বিড়ালের নখের আঁচরে কি সমস্যা হয়? বিস্তারিত জানুন
বিড়ালের নখের আচরে কি সমস্যা হয় এবং বিড়াল আচর দিলে কি করতে হবে সে বিষয় নিয়ে আজ আমরা এই পোষ্টে বিস্তারিত আলোচনা করবো। বিড়ালের নখের আচরে কি সমস্যা হয় এবং বিড়াল আচর দিরে কি করতে হবে সে বিষয়ে জানতে হলে আমাদের এই পোষ্টটি ভালো করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো। তো বন্ধুরা আপনারা কি জানেন বিড়ালের নখের আচরে কি সমস্যা হয় এবং বিড়াল আচর দিলে কি করতে হয়।
যেহেতু অনেকেই বাড়িতে সখ করে দুই একটা বিড়াল পুষে থাকে। সেহেতু বিড়ালের কামড় তো খেতেই হবে। তো বন্ধুরা আজ আমরা সেই বিষয়েই জানাবো যে, বিড়াল কামরালে কি সমস্যা হয় এবংবিড়ালের নখের আঁচড় কি বিপজ্জনক এবং বিড়াল কামড়ালে কি টিকা দিতে হবে। তো সেই টিকা কত দিনের মধ্যে দিতে হবে। আরো অনেক বিষয়ে আমরা এই পোষ্টে জানাবো। জানতে হলে আপনাকে অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পোষ্টটি পড়তে হবে।
পেজ সূচিপত্রঃ বিড়ালের নখের আঁচরে কি সমস্যা হয়
ভৃমিকা
বাড়িতে বিড়াল পোষা অনেকের কাছে ভালো লাগে। কিন্তু বিড়াল পোষতে গিয়ে অনেক সময় কামড় দিয়ে থাকে। এমন ভাবে কামর দেয় যেন রক্ত বের হয় বা ক্ষত জায়গার চামরা উঠে যায়। যদি রক্ত বের হয় তাহলে রক্তের সাথে জীবাণুর সংস্পর্শ ঘটে। তখন টিকা নেওয়ার দরকার পরে বা ডাক্তারের চিকিৎসা গ্রহণের দরকার পরে। যদি বিড়াল আচর দেয় বা কামড় দেয় কখন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে বা চিকিৎসা নিতে হবে সে বিষয়ে আমরা এই পোষ্টে বিস্তারিত জানাবো আপনাদেরকে।
বিড়ালের নখের আঁচরে কি সমস্যা হয়
বিড়ালের নখের আচঁরে কি সমস্যা হয়? আমরা প্রায় সকলেই জানি যে, বিড়াল এবং কুকুর কামড়ালে জলাতঙ্ক রোগ হয়। কারণ বিড়াল এবং কুকুরের দাতে এবং নখে বিষ থাকে। যদি ভুলবশত কামড় দেয় বা নখ দিয়ে ক্ষত করে দেয় তাহলে তো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে যাবে। তো বন্ধুরা আজ আমরা এই পোষ্ট থেকে জানবো যে, বিড়ালের নখের আচরে কি সমস্যা হয়? চলুন বন্ধুরা জেনে নেওয়া যাক বিড়ালের নখের আচঁরে কি সমস্যা হয়?
- বিড়ালের কামড় যদি বেশি ক্ষত হয় বা রক্ত বের হয় তাহলে জলাতঙ্ক রোগ হবে।
- বিড়ালের নখের আচঁর দিলে যদি সেই আচর বেশি ক্ষত হয় তাহলে ধুনুষ্ঠংকার রোগ হতে পারে।
- বিড়াল যদি নখের আচঁর দিয়ে মাংশ পেশি ভেদ করে ফেলে তাহলে রক্তনালী বা স্নায়ু পেশির বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
- দুর্বল মানুষকে বিড়ার কামড়ালে বা আচর দিলে পাস্তরেলা রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
- জলতঙ্ক রোগ হলে রোগী ১০-১৫ দিনের মধ্যে মারা ও যেতে পারে।
বিড়ালের কামড়ে বা আচর দিলে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকতে পারে। শুধু বিড়ালের কামর ও আচর না বিড়ালের একটা লোম ও যদি খাবারের মাধ্যমে পেটে যায় তাহলে পেট খারাপ বা ডায়রিয়া হতে পারে। এইজন্য বিড়াল থেকে সর্তক থাকবেন এবং বিড়াল হাত দিয়ে ধরার পর হাত ভালো করে ধুয়ে খাবার খাবেন। বিড়াল আপনি সখ করে পালতে পারেন তবে তার কামর বা আচর দিলে আপনার জন্য বিভিন্ন সমস্যা হয়ে যাবে।
বিড়াল আঁচর দিলে কি করতে হবে
বিড়াল আচর দিলে কি করতে হবে? বিড়াল রেগে গেলে বা দুর্ঘটনাবশত কামর বা আচর দিতেই পারে। এ সময় অনেকেই মনে করেন যে বিড়ার কামরালে সাথে সাথেই জলাতঙ্ক রোগ হতে পারে। এমনটা কখনো নয়। তবে কামর বা আচর কি পরিমান ক্ষত করেছে তার উপর নির্ভর করবে জলাতঙ্ক রোগ। বিড়াল আচর দিলে কি করতে হবে সে বিষয়ে আজ আমরা এই পোষ্ট থেকে জানবো বিস্তারিত। চলুন জেনে নেওয়া যাকবিড়াল আচর দিলে কি করতে হবে?
সাবান পানি
জলাতঙ্ককের জীবাণু ধংস করার জন্য সাবান পানি বেশ কার্যকরী। যে স্থানে বিড়াল আচর দিবে সে স্থান ভালো করে সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে নিবেন। বিড়াল আচর দিলে কি করতে হবে।
স্যাভলন ও ডেটল
ব্যাকটেরিয়া বা জীবানু ধংস করার জন্য স্যাভলন বা ডেটল ব্যাবহার করুন। স্যাভলন বা ডেটল ব্যাবহারে জীবানু প্রায় ৯০% ধংস করে ফেলে। যে স্থানে বিড়াল আচর দিবে সাথে সাথে সে স্থান টা স্যাভলন বা ডেটল দিয়ে ভালো করে পরিস্কার করে নিবেন।
গরম পানি
বিড়াল আচরে দিলে গরম পানি দিয়ে ক্ষত স্থানটি ভালো করে ধুবেন। ধোয়ার পরে স্যাভলন দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে ওভার দ্যা কাউন্টার আন্টিবায়েটিক মলম লাগিয়ে বান্ডিজ দিয়ে বেধে রাখতে পারেন।
ডাক্তারের পরমর্শ
অনেক সময় ছোট বাচ্চা বা বৃদ্ধ মানুষকে বিড়াল কামড়ালে বা আচর দিলে যদি সেই কামর বা আচরের ক্ষত বেশি হয় তাহলে জ্বর হতে পারে। অথবা রক্ত বের হতে পারে। এমন অবস্থায় ক্ষত স্থান টি সাবান পানি বা স্যাভলন ও ডেটল দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে নিয়ে ডাক্তারের কাছে দ্রুত যাওয়া উচিত। এই জন্য যে, ডাক্তার তখন ভালো বলতে পারবে যে, কি চিকিৎসা নিতে হবে।
বিড়ালের নখের আঁচড় কি বিপজ্জনক
বিড়ালের নখের আঁচড় কি বিপজ্জনক? বিড়ালের আচর যদি বেশি ক্ষত হয় বা রক্ত বের হয়ে গরে পরে তাহলে অবশ্যই বিড়ালের নখের আচর বিপজ্জনক। তবে সব বিড়ালের আচর বিপজ্জনক নয়। কিছু বিড়াল আছে যেগুলো কামড়ালে আপনার জন্য বিপদ হতেই পারে। বিড়ালের কামরে বা আচরে জলাতঙ্ক রোগ হয়। এই জলাতঙ্কা রোগ বিড়ালের লালা থেকে ছড়ায়। বিড়ালের লালা যদি রক্তের সাথে মিশে যায় তাহলে জলাতঙ্কা রোগ হবে। তাছারা ও বিড়াল কামড়ালে জ্বর হতে পারে।
কোন ধরনের নখের আচর বা কামড়ানো বিপজ্জনক হতে পারে সে বিষয়ে আপনাদের কিছু ধারনা দেওয়া হলো। যদি এই রকম অবস্থা হয় তাহলে বুঝবেন বিড়ালের নখের আচর সত্যিই বিপজ্জনক হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিড়ালের নখের আঁচড় কি বিপজ্জনক?
- যে স্থানে বিড়াল আচর দিবে সেই স্থানের চারদিকে ফোলে গেলে বা লালভাব হলে বুঝবেন এই আচরানো টা বিপজ্জনক।
- যে স্থানে আচর দিবে সেই স্থান টা লাল হয়ে গেলে বা ব্যাথা করলে। বিড়ালের নখের আঁচড় বিপজ্জনক।
- কামরানো স্থান বা আচরানো স্থান থেকে পুজ বা রক্ত বের হলে। বিড়ালের নখের আঁচড় বিপজ্জনক।
- বিড়াল আচর দিয়ার পর যদি সর্দি কাশি বা জ্বর জ্বর অনুভব হয় তাহলে মনে করবেন আপনার জন্য ভালো চিকিৎসার প্রয়োজন।
- রোগী কোন পানি সহ কোন খাবার খেতে চাইবে না।
- শরীর ও গলা খুব ব্যাথা করবে।
- মুখ দিয়ে লাল ঝরবে।
বিড়াল কামড়ানো বা আচর দিয়ার ১-২ দিন পর যদি উপরের বিষয়গুলোর মতো হয় তাহলে মনে করবেন যে জলাতঙ্ক রোগ হয়েছে। এই রোগ একটি মারাত্বক রোগ। জলাতঙ্ক রোগ স্নয়ুতন্ত্রকে সংক্রামিত করে যার জন্য ১০-১৫ দিনের মধ্যে রোগীর মৃত্য ও হতে পারে। এই জন্য বিড়াল আচর দিলে বা কামর দিলে দ্রুত ডাক্তারের চিকিৎসা নেওয়াটাই উত্তম হবে। প্রিয় পাঠক আমরা এই পোষ্ট খানা পড়ে এখন নিঃসন্দেহে বলতে পারি বিড়ালের নখের আচর বিপজ্জনক।
বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়
বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়? বিড়াল বা কুকুর কামড়ালে ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রথম টিকা নিতে হবে। বিড়াল বা কুকুর কামড়ালে মোট ৪ টি টিকা দিতে হবে। কামড়ানোর ২৪ ঘন্টার মধ্যে একটি টিকা আর বাকি টিকা গুলো হবে ৭ দিনে একটা। ১৪ দিনে একটা। ২৮ তম দিনে একটা দিতে হবে। এই টিকা গুলো কিনতে প্রায় একটির দাম নিবে ১হাজার থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত। তবে সরকারি হাসপাতালে টিকা দিলে ফ্রিতে দিবে।
তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে, বিড়ালের কামরের ক্ষত জায়গার গভীরতা কি রকম এবং রক্ত পাত হচ্ছে কিনা? ক্ষত জায়গা ফোলা বা লাল ভাব হওয়া এরকম হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে টিকা দিতে হবে। আর সামান্য ছিলকা বা চামরা উঠে গেলে টিকার প্রয়োজন নেই। সাবান পানি বা স্যাভলন দিয়ে ধুয়ে আন্টিবায়েটিক মলম লাগালে ঠিক হয়ে যাবে। তবে সব কথার এক কথা আপনি কুকুর বিড়াল থেকে সাবধানে থাকবেন।
বিড়াল আঁচড় দিলে কি ক্ষতি হয়
বিড়াল আঁচড় দিলে কি ক্ষতি হয়? যে স্থানে বিড়াল আচর দেয় আচর যদি বেশি ক্ষত হয় তাহলে সেখানে লাল হয়ে ফুলে যাবে এবং ঘা হয়ে পুজ বের হবে। এতে জলাতঙ্কা রোগ হবে। আর জলাতঙ্ক রোগ হলে মানুষ ১০-১৫ দিনের মধ্যে মারা ও যেতে পারে যদি সঠিক চিকিৎসা না করা হয়। তাছারাও বিড়ালের কামরে বা আচরে খুব বেদনাদায়ক ফোস্কা বা ঘা হতে পারে। মাথা ব্যাথা করে, শরীর খুব ক্লান্ত লাগে এবং জ্বর হতে পারে। তাছারা ও বিভিন্ন ধরনের অসুখ হতে পারে।
বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে জলাতঙ্ক হয়
বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে জলাতঙ্ক হয়? সাধারনত বিড়াল বা কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্ক রোগ হয়। যদি খুব ক্ষত করে কামড় দেয় আর দ্রুত চিকিৎসা না নেওয়া হয় তাহলে এই রোগ হয়। সাধারনত বিড়ার বা কুকুর কামড়ানোর ২৪ ঘন্টার মধ্যে টিকা বো ভ্যাকসিন দিতে হয়। বিড়ালের কামড়ানো টা যদি খুব গুরুতর হয় তাহলে ১-২ দিনের মধ্যে জলাতঙ্ক রোগ শরীরের সংক্রামিত শুরু হতে পারে। আর জলাতঙ্ক রোগ হওয়ার ১০-১৫ দিনের মধ্যে রোগী মারা ও যেতে পারে।
কুকুর বা বিড়ালের কামড়ে যদি জলাতঙ্ক রোগ হয় রোগীর কিছু লক্ষণ দেখে বুঝতে পারা যাবে। জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ গুলো নিচে দেওয়া হলো-
- যে স্থানে বিড়ার কামড় দিবে সে স্থানে খুব ব্যাথা করবে এবং ক্ষত স্থান লাল বা ফোলে যাবে।
- রোগী একাএকি থাকতে পছন্দ করবে। এবং শরীর নিস্তেজ হয়ে যাবে।
- জলাতঙ্ক রোগ হলে রোগী পানি দেখে খুব ভয় করবে। মানে পানি পান করতে চাইবে না।
- রোগীর হালকা জ্বর হবে, সর্দি-কাশি হবে।
- ঢুক চিপতে গলায় ব্যাথা করবে।
- মুখ দিয়ে লাল ঝরবে। শরীর খিচুনী দিবে।
- রোগী শান্ত থাকতে থাকতে হঠাৎ করে রেগে যাবে।
- অনেক সময় কুকুরের মতো জিহ্বা বের করবে । আবার কখনো রোগী অজ্ঞান হয়ে যাবে।
তবে উপরের লক্ষন গুলো দেখা দিতে প্রায় ১০-৯০ দিনের মতো সময় লাগতে পারে।
জলাতঙ্ক রোগ সাধারনত মারত্বক হয়ে থাকে।এই জন্য কুকুর বা বিড়াল কামড়ালে সেই কামড় টা যে ধরনেরই হোক না কেন ডাক্তারের চিকিৎসা নেওয়া উচিত। কুকুর বিড়ালের কামড়কে কেউ অবহেলা করে থেমে থাকবেন না। সাথে সাথে ডাক্তারের চিকিৎসা নেওয়ার চেষ্টা করবেন। আর কুুকুর বিড়াল থেকে সাবধান থাকার চেষ্টা করবেন। এখন আমরা এই পোষ্ট থেকে জানবো বিড়াল কামড়ালে কয়টি ভ্যাকসিন দিতে হয়?
বিড়াল কামড়ালে কয়টি ভ্যাকসিন দিতে হয়
বিড়াল কামড়ালে কয়টি ভ্যাকসিন দিতে হয়? বিড়ার কামড়ালে সাধারনত ৪টি ভ্যাকসিন দিতে হয়। জলাতঙ্ক রোগের দুই ধরনের টিকা রয়েছে। ১. একটি টিকা মাংসপেষিতে দিতে হয় মানে হাতের বাহুতে। ২. আরেকটি চামড়ায় দিতে হয়। তবে চামড়ায় দেওয়া টিকাই বেশি কার্যকর। আর মাংশপেষিতে দেওয়া টিকার দাম কম হওয়ায় মাংপেশির টিকাই বেশি প্রচালিত। বিড়াল বা কুকুর কামড় দেওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রথম টিকা দিতে হবে।
আর দ্বিতীয় টিকা প্রথম টিকার তিন দিন পর একটা। ১৪ দিন পর একটা। ২৮ দিন পর একটা। এই টিকা গুলো সাধারনত দুই বাহুতে দেওয়া হয়। বিড়াল কামড়ালে কয়টি ভ্যাকসিন দিতে হয় তা আমরা এই পোষ্ট থেকে জেনে নিলাম।
জলাতঙ্ক রোগের টিকার নাম কি
জলাতঙ্ক রোগের টিকার নাম কি? বর্তমানে জলাতঙ্ক রোগের বিভিন্ন ধরনের টিকা বের হয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে ভালো টিকা হলো হিউম্যান ডিপ্লেয়েড সেল ভ্যাকসিন ( HDCV) । আর অন্য যে সকল টিকা আছে সে গুলো হলো- ১.নার্ভ টিস্যু ভ্যাকসিন, ২. ডাক ইমব্রিও সেল ভ্যাকসিন ৩. পিউরিফাইড চিক ইমব্রিও সেল ভ্যাকসিন, ইত্যাদি হলো জলাতঙ্ক রোগের টিকা। জলাতঙ্ক রোগ হলে এই টিকা গুলো ৪ টি দিতে হয়। ৪ টি টিকা দিলে রোগী সুস্থ্য হয়ে যাবে।
পাঠকদের জন্য কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
বিড়াল কামড় দিলে কি টিকা নিতে হয়?
উত্তরঃ বিড়াল কামর যদি ক্ষত বেশি হয় বা রক্ত বের হয় তাহরে টিকা অবশ্যই নিতে হবে।
বিড়াল কামড়ানোর কতদিন পর ইনজেকশন দিতে হয়?
উত্তরঃ বিড়ার কামড়ানোর ২৪ ঘন্টার মধ্যে টিকা / ইনজেকশান দিতে হবে।
বিড়াল কামড়ালে কত টি ইনজেকশন দিতে হয়?
উত্তরঃ বিড়াল কামড়ালে মোট ৪ টি ইনজেকশান দিতে হয়।
বিড়ালের আঁচড় কি ক্ষতিকর?
উত্তরঃ ফেলিনোসিস একটি সংক্রামক রোগ যা প্রায়শই একটি বিড়ালের আঁচড় বা কামড়ের ফলে হয়। লক্ষণগুলির মধ্যে সাধারণত আঘাতের স্থানে একটি অ-বেদনাদায়ক বাম্প বা ফোসকা এবং বেদনাদায়ক এবং ফোলা লিম্ফ নোড অন্তর্ভুক্ত। মানুষ ক্লান্ত বোধ করতে পারে, মাথা ব্যথা করতে পারে বা জ্বর হতে পারে।
বিড়ালের আঁচড়ের পর কোন টিকা দিতে হয়?
উত্তরঃ আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীকে আক্রমণের রিপোর্ট করার নির্দেশনা এবং অতিরিক্ত চিকিত্সা যেমন অ্যান্টিবায়োটিক, একটি টিটেনাস বুস্টার, বা জলাতঙ্ক ভ্যাকসিন প্রয়োজন কিনা তা নির্ধারণ করতে কল করুন। মুখ, হাত বা পায়ে কামড়ের জন্য বা ত্বকের গভীর খোঁচা ক্ষত সৃষ্টিকারী কামড়ের জন্য এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
বিড়ালের আঁচড়ে কি জলাতঙ্ক রোগ হয়?
উত্তরঃ হ্যা বন্ধুরা বিড়ালের কামড়ে জলাতঙ্ক রোগ হয়। এই রোগ সাধারনত বিড়াল কামড় দিলে ক্ষত স্থান দিয়ে বিড়ালের মুখের লালা শরীরের সংক্রামিত হওয়ার মাধ্যমে জলাতঙ্ক রোগ হয়।
জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ গুলো কি কি?
উত্তরঃ জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ গুলো এই পোষ্টের মধ্যে দেওয়া আছে। সেখান থেকে আপনারা জানতে পারবেন।
শেষ কথাঃ বিড়ালের নখের আচরে কি সমস্যা হয়?
বন্ধুরা বিড়ালের আচর লাগলে সাথে সাথেই সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন এবং ক্ষত স্থান সব সময় পরিষ্কার রাখবেন। বিড়ালের সব আচর এবং কামড় থেকে যে জলাতঙ্ক রোগ হবে এমন টা নয়। এখানে বিড়ালের কামড়ে ভয় পাবার কিছুই নেই। ক্ষত গভীর হলে ডাক্তারের চিকিৎসা নিবেন দ্রুত ভালো হয়ে যাবে। তো বন্ধুরা আজ আপনারা এই পোষ্ট থেকে জানতে পারলেন, বিড়ালের নখের আচরে কি সমস্যা হয়, বিড়াল আচর দিলে কি করতে হবে,
বিড়ালের নখের আঁচড় কি বিপজ্জনক, বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়, বিড়াল আঁচড় দিলে কি ক্ষতি হয়, বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে জলাতঙ্ক হয়, বিড়াল কামড়ালে কয়টি ভ্যাকসিন দিতে হয়, জলাতঙ্ক রোগের টিকার নাম কি। সব বিড়াল - কুকুর সহজে কামড় দেয় না। তাদের কে রাগিয়ে দিলে, যদি র্যাবিশ রোগে আক্রান্ত থাকে অথবা পাগর হলে কামড়ায়। এই জন্য বিড়াল কে রাগানোর চেষ্টা কম করবেন।
আর দুরে থাকার চেষ্টা করবেন তাহলে বিড়ালের আচর বা কামড় থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন। আমাদের এই পোষ্ট টি আপনাদের ভালো লেগে থাকলে পরিচিতদের মধ্যে সেয়ার করবেন। আর ভালো ভালো পোষ্ট পেতে এই ওয়েবসাইডটি ভিজিট করুন তাহলে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জানতে পারবেন। সকলেই ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।
msta2z.comব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url