারনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। যদি নিয়মিত ঢেঁড়স খাওয়া যায় তাহলে।

ঢেঁড়সের অপকারিতাঃ
এলার্জি সমস্যা হয়ঃ অনেকেই জিঙ্গাসা করেন ঢেঁড়সে কি এলর্জি আছে। হ্যা বন্ধুরা, ঢেঁড়সে এলার্জি আছে। যাদের এলার্জি সমস্যা আছে তারা ঢেঁড়স খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। কারন ঢেঁড়সে প্রচুর এলার্জি আছে।

পেটের সমস্যা হয়ঃ ঢেঁড়সে প্রচুর পরিমানে কার্বো হাইড্রেড থাকার কারনে ডায়রিয়া, অন্ত্রের সমস্যা, পাতলা পায়খানা, এবং গ্যাস হতে পারে। এই জন্য অতিরোক্ত পরিমানে ঢেঁড়স খাওয়া যাবে না। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন খাবেন। যদি সমস্যা না হয়।

কিডনিতে পাথর তৈরী করেঃ ঢেঁড়সে অক্সালেট নামক একটি যৌগিক পদার্থ থাকে যা আমাদের কিডনির জন্য ক্ষতিকর। আমরা যদি অনিয়মিত ঢেঁড়স খেয়ে থাকি তাহলে অক্সালেট নামক যৌগিক পর্দার্থের কারনে কিডনিতে দ্রুত পাথর জমতে শুরু করবে।

ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা তৈরী হয়ঃ প্রেটিওলাইটিক নামক এনজাইম যা ঢেঁড়স থেকে নিষ্ক্রিয় হয়। যদি এই উপদান শরীরে সংস্পর্শে আসে তাহলে ত্বকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতের সৃষ্টি হতে পারে।

রক্ত ঘন করেঃ ঢেঁড়সে রয়েছে ভিটামিন-কে। যা শরীরের রক্ত ঘন হতে সাহায্য করে। কেউ যদি রক্ত ঘন করার ঔষধ খেয়ে থাকেন এবং তার সাথে নিয়মিত ঢেঁড়স খেয়ে থাকেন তাহলে দুটো একসাথে কাজ করবে রক্তের ঘনত্ব বাড়াতে। এই রকম টা কখনো হলে আপনার শরীরের মারাত্বক ক্ষতি হতে পারে।

ঢেঁড়স এর পুষ্টিগুণ?

ঢেঁড়স এর পুষ্টিগুণ- ঢেঁড়সে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম এবং ক্যারোটিন। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারি। সাধারনত ঢেঁড়স সারা বছর বাজারে পাওয়া যায়। ঢেঁড়সে এতো পরিমান পুষ্টি আছে যা হয়তো অনেকেরই অজানা। তাই আমাদের জানতে হবে ঢেঁড়সের পুষ্টিগুন। চলুন জেনে নেওয়া যাক ঢেঁড়স এর পুষ্টিগুণ এবং পুষ্টি তথ্য?

ঢেঁড়সের পুষ্টিতথ্যঃ
দেশ এবং বিদেশ সব জায়গাতেই ঢেঁড়স একটি জনপ্রিয় সবজি। ঢেঁড়স এ রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি এবং লোহাসমৃদ্ধ। প্রতি ১০০ গ্রাম ঢেঁড়সে রয়েছে, ১.৮ গ্রাম আমিষ, ১৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ৯০ মিলিগ্রাম খনিজ পদার্থ মানে ক্যালসিয়াম, ১ মিলিগ্রাম লোহা এবং আয়োডিন রয়েছে, তাছারাও ঢেঁড়সে রয়েছে, ক্যারোটিন, থায়ামিন, নিয়াসিন, অক্সালিক এসিড, রিবোফ্লাভিন, ফলিক এসিড এবং অ্যামাইনো এসিড রয়েছে।

ঢেঁড়সের পুষ্টিগুণঃ
সবুজ রঙ্গের সবজি ঢেঁড়স প্রচুর পুষ্টিগুণে ভরপুর। আয়োডিনের অভাবে সৃষ্ট গলগন্ড রোগ এবং মস্তিষ্ক ও হৃদপিন্ডর দুর্বলতা প্রতিরোধে ঢেঁড়স দারুন কার্যকর ভৃমিকা পালন করে। ঢেঁড়সের রাইবোফ্লাভিনের পরিমান বেগুন, মূলা, টমোটো এবং শিমের থেকে বহুগুন বেশি পুষ্টিকর। এছারাও ঢেঁড়স শুকনো কাশি এবং কোষ্ঠাকাঠিন্যর জন্য বেশ কার্যকর। ঢেঁড়সে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং ভিটামিন এ,বি,সি।

ঢেঁড়স খেলে কি এলার্জি হয়?

ঢেঁড়স খেলে কি এলার্জি হয়- ঢেঁড়স খেলে কি এলার্জি হয়? উত্তর হ্যা। তবে সকলের ঢেঁড়সে এলার্জি নাও থাকতে পারে। আগে বুঝতে হবে যে কার কোন খাবারে এলার্জি আছে। একেক জনার একেক খাবারে এলার্জি হতে পারে। ঢেঁড়স খেলে আপনার এলার্জি হবে কি, হবে না, তা জানার জন্য আপনাকে আগে ঢেঁড়স খেয়ে দেখতে হবে। যদি ঢেঁড়স খাওয়ার পরে আপনার এলার্জি হয় তাহলে বুঝতে হবে ঢেঁড়সে আপনার এলার্জি আছে আর যদি না হয় তাহলে ঢেঁড়সে আপনার এলার্জি নেই।

ঢেঁড়স খেলে কি গ্যাস হয়?

ঢেঁড়স খেলে কি গ্যাস হয়- ঢেঁড়স খেলে কি গ্যাস হয়? উত্তরঃ হ্যা। ঢেঁড়সে আছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার। যাদের অ্যাসিডিটির সমস্যা আছে তারা ঢেঁড়স খেলে গ্যাস এবং পেট ফাপা সমস্যা দেখা দিতে পারে। যাদের অ্যাসিডিটির সমস্যা আছে তাদের ঢেঁড়স না খাওয়াই ভালো। আর যাদের অ্যাসিডিটির সমস্যা নেই তারা ঢেঁড়স খেতে পারবেন। তবে অতিরোক্ত খাওয়ার দরকার নেই। তবে ঢেঁড়স তেলে ভেজে খেলে বেশি গ্যাস হয়। যদি ভর্তা অথবা পাতলা ঝোল করে খান তাহলে গ্যাসের সম্ভবনা কম থাকে।

ডায়াবেটিসে ঢেঁড়স এর উপকারিতা?

ঢেঁড়স-খাওয়ার-উপকারিতা-এবং-অপকারিতা
ডায়াবেটিসে ঢেঁড়স এর উপকারিতা- গবেষকরা বলেছেন, ডায়াবেটিস রোগী প্রতিদিন ৫-৬ টি ঢেঁড়স কাচা অথবা রান্না করে খেলে শরীরে ইনসুলিনের উৎপাদন বেড়ে যায়। ঢেঁড়সে গ্লাইসেমিক সূচক কম। এই জন্য রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ত্রন রাখে। ১০০ গ্রাম ঢেঁড়সের মধ্যে থাকে ৩৩ গ্রাম ক্যালোরি। এই জন্য এই সবজিকে বলা হয় ডায়াবেটিসের জন্য আন্টিবায়েটিক ঔষধ।বিভিন্ন সবজি আছে যা খাওয়ার পরে শরীরে সুগারের পরিমান বেড়ে যায় কিন্তু ঢেঁড়স খাওয়ার পরে রক্তে সুগারের পরিমান বাড়ে না। বরং সুগারের মাত্রা নিয়ত্রন করে।

ডায়াবেটিস রোগী ঢেঁড়স যেভাবে খাবেঃ
রাতে সোয়ার আগে ১-২ টি কাচা কচি ঢেঁড়স ছোট ছোট টুকরো করে কাটতে হবে। মনে রাখতে হবে কাটার আগে ঢেঁড়স ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। তার পরে টুকরো ঢেঁড়স গুলো এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে দেখবেন পানি গুলো ক্যালসিয়ামের মতো হয়ে গেছে। টুকরো ঢেঁড়স গুলো ফেলে দিয়ে পানি গুলো খেয়ে নিবেন। 

আরো ভালো উপকার পাবেন টুকরো ঢেঁড়সের সাথে যদি ওলট কম্বল গাছের ডাটা কেটে ভিজিয়ে রাখেন। তাহলে আরো ভালো উপকার পাবেন। ডায়াবেটিস রোগী নিয়মিত এই পানি খেলেই শরীর চাঙ্গা এবং ডায়াবেটিস কন্ট্রল এ থাকবে।

ঢেঁড়স খাওয়ার নিয়ম?

ঢেঁড়স খাওয়ার নিয়ম- ঢেঁড়স একটি সবুজ সবজি। বিভিন্ন ভাবে এই সবজি খাওয়া যায়। ঢেঁড়স কাচা চিবিয়ে খাওয়া যায়। তাছারাও ভর্তা, ভাজি, ঢেঁড়স মাছ দিয়ে পাতলা ঝোল, ঢেঁড়সের পুরপুরি ইত্যাদি নিয়মে খাওয়া যায়। তবে আমাদের বাংলাদেশে ঢেঁড়সের ভাজি সকলের কাছে জনপ্রিয়। আর ডায়াবেটিস রোগীরা যদি ডায়াবেটিস কন্ট্রল রাখতে চায় তাহলে ঢেঁড়স টুকরো করে কেটে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি সকালে ছেকে খেতে হবে। ঢেঁড়স খাওয়ার নিয়ম এই ভাবেই।

চুলের জন্য ঢেঁড়সের উপকারিতা?

চুলের জন্য ঢেঁড়সের উপকারিতা- চুলের উজ্জলতা বাড়ানোর জন্য এবং চুলকে সিল্কি করার জন্য অনেকেই বাজারে থেকে বিভিন্ন মশ্চেরাইজার কিনে চুলে ব্যাবহার করেন। কিন্তু ঢেঁড়স যে চুলের জন্য কত উপকারি তা হয় তো অনেকেই জানেন না। ঢেঁড়স দিয়ে কন্ডিশনার তৈরী করে চুলে দিলে চুল হবে উজ্জল, মসৃন, লম্বা এবং চুলের গোরা মজবুত হবে। কিভাবে ঢেঁড়স দিয়ে কন্ডিশনার তৈরী করবেন তা নিচে দেওয়া হলো-

ঢেঁড়স দিয়ে কন্ডিশনার তৈরীর নিয়মঃ
  • ঢেঁড়স টুকরো করে কেটে নিতে হবে।
  • পরিমান মতো পানিতে টুকরো গুলো দিয়ে চুলায় হালকা আচে বসিয়ে দিবেন।
  • পানি গুলো পিচ্ছিল হয়ে গেলে এবং ঘন হয়ে আসলে চুলা বন্ধ করতে হবে।
  • তার পর পানি গুলো ছেকে নিতে হবে। এই পানি গুলোই হলো ঢেঁড়সের কন্ডিশনার।
  • পানি গুলো ঠান্ডা হয়ে গেলে চুলে তেলের মতো করে লাগিয়ে নিবেন এবং ১ ঘন্টার মতো রেখে শাম্পু করে ধুয়ে নিবেন।
  • এই ভাবে চুলে ঢেঁড়স কন্ডিশনার লাগান তাহলে চুলের ড্যামেজ সরে যাবে এবং চুল হবে উজ্জল ও মসৃন।
  • এভাবে ঢেঁড়সের কন্ডিশনার তৈরী করে ৩-৪ দিন ফ্রিজে সংরক্ষন করতে পারবেন।

FAQ- প্রশ্ন ও উত্তর

ঢেঁড়স খেলে কি মোটা হয়?
উত্তরঃ ঢেঁড়স ফাইবার যুক্ত খাবার। ঢেঁড়স খেলে অনেক ক্ষন পেট ভরে রাখে। খিদে লাগে না। বার বার খাওয়ার রুচি ও হয় না। সেক্ষেত্রে বলা যায় ঢেঁড়স খেলে মোটা হয় না।

ঢেঁড়স খেলে কি ঠান্ডা লাগে?
উত্তরঃ ঢেঁড়স ঠান্ডা জাতীয় খাবার। যাদের খুসখুসে কাশি আছে তাদের কে অবশ্যই ঢেঁড়স খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। তাছারাও যাদের ছোট বাচ্চা আছে বুকের দুধ খায় সেরকম মায়েদের ঢেঁড়স খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো হবে।

ঢেঁড়স খাওয়ার পরে কি খেলে ক্ষতি হবে?
উত্তর? ঢেঁড়স খাওয়ার পরে করলার তরকারি খাওয়া যাবে না। এতে গ্যাস সৃষ্টি হবে এবং পেট ফাপা হবে। তাছারাও বমি বমি ভাব হবে বা বমি হতে পারে। এই জন্য ঢেঁড়স খাওয়ার পরে করলার তরকারি খাবেন না।

ঢেঁড়স ভেজানো পানি খেলে কি হয়?
উত্তরঃ ঢেঁড়স ভেজানো পানি খেলে রক্তে কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারয়েড্‌স এবং এলডিএল নিয়ন্ত্রণে রাখে, হজম শক্তি বৃদ্ধি করে, হার্টের শিরা এবং ধমনি সংক্রান্ত জটিলতা দুর করে।

ঢেঁড়স খেলে কি উপকার হবে?
উত্তরঃ ঢেঁড়সে যেমন পুষ্টি আছে তেমনি উপকার ও আছে। ঢেঁড়স ভাজি, ভর্তা বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়। তবে কাচা ঢেঁড়স খাওয়া বেশি উপকার। প্রতিদিন সকালে ঢেঁড়স ভেজানো পানি খেলে ডায়াবেটিস কন্ট্রল থাকবে। তাছারাও আরো বিভিন্ন সমস্যা দুর হবে।

সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন কমে?
উত্তরঃ সকালে খালি পেটে দারুচিনির পানির সাথে মধুমিশিয়ে খেলে ওজন কমে।জিরা ভেজানো পানি খেলে ওজন কমে। মৌরির পানি খেলে ওজন কমে। গ্রিন টি খেলে ওজন কমে। এবং ঢেঁড়স ভেজানো পানি খেলে ওজন কমে। আপনি যদি ওজন কমাতে চান তাহলে এই পানি গুলোর যে কোন একটি বেছে নিয়ে নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করুন দ্রুত ওজন কমে যাবে।

লেখকের শেষ কথাঃ ঢেঁড়সের উপকারিতা ও অপকারিতা?

প্রিয় পাঠক এই পোষ্ট থেকে আপনারা জানতে পারলেন, ঢেঁড়সের উপকারিতা ও অপকারিতা, ঢেঁড়স এর পুষ্টিগুণ, ঢেঁড়স খেলে কি এলার্জি হয়, ঢেঁড়স খেলে কি গ্যাস হয়, ডায়াবেটিসে ঢেঁড়স এর উপকারিতা, ঢেঁড়স খাওয়ার নিয়ম, চুলের জন্য ঢেঁড়সের উপকারিতা ইত্যাদি বিষয় গুলো নিয়ে বিস্তারিত জানতে পারলেন। ঢেঁড়সের তথ্য গুলো সঠিক ভাবে দেওয়া হয়েছে। 


আরর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন। তো বন্ধুরা আরো ভালো ভালো পোষ্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইড ভিজিট করুন। ভালো থাকবেন সকলেই। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

msta2z.comব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url