ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কিসের এপ্রুভাল প্রয়োজন হয়?
প্রিয় পাঠক ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কিসের এপ্রুভাল প্রয়োজন হয় এই আরর্টিকেল পড়ে জেনে নিন। আপনারা যদি ইচ্ছে করে তাহলে ব্লগিং শিখে ব্লগ থেকে বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম করতে পারবেন। তার জন্য প্রয়োজন হবে নিষ্ঠার সাথে কাজ করা। ব্লগ থেকে ইনকাম করার জন্য এমন কিছু নিয়মকানুন আছে তা আপনাকে মেনে চলতে হবে তাহলে আপনি ব্লগ থেকে আয় করার জন্য এপ্রুভাল পাবেন। চলুন দেরি না করে জেনে নিন ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কিসের এপ্রুভাল প্রয়োজন হয়।
ব্লগ থেকে ইনকাম করতে চাইলে প্রথমে প্রয়োজন হবে একটি ওয়েবসাইডের। কিন্ত ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কিসের এপ্রুভাল প্রয়োজন হয় তা হয়তো অনেকেই জানেন না। তো বন্ধুরা ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করতে হবে, ব্লগিং এ কত টাকা আয় করা যায়, ব্লগ ওয়েবসাইড তৈরীর নিয়ম, ব্লগিং কিভাবে শিখবেন ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হলে পুরো আরর্টিকেল টি ভালো শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।
ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কিসের এপ্রুভাল প্রয়োজন হয়?
ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কিসের এপ্রুভাল প্রয়োজন হয়- ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কিসের এপ্রুভাল প্রয়োজন সে বিষয় নিয়ে আজ আমরা বিস্তারিত জানবো। একটি ব্লগে বা ওয়েবসাইডে এমন কিছু টপিক নিয়ে গুনগত মানসম্পন্ন সঠিক তথ্য দিয়ে আরর্টিকেল লিখতে হবে যেন ভিজিটর আরর্টিকেল টি পড়ে ওয়েবসাইডের বিশ্বস্ততা অর্জন করতে পারে। তাহলে ভিজিটর রা সেই ওয়েবসাইড বারে বারে ভিজিট করবেন।
আরো পড়ুনঃ বাবুল গেম খেলে টাকা ইনকাম করুন
একটি ব্লগে যত বেশি ভিজিটর আসবে তত সেই ব্লগের জন্য উন্নতি হবে এবং তাড়াতাড়ি গুগল সেই ওয়েবসাইডে এডসেন্স এপ্রুভাল দিবে। সাধারনত গুগল এপ্রুভাল পাওয়ার জন্য প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ ক্লিক আসলেই গুগলের কাছে এ্যাডসেন্স আবেদন করলেই এ্যাডসেন্স এপ্রুভাল দিয়ে দেয়। গুগল এপ্রুভাল পেলেই আপনি আপনার ব্লগ থেকে আয় করতে পারবেন। এইজন্য ব্লগ থেকে আয় করার জন্য গুগল এপ্রুভাল প্রয়োজন হয়।
ব্লগিং ওয়েবসাইট?
ব্লগিং ওয়েবসাইট- ব্লগ হলো এক ধরনের ব্যাক্তিগত পত্রিকা। যখন খুশি তখন লেখালেখি করা যায়। বিভিন্ন খবর প্রকাশ করা হয়। ব্লগ শব্দটি ওয়েব ব্লগের সংক্ষিপ্ত একটি রুপ। যে ব্লগে লেখালেখি করে তাকে ব্লগার বলা হয়। একজন ব্লগারকে প্রতিনিয়তই তার ওয়েবসাইডে কনটেন্ট যুক্ত করতে হয়। আর যারা কনটেন্ট গুলো ব্যাবহার করেন বা পড়েন তার সেখানে কমেন্ট করতে পারেন বা তাদের মন্তব্য পেশ করতে পারেন।
একজন ব্লগার তার ওয়েবসাইডের জন্য ডোমেইন এবং হোস্টিং ক্রয় করে এবং ওয়েবসাইডে সেটিং করে। সেই ওয়েসাইডে নিয়মিত মানসম্মত কনটেন্ট পাবলিশ করতে থাকে। এক কথায় যে সকল ওয়েবসাইডে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আরর্টিকেল বা পোষ্ট লেখালেখি করে পাবলিশ করা হয়, সে সকল ওয়েবসাইড গুলো কে ব্লগিং ওয়েবসাইড বলা হয়। ব্লগিং ওয়েবসাইডে নিয়মিত পোষ্ট লেখে পাবলিশ না করলে ক্লিক বারে না।
ক্লিক না বারলে গুগল এডসেন্স পাওয়া যায় না। আর গুগল এডসেন্স পেলে আস্তে আস্তে ইনকাম বাড়তে থাকবে। বর্তমানে ব্লগিং করে ইনকাম করার কাজকে ফ্রিলাংন্সিং এর সাথে যুক্ত করা হয়েছে। ফ্রিলাংন্সিং দুই ধরনের হয়ে থাকে। ১, এ্যাকটিভ ইনকাম ২. প্যাসিভ ইনকাম। ব্লগিং ইনকাম করাকে প্যাসিভ ইনকাম বলা হয়। বেশির ভাগ ব্লগারেরা তাদের ওয়েবসাইডে বিভিন্ন বিষয়বস্ত সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করে।
সাধারনত একটি ব্লগিং ওয়েবসাইডে দেওয়া হয়, বিভিন্ন বিষয়ে সঠিক তথ্য, যে বিষয়ের উপর লেখা হয় তার ছবি, অন্য পোষ্টের লিংক, ইত্যাদি যুক্ত করা হয়। ব্লগিং থেকে ইনকাম করতে চাইলে ব্লগিং ওয়েবসাইডে সঠিক তথ্য নিয়ে লেখালেখি করলে দ্রুত ইনকাম করতে পারবেন। এখন জেনে নিন ব্লগিং কিভাবে শিখব।
ব্লগিং কিভাবে শিখব?
ব্লগিং কিভাবে শিখব- বর্তমানে অলাইন এর যুগে ব্লগিং শেখে আয় করা খুব সহজ কাজ। কিন্তু পরিশ্রম এর কমতি করা যাবে না। যদি সঠিক ভাবে পরিশ্রম করা যায় এবং নিয়মিত মানসম্মত কনটেন্ট পাবলিশ করা যায় তাহলে সহজেই ব্লগিং থেকে ইনকাম বাড়তে থাকবে। এখন কথা হলো ব্লগিং কিভাবে শিখব? ব্লগিং শেখার কিছু নিয়ম এবং ধাপ রয়েছে। সেগুলো অনুসরন করুন তাহলে সহজেই শেখতে পারবেন। ব্লগিং কিভাবে শিখবেন নিচে দেওয়া হলো।
ব্লগিং শেখার বিভিন্ন মাধ্যম আছে। তার মধ্যে সহজ এবং সচরাচর দুইটি উপায় হলো যেমন, ১. ইউটিউব ভিডিও দেখে ২. পেইড কোর্স করে ব্লগিং শেখা যায়।
১. ইউটিউব ভিডিও দেখে
আপনার যদি ব্লগিং শেখার ইচ্ছে থাকে তাহলে বাড়িতে বসে ইউটিউব ভিডিও দেখে ব্লগিং শিখতে পারবেন। সেখানে বাংলা, ইংরেজী, হিন্দি সকল ধরনের গাইডলাইন পেয়ে যাবেন। তাছারাও ব্লগিং করতে গিয়ে কোন সমস্যা হলে ইউটিউব ভিডিও দেখে দেখে সকল সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। বর্তমান যুগে সকল অনলাইন এর কাজ গুলো ইউটিউব ভিডিও দেখে দেখে শিখে নেওয়া যায়।
২. পেইড কোর্স করে
বাংলাদেশে এখন ব্লগিং শেখানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের আইটি প্রতিষ্ঠান আছে সেখান থেকে ব্লগিং শেখা যায়। কিন্তু সেখানে ব্লগিং শিখতে গেলে প্রথমে কিছু টাকা পেইড করতে হয়। তার বিনিময়ে তারা তিন মাস বা ছয় মাসের কোর্স করায়। সেই কোর্সেই ব্লগিং শিখতে পারবেন। ব্লগিং শেখার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ রয়েছে সেগুলো অনুসরন না করলে ব্লগিং শেখা যাবে না। নিচে ব্লগিং শেখার ধাপ গুলো দেওয়া হলো
ব্লগিং শেখার ধাপগুলোঃ
- প্রথমে ব্লগের টপিক নির্ধারন করতে হবে।
- ব্লগের সুন্দর একটি নাম বাছাই করতে হবে।
- ডোমেইন, হোস্টিং ক্রয় করতে হবে এবং
- ডোমেইন, হেস্টিং এর নাম বাছাই করতে হবে।
- ব্লগ সাইড কাস্টমাইজ করতে হবে।
- ব্লগে SEO সেটআপ করতে হবে।
- ব্লগে মানসম্মত পোষ্ট লিখতে হবে। তারপরে
ভিজিটর বাড়লে গুগলে এ্যাডসেন্সের আবেদন করতে হবে। গুগল এডসেন্স দিলে ইনকাম আস্তে আস্তে শুরু হবে।
ব্লগে কোন টপিক নিয়ে লিখলে বেশি ইনকাম হয়?
ব্লগে কোন টপিক নিয়ে লিখলে বেশি ইনকাম হয়- ব্লগ থেকে আয় করা যায় তা সকল ব্লগারের জানা আছে। কিন্তু কোন ধরনের টপিক নিয়ে লেখলে ভালো ইনকাম হবে তা হয়তো অনেকেরই জানা নেই। ভালো টপিকের উপর লেখালেখি করলে ভালো ইনকাম আসবেই। চলুন জেনে নেওয়া যাক ব্লগে কোন টপিক নিয়ে লিখলে বেশি ইনকাম হয়?
- চাকরি এবং ক্যারিয়ার
- স্বাস্থ্য ও ফিটনেস
- অনলাইনে অর্থ উপার্জন
- খাবারের রেসিপি
- সৌন্দর্য এবং ফ্যাশন
- ইন্টারনেট সম্পর্কিত টিপস
- প্রেরণাদায়ক
- কিভাবে" এবং "কি"
- ব্লগ পর্যালোচনা করুন
- ব্লগিং গাইড
- বীমা
- গল্প ইত্যাদি
এইসব টপিকের উপর আরর্টিকেল লেখলে ভালো ভিজিটর আসে। বর্তমানে অনেকেই ব্লগিং করছেন তার মধ্যে ৩৫% মানুষ সফলতা পাচ্ছেন। সঠিক নিশ বেছে নিয়ে আরর্টিকেল লেখালেখি করলে গুগল ট্রফিক পেতে সহজ হবে। উপরের টপিক গুলো নিয়ে বেশি লেখালেখি করেন তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন আশা করা যায়। এখন আমরা জানবো ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কিসের এপ্রুভাল প্রয়োজন হয়। এখন জানতে পারবেন কিভাবে একটি ব্লগ তৈরী করা হয়।
ব্লগ তৈরির নিয়ম?
ব্লগ তৈরির নিয়ম- ব্লগ তৈরী করার নিয়ম জানার আগে আপনাকে জানতে হবে ব্লগ কত প্রকার হয়। ব্লগ ২ প্রকার হয়। যেমন, ১ ব্যক্তিগত ব্লগ ২. সামাজিক ব্লগ।
১. ব্যক্তিগত ব্লগঃ ব্যাক্তিগত ব্লগ মানে সেই ব্লগ যে ব্লগে একজন ব্লগার থাকবে। নিজের ইচ্ছে স্বাধীণ আরর্টিকেল পাবলিশ করতে পারবে। যে ব্লগের মালিক একটাই সেই ব্লগ কে ব্যক্তিগত ব্লগ বলা হয়।
২. সামাজিক ব্লগঃ সামাজিক ব্লগ মানে যে ব্লগের মালিক একের অধিক থাকে অনেকেই অংশগ্রহন করতে পারে তাকে সামাজিক ব্লগ বলা হয়। সামাজিক ব্লগের লেখা সমূহ বিভিন্ন বিভাগের হয়ে থাকে সেখানে সকলেই মতামত প্রকাশ করতে পারে।
ব্লগ তৈরীর নিয়মঃ
ব্লগ তৈরীর জন্য প্রথমে প্রয়োজন একটি কম্পিউটার, ল্যাপটপ অথবা স্মার্ট ফোন। তার সাথে থাকতে হবে ইন্টারনেট সংযোগ। আরো জানতে হবে কম্পিউটার সম্পর্কে কিছু বেসিক ধারনা। ব্লগ তৈরী করতে তেমন কোন অর্থের প্রয়োজন হয় না। অল্প খরচে ব্লগ তৈরী করতে পারবেন ব্লগার ও ওয়ার্ডপ্রেস। এগুলো ব্লগ তৈরী করতে ২-৪ হাজার টাকা হলেই হবে। কারন ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনতে হয়।যে কোন কোম্পানী থেকে ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনে ওয়েবসাইড/ব্লগ তৈরী করতে হয়।
- ব্লগ তৈরীর জন্য জিমেইল লাগবে।গুগল সার্চ বারে blogger.com লেখে সার্চ দিতে হবে।
- সার্চ দেওয়ার পরে লেখা থাকবে create new blog এর উপরে ক্লিক করত হবে।
- সেখানে জিমেইল আইডি চাইবে। জিমেইল আইডি দিয়ে ব্লগারে লগইন করতে হবে।
- এর পরে আসবে টাইটেল সেখানে আপনি আপনার ব্লগের নাম দিবেন।
- ব্লগের ঠিকানা/ অড্রেস সেট করে Save অপশনে ক্লিক করলেই তৈরী হয়ে গেল আপনার ব্লগ একাউন্ট।
সেখানে আপনার blogger এর ডার্সবোর্ড দেখতে পাবেন। ব্লগারে ডাসবোর্ডে এ Post অপশন আছে সেখানে ক্লিক করলেই পেজ চলে আসবে সেখানে আপনি আরর্টিকেল লেখে, ছবি সেটিং করে, লিংক দিয়ে পাবলিশ করতে পারবেন। ব্লগার ডাসবোর্ড দেখতে এমন হয়?
ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়?
ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়- ব্লগ থেকে বিভিন্ন উপায়ে আয় করা যায়। কত টাকা আয় করবেন তা নির্ভর করবে আপনার কাজের উপর এবং অভিঙ্গতার উপর। ব্লগ থেকে বিভিন্ন উপায়ে আয় করার উপায় গুলো হলো বিজ্ঞাপন, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ওয়েবসাইড কেনা বেচা, আরর্টিকেনা বেচা, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রোডাক্টের অফার, সাবস্ক্রিপশন এবং কোচিং করার মাধ্যমে ব্লগিং থেকে টাকা আয় করা যায়। ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় দেখে নিন।
ব্লগিং থেকে মাসিক আয়ঃ
- ব্লগে বাংলা আরর্টিকেল লেখালেখি করলে প্রতি মাসে ১০০ থেকে ২০০ ডলার মানে বাংলা টাকায় প্রতি মাসে ১০,০০০ টাকা থেকে ২০,০০০ টাকা ইনকাম হয়। যাদের ভালো অভিঙ্গতা আছে তারা মাসে ১,০০০ ডলারের উপরেও ইনকাম করে থাকে বাংলা ব্লগ থেকে। এক কথায় যদি ভালো লেখালেখি করতে পারেন তাহলে প্রতি মাসে ব্লগ থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
- ইংরেজী ব্লগে ইনকাম বেশি হয়। কারন দেশ বিদেশ সকল জায়গার মানুষ ইংরেজী ব্লগ পড়তে পারে। এই জন্য ইংরেজী ব্লগ থেকে প্রতি মাসে ৪০০-৬০০ ডলারের বেশি ইনকাম করে থাকে। বা ৪০-৫০ হাজার টাকা ইনকাম হয়। অনেকেই আবার একাধিক সাইড থেকে ১২,০০০+ ডলার আয় করে থাকে।
যদি সঠিক তথ্য দিয়ে সঠিক নিয়ম কানুন মেনে ব্লগে আরর্টিকেল পাবলিশ করা যায় তাহলে আরর্টিকেল অবশ্যই রাঙ্কে থাকবে। এবং ভিজিটর ও আসবে। আর ভিজিটর যত আসবে তত ইনকাম ও বাড়বে।
ব্লগ থেকে কিভাবে ইনকাম হয়?
ব্লগ থেকে কিভাবে ইনকাম হয় - আমরা যখন একটি ব্লগ তৈরী করি ইনকামের আশাতে। ব্লগে বিভিন্ন ভিজিটর এবং ট্রাফিকরা পড়তে আসে। এই যে ভিজিটর এবং ট্রাফিক এরাই হলো ব্লগের ইনকামের প্রধান উৎস। একটি ব্লগে যত বেশি ট্রাফিক এবং ভিজিটর আসবে সেই ব্লগে তত বেশি ইনকাম হবে। আবার অন্যদিকে বিশ্বে যত ব্লগার আছে তারা তাদের প্রত্যেকের ওয়েবসাইড ভিজিট করে থাকে। ব্লগ থেকে ইনকাম হয় প্রায় ৮০% ব্লগারদের জন্য।
ব্লগে ভিজিটর বারলে গুগল সেই ব্লগে এডসেন্স এপ্রুভাল দেয়। আর এডসেন্স এপ্রুভাল হলে সেই ব্লগে বিজ্ঞাপন দেখায়। ভিজিটর যখন আরর্টিকেল পড়তে যায় তখন বিজ্ঞাপন সামনে আসে। সেই বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলেই ব্লগারের একাউন্টে অর্থ চলে আসে। তাহলে এখান থেকে বোঝা যায় যে ব্লগ থেকে টাকা ইনকাম হয় ভিজিটর এবং ব্লগারদের মাধ্যমে।
ব্লগের মূল চালিকাশক্তি কি?
ব্লগের মূল চালিকাশক্তি কি- আপনার একটি ব্লগ আছে সেখানে লেখালেখি করছেন কিন্তু বুঝেন না ব্লগের মূল চালিকা শক্তি কি। নতুন ব্লগারদের উদ্দেশে বলা হচ্ছে আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না যে ব্লগারের মূল চালিকা শক্তি কি। ব্লগারের মূলচালিকাশক্তি সম্পর্কে ভালো করে না জানলে আপনার ব্লগে ভিজিটর বারবে না। আর ভিজিটর না বারলে টাকা ইনকাম ও হবে না। চলুন জেনে নেওয়া যাক ব্লগের মূল চালিকা শক্তি কি?
ব্লগের মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে, SEO ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট বা হাই কোয়ালিটি কনটেন্ট কে বোঝায়। তো বন্ধুরা আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন ব্লগের মূল চালিকাশক্তি কি?
FAQ- প্রশ্ন ও উত্তর
ব্লগ থেকে টাকা আয় করতে কত ভিউ লাগে?
উত্তরঃ ব্লগ থেকে টাকা আয় করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে ট্রাফিক এবং ভিজিটরের প্রয়োজন। প্রতি মাসে টাকা আয় করার জন্য ১০,০০০ ভিউ লাগবে। অর্থ্যৎ প্রতি মাসে টাকা ইনকামের জন্য ১০,০০০ ভিউ প্রয়োজন।
একজন ব্লগার প্রতি ক্লিকে কত টাকা আয় করে?
উত্তরঃ একজন ব্লগার প্রতি ক্লিকে কমিশন $0.20 থেকে $15 ডলার আয় করে।
বিশ্বের সবচেয়ে লাভজনক ব্লগ কোনটি?
উত্তরঃ সাইকসের নামবিহীন ব্লগ আমাদের তালিকার সবচেয়ে বড় মানি-স্পিনার, প্রতি মাসে প্রায় $1 মিলিয়ন আয় করে। ব্লগটিতে পেনি স্টক সংবাদ, চিরসবুজ স্টক ট্রেডিং গাইড এবং কল-টু-অ্যাকশনের মিশ্রণ রয়েছে যা দর্শকদের সাইকসের স্টক ট্রেডিং কোর্সের ছাত্র হিসাবে সাইন আপ করার জন্য অনুরোধ করে।
ব্লগার হওয়ার যোগ্যতা?
উত্তরঃ ব্লগারদেরকে অবশ্যই সঠিক তথ্য দিয়ে সৃজনশীল ও চমৎকার লেখক হতে হবে। তাদের সঠিক মতামত থাকতে হবে এবং লিখত আকারে মতামত প্রকাশ করার সক্ষম হতে হবে। বিভিন্ন কৌশল গুলোতে দক্ষ হতে হবে এবং কম্পিউটার চালানোর দক্ষতা থাকতে হবে। তার সাথে দিনে ৫-৬ ঘন্টা লেখালেখি করার মনমানসিকতা থাকতে হবে।
ব্লগিং এ কি ক্যারিয়ার আছে?
উত্তরঃ অবশ্যই ব্লগিং এ ক্যারিয়ার আছে। বর্তমানে ব্লগিং করে হাজার হাজার ছেলে এবং মেয়ে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করছেন প্রতিমাসে। এখন বর্তমান যুগে মানুষ অনলাইনের কাজে ঝুকে পড়ছে বেশি বিশেষ করে ব্লগিং এর কাজে। এই জন্য বলা যায় ব্লগিং এর ১০০% ক্যারিয়ার আছে। আপনার যদি ব্লগার হওয়ার যোগ্যতা থাকে তাহলে আপনি দেরি না করে একটি ওয়েবসাইড তৈরী করে ব্লগিং এর কাজ শুরু করে দেন।।
ব্লগিং সহজ নাকি কঠিন?
উত্তরঃ ব্লগিং কঠিন নাকি সহজ এইটা জানার আগে কাজ ব্লগ তৈরী করে কাজ শুরু করুন। কোন কাজেই পরিশ্রম ছারা সফলতা আসে না। আপনি যদি ভালো ফলাফল আশা করেন একটি ব্লগ থেকে তাহলে পরিশ্রম করতে হবে। পরিশ্রম করতে পারবেন অবসর টাইমে। ধরাবাধা কোন নিয়ম নেই। আপনি যখন খু শি তখন আরর্টিকেল লেখে পাবলিশ করতে পারবেন। দিনে বা রাতে ৪-৫ ঘন্টা সময় দিলে আপনার ১-২ টা পোষ্ট লেখে পাবলিশ করতে পারবেন। ব্লগে যেহেতু ধরা বাধা কোন নিয়ম নেই সেহেতু ব্লগিং সহজ।
লেখকের শেষ কথাঃ ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কিসের এপ্রুভাল প্রয়োজন হয়?
প্রিয় পাঠক আজ আমরা এই আরর্টিকেল থেকে জানতে পারলাম, ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কিসের এপ্রুভাল প্রয়োজন হয়, ব্লগিং কিভাবে শিখব, ব্লগ তৈরির নিয়ম, ব্লগিং ওয়েবসাইট, ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়, ব্লগের মূল চালিকাশক্তি কি, কোন ধরনের ব্লগ থেকে বেশি ইনকাম করা যায়, ব্লগ থেকে কিভাবে ইনকাম হয়। আমাদের ওয়েবসাইডের প্রত্যেকটা আরর্টিকেলে সঠিক তথ্য দেওয়া আছে।
আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন ব্লগ থেকে আয় করার জন্য গুগলএর এপ্রুভাল প্রয়োজন হয়। আমাদের আরর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে পরিচিতদের মধ্যে সেয়ার করবেন। এবং আরো বিভিন্ন বিষয়ে ভালো ভালো এবং মানসম্মত আরর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইড ভিজিট করুন। ওয়েবসাইডটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং শুভকামনা রইলো। আল্লাহ হাফেজ,
msta2z.comব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url