মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা ১০টি উপায় (বিস্তারিত জানুন)
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ভাই ও বোনেরা। নিশ্চয় আপনারা আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আজকের আরর্টিকেলে আলোচ্য বিষয় হলো মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা ৫টি উপায়। মেয়েরা ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে অথবা অন্য উপায়ে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কোন কোন কাজ গুলো করে মেয়েরা ঘরে বসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবে সে বিষয়ে আজকের আরর্টিকেলে আপনারা বিস্তারিত জানতে পারবেন।
বর্তমান অনলাইন যুগে বেশির ভাগ মেয়েরা সাংসারিক কাজের পাশাপাশি অনলাইনে বা অন্যান্য কাজ করে টাকা ইনকাম করতে চায়। তো তাদের জন্য এই আরর্টিকেল। এই আরর্টিকেলে মেয়েরদের ঘরে বসে ইনকামের সেরা ৫ টি উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। প্রিয় বোনেরা আপনারা চাইলে এই ৫ ধরনের কাজ গুলো করে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। এর জন্য কিছু পরিশ্রম দিতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা ৫টি উপায় কি?
মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা ৫টি উপায়?
মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা ৫টি উপায়- অনেক মেয়েরা লেখাপড়ার পাশাপাশি ইনকাম করতে চায় আবার অনেকেই আছে বিয়ের পরে সাংসারিক কাজের পাশাপাশি ইনকাম করতে চায়। তো তাদের জন্য মূলত এই আরর্টিকেল। মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের এমন কয়েকটি উপায় নিয়ে এই আরর্টিকেলে বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে যে, এই উপায় গুলো আপনারা অবলম্বন করলে ১০০% গ্যারান্টি যে আপনারা মাসে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা ৫টি উপায় হলো-
- দর্জির কাজ করে আয়
- কাপরের ব্যাবসা আয়
- পশু ও পাখি পালন করে আয়
- হস্তশিল্প বিক্রয় করে আয়
- বিউটি পার্লার দিয়ে আয়
১. দর্জির কাজ করে আয়
মেয়েদের প্রধান এবং সহজ ইনকামের পথ হলো দর্জির কাজ করে আয়। বর্তমানে হাজার হাজার মেয়ে এবং ছেলে দর্জির কাজ করে প্রতি মাসে ১৫-২০ হাজার টাকা ইনকাম করেন। আপনি যদি আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে দর্জির কাজ শিখে ঘরে বসে অন্যান্য কাজের পাশাপাশি সহজেই ইনকাম করতে পারেন। বর্তমানে অনলাইনে দর্জির কাজ শেখানো হয়। অনলাইন থেকেই সকল প্রকার ডিজাইন শিখে এবং কাপর কার্টিং শিখে দর্জির কাজ শুরু করতে পারবেন।
দর্জির কাজ শেখার জন্য আপনার তেমন কোন টাকা খরচ হবে না। শুধু একটি সেলাই মেশিন এবং কেচি, ফিতা ইত্যাদি। এগুলো ক্রয় করতে বড়জোর ৫-৭ হাজার টাকা খরচ হবে। তো প্রিয় বোনেরা আপনারা ইচ্ছে করলে দর্জির কাজ শিখে ঘরে বসে সহজেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এর জন্য শুধু আপনার চেষ্টা এবং সাহসিকতার প্রয়োজন।
২. কাপরের ব্যাবসা
দর্জির পাশাপাশি কাপরের ব্যাবসা করে আয় করা যাবে। আপনি যদি ইচ্ছে করেন তাহলে কিছু টাকা খরচ করে পাইকারি কাপরের দোকান থেকে গজ কাপরের সাথে থ্রিপিচ, টুপিচ, বেডসিড, শাল, লুঙ্গি, বাচ্চাদের জামাকাপর ইত্যাদি কিনে বাসায় যে কোন একটি ঘরে রেখে বিক্রি করতে পারেন। এভাবে কাপরের ব্যাবসা করে প্রতিমাসে ৮-১০ হাজার টাকা ইনকাম করা যায়। আপনার যদি দর্জির কাজের অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তাহলে কাস্টমার আপনার দোকান থেকে কাপর কিনে আপনার কাছে
সেলাই করতে দিবেন। এভাবে আপনার বাড়তি আয় হবে। ঘরে বসে যদি আয় করার ইচ্ছে থাকে তাহলে আপনি কাপরের ব্যাবসা করে বেশ লাভবান হতে পারবেন। তবে প্রথম অবস্থায় প্রচার হতে একটু সময় লাগবে। প্রচার হয়ে গেলে আপনার ব্যাবসা সুন্দর চলবে। কাপরের ব্যাবসা করতে প্রায় ৩০-৪০ হাজার টাকা হলেই ব্যাবসা শুরু করতে পারবেন। এই ব্যাবসার জন্য অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নাই। যদি ইচ্ছে থাকে তাহলে এখনই কাপরের ব্যাবসা শুরু করতে পারেন।
৩.পশু ও পাখি পালন করে আয়
সাধারনত গ্রামের সকল মেয়েরাই গরু, ছাগল, হাস, মুরগী পালন করে টাকা ইনকাম করে থাকে। তাছারাও অনেক মেয়েরা লেখাপড়ার পাশাপাশি মুরগীর খামার করে টাকা ইনকাম করে থাকে। আবার আপনি যদি ইচ্ছে করেন বিভিন্ন জাতের পাখির খামার দিয়ে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। সবচেয়ে লাভজনক ব্যাবসা হবে গরু এবং মুরগীর খামার করলে। কারন গুরু পালন করলে গরুর দুধ বিক্রয় করে বাড়তি আয় করা যায়।
এবং গরু কিনে ৬ মাস পালন করে গরু মোটাতাজা করে বিক্রি করে দিলে ভালো লাভবান হবেন। আর মুরগীর খামার করলে ডিম বিক্রি করে বাড়তি আয় করা যাবে। পশুপাখি পালন করে ঘরে বসে আয় করার ইচ্ছে থাকে তাহলে দেরি না করে শুরু করে দেন পশু পাখি পালন।
৪.হস্তশিল্প বিক্রয় করে আয়
বর্তমানে হস্তশিল্প ব্যাবসা বেশ জনপ্রিয় ব্যাবসা। এই ব্যাবসা করে মানুষ প্রতিমাসে হাজার হাজার টাকা আয় করে থাকে। হস্তশিল্প ব্যাবসা গ্রাম এবং শহর সকল এলাকার মানুষ করতে পারে। হস্ত শিল্প ব্যাবসা করতে বেশি টাকা খরচ করতে হয় না। এবং এই ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য বেশি জায়গার প্রয়োজন হয় না। অনেকেই মনে করবেন হস্ত শিল্প গুলো আবার কি। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক হস্তশিল্প গুলো কি কি। হাতের তৈরী জিনিষকে হস্তশিল্প বলে। প্লাস্টিকের ফুল তৈরী করা
- ফুলদানি তৈরী
- মাটির তৈরী পুতুল, ফল এবং তরিতরকারি।
- পাটের পুতুল
- জামাকাপড় বানানো
- বিভিন্ন রকমের মসলার গুঁড়া
- ভাজা খাওয়ার উপকরণ
- চটের ব্যাগচানাচুর জাতীয় মুখরোচক খাবার
- পাপোষ বা কার্পেট তৈরী
- পাঁপড় তৈরী
- হার চুড়ি তৈরী
- সোলার মুকুট এবং ফুল
- গোল্ড প্লেটেড জুয়েলারি
- ভাজা খাওয়ার উপকরণ
- শঙ্খের সৌখিন দ্রব্য
- পেন্সিল বাক্স
- কলাই বড়ি তৈরী
উপরোক্ত প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র গুলো আপনি বাড়িতে বসে হাতে তৈরী করতে পারেন। এবং এগুলো বাজারের দোকানে বিক্রি করে অথবা অনলাইনে ব্যাবসা করে লাভবান হতে পারবেন। উপরোক্ত হস্তশিল্পী ছারাও আরো অনেক হাতের তৈরী জিনিস আছে যেগুলো তৈরী করে বিক্রি করে বাড়তি আয় করতে পারবেন। সেগুলো হলো-
- হাতে বোনা উলের সুইটার
- নকশি কাথা
- শাড়িতে নকশা করা
- চুমকি পুথির হ্যান্ড ব্যাগ
- চুমকি পুথি দিয়ে জামায় ফুল তোলা
- মাটির প্রদীপ
- কাঠের চামুচ বাটি
- কাঠের ধুপদানি
- কাঠের ফ্রেম
- কাঠের বিভিন্ন খেলনা
- কাঠের বাশি
- মোমবাতি তৈরী
- গামছা শাড়ি তৈরী
- স্যান্ডেল তৈরী
- বেতের টুল
- ঘরসাজানো বিভিন্ন ডিজাইন জিনিষপত্র
- টুকরো কাপর দিয়ে চুলের বান্ড
চুলের ক্লিপ তৈরী ইত্যাদি জিনিষ গুলো হাতে তৈরী করে বাজারে বা অনলাইনে ব্যাবসা করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ইনকাম করার জন্য ধর্য এবং মনোবল থাকতে হবে। আপনার ইচ্ছে আপনাকে অনেক দুর এগিয়ে নিয়ে যাবে। আপনি যদি ইচ্ছে করেন তাহলে বাড়িতে বসে উপরোক্ত হস্ত শিল্প গুলো মধ্যে যে কোন একটি তৈরী করে ব্যাবসা শুরু করে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন। এর জন্য বেশি টাকার প্রয়োজন হয় না। আপনি ইচ্ছে করলে অনলাইন থেকে উপরোক্ত হস্তশিল্প গুলো তৈরী করা শিখতে পারবেন।
৫.বিউটি পার্লার দিয়ে আয়
বিউটি পার্লার দিয়ে আয় করা মেয়েদের জন্য সবচেয়ে সেরা ইনকামের উৎস। দিনে দিনে মেয়েদের রুপ চর্চা এবং চুল চর্চার পরিমান বেড়েই যাচ্ছে। বিউটি পার্লার দিতে তেমন টাকার প্রয়োজন হয় না। প্রথম আগে কোন পার্লার থেকে কাজ শিখে আপনি বাড়িতে একটি পার্লার দিয়ে সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। শুধু পার্লার নয় , পার্লার এর পাশাপাশি আপনি বিভিন্ন ধরনের কসমেটিক, মেয়েদের ব্যক্তিগত পণ্য, জুতা, স্যান্ডেল, হ্যান্ডব্যাগ, জামাকাপর ইত্যাদি বিক্রি করে বাড়তি আয় করতে পারবেন।
এই ব্যাবসা করে প্রচুর মেয়েরা মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করে আসছে। আমার মনে হয় মেয়েদের জন্য এই ব্যাবসা একটি স্বাধীন ব্যাবসা। আপনার বিউটি পার্লারের কাজ জানা থাকলে দেরি না করে শুরু করে দিন বিউটি পার্লারের কাজ। আপনার ঘরের কাজের পাশাপাশি এই কাজ করে আয় করতে পারবেন। বিউটি পার্লার দিয়ে আপনি প্রতিমাসে ২০-৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায়?
অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায়- বর্তমান যুগে অনলাইন থেকে ছাত্র-ছাত্রী, স্বামী-স্ত্রী, বয়স্ক-অর্ধবয়স্ক সরকারি এবং বেসরকারি চাকরির পাশাপাশি বিভিন্ন কাজ শিখে অনলাইন থেকে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করছেন। প্রযুক্তি আমাদের জীবনের অনেক পরিবর্তন নিয়ে এসেছেন। বর্তমান মেয়েরা ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করে টাকা আয় করছেন।
অনলাইন থেকে টাকা আয় করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। এই উপায় গুলোর উপর প্রশিক্ষন নিয়ে অনলাইনে কাজ করলে মেয়ে অথবা ছেলে যে কেউ ১০০% গ্যারান্টি সহজেই ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে পারবে। অনলাইনে টাকা ইনকামের কয়েকটি সহজ উপায় আছে সেগুলো নিচে দেওয়া হলো-
- আরর্টিকেল লিখে আয়
- ইউটিউব থেকে আয়
- ফেসবুক থেকে আয়
- ব্লগিং করে আয়
- ওয়েবসাইড তৈরী করে আয়
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
- ফ্রিলাংন্সিং করে আয়
- অনলাইনে শিক্ষকতা করে আয়
- গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয়
- ডেটা এন্ট্রি করে আয়
- সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আয়
- অনলাইনে খাবার বিক্রি করে আয়
১.আরর্টিকেল লিখে আয়
আপনি যদি এক্সপার্ট আরর্টিকেল রাইটার হয়ে থাকেন তাহলে ঘরে বসে আরর্টিকেল লিখে হাজার হাজার ডলার আয় করতে পারবেন। আরর্টিকেল লিখে আয় করার জন্য কয়েকটি ভালো সাইড আছে যে গুলোতে আপনি যোগাযোগ করে প্রশিক্ষন নিয়ে আরর্টিকেল লিখে মাসে ৮-১০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। আরর্টিকেল লিখে আয় করার সাইট গুলো হলো-
- TrickBD.com
- Grathor.com
- Ordinaryit.com
- jit.com.bd
- ror bangla.com
২.ইউটিউব থেকে আয়
ইউটিউব এমন একটি সাইট নিয়মিত কনটেন্ট যদি পাবলিশ করা হয় তাহলে সেই সাইট থেকে এক সময় অবশ্যই আয় হবে। তার জন্য আপনাকে সততার সাথে পরিশ্রম করতে হবে। ইউটিউব থেকে আয় করতে প্রায় ৬মাস থেকে ১ বছর সময় লাগতে পারে। এই সাইট থেকে আয় করার জন্য কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। ইউটিউব থেকে আয় করতে হলে কয়েকটি মাধ্যম আছে সেগুলো আগে ভালো করে জানতে হবে। ইউটিউব থেকে আয় করার সেরা কয়েকটি মাধ্যম নিচে দেওয়া হলো-
- কনটেন্ট তৈরী করে আয়
- বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয়
- পণ্য বিক্রয় করে আয়
- সুপার চ্যাট এবং সুপার স্টিকারের মাধ্যমে আয়
- চ্যানেল মেম্বার শিপ থেকে আয়
- ইউটিউব প্রিমিয়াম থেকে আয়
ইউটিউব থেকে আয় করার কয়েকটা শর্তাবলীঃ
ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য নিচের দেওয়া শর্তাবলী অবশ্যই মানতে হবে। তা না হলে আয় সম্ভব না। আপনাকে কিছু মনিটাইজ পলিসি গ্রহণ করতে হবে এবং আপনার চ্যানেলের কিছু ক্রাইটেরিয়ার পূরণ করতে হবে। চলুন জেনে নিই ইউটিউব থেকে আয় করার কয়েকটা শর্তাবলী গুলো কি কি?
- ইউটিউব চ্যানেলে অবশ্যই ১,০০০ সাবস্ক্রাইব থাকতে হবে।
- ইউটিউব চ্যানেলে ৪,০০০ ঘন্টা ভিউ থাকতে হবে।
- উপরের দুটি শর্ত ১ বছরের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
- তাছারাও লাইক, কমেন্ট এবং সেয়ার পর্যাপ্ত পরিমানে থাকতে হবে।
- আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ১০ লাখ ভিউ থাকতে হবে।
- আপনার ইউটিউব চ্যানেলে কোন রকম কপি ভিডিও বা লেখা থাকা যাবে না।
- ইউটিউব চ্যানেলের যে সকল শর্তাবলী গুলো দেওয়া থাকে তা কখনো লঙ্ঘন করা যাবে না।
৩. ফেসবুক থেকে আয়
বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়া থেকে মানুষ বিভিন্ন উপায়ে টাকা ইনকাম করতেছে। তার মধ্যে ফেসবুক একটি টাকা ইনকামের প্লাটফর্ম। আমরা প্রায় মানুষই ফেসবুক নিয়ে পরে থাকি। কিন্তু আপনি জানেন কি ফেসবুক থেকে হাজার হাজার ডলার টাকা আয় করা যায়। ফেসবুক থেকে আয় করার কয়েকটা সেরা উপায় আছে সেগুলো নিচে দেওয়া হলো-
- ভিডিও তৈরী করে ফেসবুক থেকে আয়
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ফেসবুক থেকে আয়
- ফেসবুক ইভেন্ট এর মাধ্যমে আয়
- ফেসবুক পেজ এবং গ্রুপ তৈরী করে আয়
- ফেসবুক মার্কেট প্লেস থেকে আয়
- অনলাইন পেইড ইভেন্ট থেকে আয়
- সরাসরি ফলোয়ার দের কাছ থেকে আয়
৪.ব্লগিং করে আয়
আপনি যদি ব্লগিং এর কাজ জেনে থাকেন তাহলে ঘরে বসে সহজেই ১৫-২০হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে ব্লগিং এর কাজ আগে ভালো করে শিখতে হবে। ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কয়েকটি উপায় আছে। এই উপায় গুলো ব্যাবহার করে আপনি সহজেই আয় করতে পারবেন। আপনার যদি একটি ব্লগ সাইড থেকে থাকে তাহলে দেরি না করে নিম্নোক্ত উপায়ে আয় করা শুরু করে দিন। ব্লগিং থেকে আয় করার উপায় গুলো নিচে দেওয়া হলো-
- গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে বাংলা ব্লগ থেকে আয়
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
- বিজ্ঞাপন এবং নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আয়
- পণ্য বিক্রয় করে আয়( নিজের বা অণ্য কারো)
- এলাকার কোম্পানীর পণ্য প্রচার করে আয়
- কোর্স বিক্রয় করে আয়
- ব্যাক লিংক এর মাধ্যমে আয়
- প্রমোশনাল গেস্ট পোস্টের মাধ্যমে আয়
- পরিষেবা বিক্রয় করে আয়
- ব্লগ বিক্রয় করে আয়
৫.ওয়েবসাট তৈরী করে আয়
আপনি যদি ওয়েবসাইড তৈরী করা জেনে থাকেন তাহলে ওয়েবসাইড তৈরী করে সেই ওয়েবসাইড বিক্রয় করে আয় করতে পারবেন। যে কোন কোম্পানী থেকে ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনে একটি ওয়েবসাইট তৈরী করে তাতে কয়েকটি আরর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে। আপনার ওয়েবসাইটে যদি ভালো ভিজিটর আসে তাহলে গুগল এডসেন্স এর আবেদন এর মাধ্যমে এডসেন্স পেয়ে যাবেন। একটি এডসেন্স পাওয়া ওয়েবসাইট ৪০হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকায় অথবা তার বেশি দিয়ে ও বিক্রিয় করতে পারবেন।
৬.অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন। কোম্পানীর পণ্য আপনার ওয়েবসাইটে প্রচার করে বিক্রয় করতে পারলে কোম্পানী তার পণ্যর মূল্য থেকে ৫% থেকে ২০% পর্যন্ত কমিশন দিয়ে থাকে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রচুর মানুষ ডলার ইনকাম করছেন। আপনি চাইলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ঘরে বসে সহজেই ইনকাম করতে পারবেন।
৭.ফ্রিলাংন্সিং করে আয়
ফ্রিলাংন্সিং করে আয় করা যায় এই কথাটা এখন সবাই জানে। আগে ভালো করে কাজ শিখতে হবে তারপরে ঘরে বসে সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। আপনি কোন টপিকের উপর কাজ শিখে ইনকাম করতে চান সেই টপিক গুলো পছন্দ করে কাজ শিখে ইনকাম করতে পারবেন। ফ্রিলাংন্সিং এর কাজ আপনি স্বাধীন ভাবে করতে পারবেন।
৮.অনলাইনে শিক্ষকতা করে আয়
বর্তমানে অনলাইনে ভিডিও অডিও রেকডিং করে বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পৌছে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে প্রতিটি ভিউতে আপনার ইনকাম আসবে। কয়েকটি উপায়ের মাধ্যমে অনলাইন শিক্ষকতার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। চলুন জেনে নিই সেই উপায় গুলো-
- বিজ্ঞাপন দেখা যায় এরকম প্লাটফর্ম বাছাই করতে হবে।
- প্রতি ভিউতে রোজগার হবে। সাবস্ক্রিপশন মডেল এর মাধ্যমে ইনকাম
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এবং
- প্রিমিয়াম মেম্বারশিপ এর মাধ্যমে ইনকাম করা যায় অনলাইনে শিক্ষকতা করে।
৯.গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয়
গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ শিখে আপনি ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সার, পিপল পার আওয়ার, আপওয়ার্ক এর মতো ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে একাউন্ট খুলে আপনার অভিজ্ঞতা দিয়ে কাজ করে সহজেই ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন। তার জন্য লাগবে পরিশ্রম।
১০.ডেটা এন্ট্রি করে আয়
মোবাইল এবং কম্পিউটারের মাধ্যমে আপনি ডাটা এন্ট্রি কাজ শিখে ঘরে বসে আয় করতে পারবেন। বিভিন্ন রকমের ওয়েবসাইড এবং অ্যাপস রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। ডাটা এন্টি কাজ করে আয় করার জন্য কয়েকটি জনপ্রিয় উপায় রয়েছে চলুন সেগুলো জেনে নিই।
- অনলাইন সার্ভে করে
- ক্যাপচা পূরণ করে আয়
- ফ্রিলাংন্সিং করে আয়কপি পেস্ট করা করে আয়
- ডাটা কালেকশান করে আয়
- স্ক্র্যাপিং ডাটা এন্ট্রি করে আয়
- মাইক্রো টাস্কিং করে আয়
- ট্রান্সক্রিপশন করে আয়
১১. সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আয়
সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক রকমের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি প্রতি মাসে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে পারবেন। সামাজিক যোাগাযোগের মাধ্যম গুলো হলো, ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটর, ইনস্ট্রাগ্রাম, হোয়াটস্যাপ ইত্যাদি। বর্তমান যুগে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ছবি, ভিডিও, লিংক আদান প্রাদান করে আয় করছেন অনেকেই।
১২.অনলাইনে খাবার বিক্রি করে আয়
আপনি যদি ভালো রাধুনি হয়ে থাকেন। বিভিন্ন পদের রান্না করতে পারেন তাহলে বিভিন্ন খাবার তৈরী করে অনলাইনের মাধ্যমে সহজেই বিক্রি করতে পারবেন। তবে এর জন্য আগে প্রচার করতে হবে এবং কিছু সময় দিতে হবে। অনলাইনে খাবার বিক্রি করে বিভিন্ন মেয়েরা আজ সাবলম্বি হয়ে গেছে। আপনি যদি ইচ্ছে করেন তাহলে সন্মানের সাথে অনলাইনে খাবার বিক্রি করে প্রতি মাসে ১৫-২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
লেখকের শেষ কথাঃ মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা ১০টি উপায়?
প্রিয় পাঠক আপনারা এই আরর্টিকেল থেকে জানতে পারলেন মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা ১০ টি উপায়। ঘরে বসে ইনকামের জন্য ইচ্ছে শক্তি থাকতে হবে। বর্তমান যুগের অনেক বিবাহিতা মেয়ে, স্কুল ছাত্রীরা ইন্টারনেটের কাজ শিখে প্রচুর টাকা ইনকাম করছেন। এই আরর্টিকেলে ইনকামের যে উপায় গুলো দিয়া আছে সেগুলো ফেক না। এর প্রত্যেকটি উপায়ে আপনি ঘরে বসেই ইনকাম করতে পারবেন।
ঘরে বসে আয় রোজগার করার ইচ্ছে হয় তাহলে দেরি না করে উপরোক্ত উপায় গুলো মধ্যে যে কোন একটি উপায় বেছে নিয়ে কাজ শিখে রোজগার করা শুরু করে দিন। আরর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে পরিচিতদের মধ্যে সেয়ার করে দিবেন এবং আরো ভালো ভালো আরর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইডে যোগাযোগ করতে ভুলবেন না। আরর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সকলেই।
পোষ্ট ট্যাগঃ
অনলাইনে কি ইনকাম করা যায়, মেয়েরা ঘরে বসে কিভাবে আয় করতে পারে, কিভাবে ঘরে বসে আয় করা যায়, ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ, ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০-২০০০০ টাকা প্রতি মাসে, ঘরে বসে মেয়েদের হাতের কাজ, অবসর সময়ে বাড়িতে বসে কাজ, ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ bangladesh, ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ ঢাকা, ঘরে বসে প্যাকিং এর কাজ চট্টগ্রাম, প্যাকেজিং জব ।
msta2z.comব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url