omidon syrup এর কাজ কি, কেন খায়, খাওয়ার নিয়ম
omidon syrup এর কাজ কি জানতে চান? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন আজকের এই আর্টিকেলে omidon syrup এর কাজ কি, কেন খায়, খাওয়ার নিয়ম, অমিডন সিরাপ এর কাজ কি অমিডন সিরাপ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কি এবং omidon কিসের ঔষধ এই সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
অমিডন সিরাপ সেবনের পূর্বে দেখে নিন অমিডন সিরাপ এর কাজ কি অমিডন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম কি এবং অমিডন সিরাপ কিসের ঔষধ। চলুন দেরি না করে তাড়াতাড়ি দেখে আসি omidon syrup এর কাজ কি, কেন খায়, খাওয়ার নিয়ম।
পেজ সূচিপত্র : omidon syrup এর কাজ কি, কেন খায়, খাওয়ার নিয়ম
ভূমিকা
বাংলাদেশ অমিডন সিরাপ একটি জনপ্রিয় ঔষধ। এটি বাজারে সহজলভ্য অর্থাৎ সস্তা দামে পাওয়া যায় আবার এর উপকারিতা ও অনেক এটি সর্দি জ্বর কাশি ঠান্ডা দূর করতে সাহায্য করে পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট নাক বন্ধ হয়ে আসা এবং গলা ব্যথা উপশম করে। অমিডন সিরাপ বাচ্চাদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। অমিডন সিরাপ ব্যবহার করার ফলে বাচ্চাদের নাক বন্ধ হয়ে আসা এবং বারবার হাঁচি ও কাশি সর্দি দূর হয়।
যারা অমিডন সিরাপ ব্যবহার করতে চাচ্ছেন তারা প্রথমে দেখে নিন অমিডন সিরাপ ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে কারণ যে কোন সিরাপ যদি ভুল নিয়মে ব্যবহার করা হয় তাহলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাই আজকের এই আর্টিকেলে শুধুমাত্র omidon syrup এর কাজ কি, কেন খায়, খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
omidon syrup এর কাজ কি, কেন খায়, খাওয়ার নিয়ম
আপনি কি omidon syrup এর কাজ কি জানতে চান? আপনারা অনেকেই হয়তো এসিড আপনি সেবন করেন কিন্তু স্পষ্ট জানেন না যে আসলে এই সিরাপের কাজ কি এবং এই সিরাপটি কোন কাজে ব্যবহার করা হয়? এটি মূলত সর্দি কাশি জ্বর সারাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে শীতকালে হালকা ঠান্ডা জলবায়ুতে জ্বর সর্দি কাশি লেগেই থাকে। জ্বর সর্দি দূর করতে এই সিরাপ সেবন করা হয় চলুন দেখে আসি omidon syrup এর কাজ কি।
- শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর করা এবং শ্বাসনালীকে শিথিল করা।
- omidon syrup এর কাজ হল ঘন ঘন কাশি রোধ করা এবং কাশির reflex কমানো।
- omidon syrup এর কাজ হল গলা ব্যথা দূর করা এবং গলার জ্বালাপোড়া উপশম করা।
- omidon syrup এর কাজ হল কাশি থেকে মুক্তি দেওয়া এবং নাক বন্ধ হয়ে আসা রোধ করা।
- omidon syrup সেবন করার ফলে এলার্জি সমস্যা দূর হয় এলার্জি থেকে সৃষ্ট বারবার হাঁচি দূর হয়।
- omidon syrup সেবন করলে মাথা ব্যথা অথবা মাথা ঘোরার কিছুটা উপশম হয় এবং রোগী কাশি থেকে মুক্তি পায়।
- omidon syrup এর কাজ হল শ্বাস নারীর প্রদাহ কমানো এবং মনে শান্তি আনা।
- omidon syrup সেবনের ফলে ঘুমের সমস্যা দূর হয় অনেকে কাশির কারণে রাতে সঠিকভাবে ঘুমাতে পারেন না। এক চা চামচ omidon syrup সেবন করলে শান্তিতে ঘুমাতে পারবেন।
- omidon syrup এর কাজ হল ফুসফুসে কাশি সহ দীর্ঘস্থায়ী কাশি প্রতিরোধ করা।
- omidon syrup এর কাজ হল ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করা ডি হাইড্রেশন থেকে সর্দি কাশি হতে পারে।
- omidon syrup জীবনের ফলে সঠিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া যায়। নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। omidon syrup সেবন করলে বন্ধ হওয়া নাক সেরে যায়।
- এই সিরাপের কাজ হল এলার্জি কমানো অনেকের চোখে এবং নাকে অ্যালার্জি থাকে এলার্জি সমস্যা প্রতিরোধ করতে এই সিরাপটি সেবন করা হয়।
- এলার্জি থেকে যদি নাক বন্ধ হয়ে আসে এবং সর্দি হয় তাহলে এই সিরাপ সেবন করতে হবে।।
- গলা পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
- ঘন খুসখুসে কাশি দূর করে।
- কিছু ক্ষেত্রে omidon syrup রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
- Omidon সিরাপ এর কাজ হলো বন্ধ নাক সারিয়ে তোলা।
- omidon syrup এর কাজ হল খাদ্যনালী এবং গলার জ্বালাপোড়া ও প্রদাহ কমানো।
- omidon syrup এর কাজ হল মুখের গন্ধ কমানো।
- omidon syrup এর কাজ হল শরীরকে পুনরুদ্ধার করা ঠান্ডা অথবা ইনফেকশন থেকে শরীরকে রক্ষা করা না
omidon syrup সেবন করার ফলে উপরের এই কার্যকারিতা গুলো লক্ষ্য করতে পারবেন।omidon syrup সাধারণত জনপ্রিয় একটি এটি জল সর্দি কাশি শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি অনেকের এলার্জি সমস্যা থাকে এলার্জি থেকে ঘন ঘন হাচ্ছি কাশি হয়।
আরো পড়ুন: বাড়ির আশেপাশে থাকা wifi password দেখে নিন
এই এলার্জি সমস্যা দূর করতেও অমিডন সিরাপ সেবন করা হয়। Dear readers আশা করছি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন omidon syrup এর কাজ কি এবার চলুন আমরা ঝটপট দেখে আসি অমিডন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম।
অমিডন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম
অমিডন সিরাপ খাবার পূর্বে জানতে হবে এই সিরাপটি খাওয়ার নিয়ম কি এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সঠিকভাবে উপকারিতা পাওয়ার জন্য অমিডন সিরাপ সঠিক পদ্ধতিতে খেতে হবে। অমিডন সিরাপ-সেবনের পূর্বে চলুন দেখে আসা যাক অমিডন সিরাপ খাওয়া নিয়ম কি? যে কোন সিরাপ সেবনের পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া খুবই জরুরী চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে।
- অমিডন সিরাপ খাবারের পর সেবন করতে হবে।
- একদিনে সর্বোচ্চ তিন বার এই ডোজ নেওয়া যাবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অবশ্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বাচ্চাদেরকে অতিরিক্ত সিরাপটি সেবন করার ফলে পেট খারাপ হতে পারে।
- স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য অমিডন সিরাপ সেবনের পূর্বের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
- এই সিরাপ খালি পেটে খাওয়া যাবেনা। যে কোন খাবার গ্রহণ করার পর অমিডন সিরাপ সেবন করতে হবে।
- দ্বিতীয়বার সিরাপ সেবনের পূর্বে সময় মিলিয়ে নিন অবশ্যই একাধিক সময়ে খেতে হবে। যেমন সকালে খাবার গ্রহণের পর দুই চা চামচ অমিডন সিরাপ সেবন করতে হবে তারপর রাতে খাবার গ্রহণের পর আরো দুই চামচ সিরাপ সেবন করতে হবে। টাইম মেইনটেইন করে সিরাপ সেবন করলে পরিপূর্ণ উপকারিতা পাওয়া যাবে।
- অতিরিক্ত পরিমাণের সিরাপ সেবন করা যাবে না।
- অমিডন সিরাপ সেবনের পর কিছু সময় বিশ্রাম নিতে হবে।
- যদি একবেলার ডোজ মিস হয়ে যায় তাহলে পরবর্তী সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ভুল টাইমে ডোজ গ্রহন করা যাবে না।
- এই সিরাপ সেবন করার পরে যদি অতিরিক্ত শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে সিরাপটি সেবন করা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।।
- পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করতে হবে যদি কোন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে সেই মুহূর্তে সেবন করা বন্ধ করতে হবে।
- দীর্ঘদিন এই সিরাপ সেবন করা যাবেনা।
- এই সিরাপ সেবন করার পরে বেশি পানি পান করতে হবে।
- বাচ্চাদের ক্ষেত্রে টাইম মেইনটেইন করে অমিডন সিরাপ সেবন করাতে হবে।
প্রিয় পাঠক ওপরের এ কয়েকটি নিয়ম অনুসরণ করে এই সিরাপটি সেবন করলে পরিপূর্ণ উপকারিতা লাভ করতে পারবেন আপনারা অনেকে হয়তো জানেন না যে একদিনে কতবার অমিডন সিরাপ সেবন করা যাবে। দিনে সর্বোচ্চ ৩ বার সিরাপ সেবন করা যাবে এর বেশি এই ডোজ গ্রহণ করার ফলে বিভিন্ন ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দিনে দুইবার সেবন করাতে হবে।
মনে রাখবেন অমিডন সিরাপ খাবার খাওয়ার পরে সেবন করতে হবে অথবা খাবার খাওয়ার সাথে দুই চা চামচ সিরাপ খেয়ে নিতে হবে। খালি পেটে কখনোই এই সিরাপ সেবন করা যাবে না এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। আশা করছি আপনারা সকলে ক্লিয়ার বুঝতে পেরেছেন অমিডন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে এবার চলুন দেখে আসি অমিডন সিরাপ কেন খায়?
অমিডন সিরাপ কেন খায়?
আপনি কি জানেন অমিডন সিরাপ কেন খায়? আপনারা অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন যে এই সিরাপের কাজ কি এবং এই সিরাপটি কেন খাওয়া হয়? এটি একটি জনপ্রিয় ও শয্যা সর্দি জ্বর কাশি উপশম করতে সাহায্য করে পাশাপাশি এটি শ্বাসকষ্টের সমস্যা উপশম করে। এখনতো শীতকাল শীতকালে জ্বর সর্দি কাশি লেগে থাকে তাই বাচ্চাদের সুস্বাস্থ্য গঠনে এবং জ্বর সর্দি কাশি দূর করতে নিয়মিত এক চা চামচ অমিডন সিরাপ সেবন করাতে হবে। নিচে দেখে নিন অমিডন সিরাপ কেন খায়?
- আমি ডোন সিরাপ খাওয়ার কারণ হলো জল সর্দি কাশি উপশম করা।
- অমিডন সিরাপ সেবন করার ফলে বন্ধ হওয়া নাক সেরে যায়।
- omidon syrup এর কাজ হল শ্বাসকষ্ট উপশম করা এবং শ্বাস নালীকে শিথিল রাখা।
- অমিডন সিরাপ এর কাজ হল মাথাব্যথা ও মাথা ঘোরা উপশম করা।
- অমিডন সিরাপ সেবনের ফলে অ্যালার্জির সমস্যা দূর হয়।
- অমিডন রাত সেবন করলে বারবার হাচীর সমস্যা দূর হয়।
আশা করছি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন অমিডন সিরাপ কেন খায়? মূলত উপরোক্ত এই উপকারিতা সমূহ পাওয়ার জন্যই অমিডন সিরাপ সেবন করা হয়। এই সিরাপটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বিশেষ করে এটি বাচ্চাদের ব্যবহার করা হয়। যেমন বাচ্চাদের ঘন ঘন জ্বর, পা সর্দি, কাশি, হয়। তাদের জ্বর সর্দি কাশি দূর করতে অমিডন সিরাপ সেবন করানো হয়। এবার চলুন দেখে আসি omidon কিসের ওষুধ?
omidon কিসের ওষুধ
ইতিমধ্যে আশা করছি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন omidon কিসের ওষুধ? বাংলাদেশ একটি জনপ্রিয় এবং সহজলভ্য ঔষধ যা ডেক্সট্রোমেথোরোফান এবং ক্লোরোফেনিরামিন মেলেট এর সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে। এটি মূলত শ্বাসতন্ত্রের কার্যক্রমকে উন্নত করতে সাহায্য করে পাশাপাশি এটি শ্বাসনালীকে শিথিল করে যেন শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর হয়।
- কাশির ঔষধ হিসেবে অমিডন এই সিরাপ বহু পরিচিত।
- এলার্জির সমস্যা দূর করতে অমিডন সিরাপ সেবন করা হয় এটি এক ধরনের অ্যালার্জি প্রতিরোধক ঔষধ হিসেবে পরিচিত।
- omidon syrup গলা ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে অনেকেই গলা ব্যথার ওষুধ হিসেবে চিনেন।
- এই সিরাপটি শ্বাসনালিকে শিথিল করতে সাহায্য করে
- omidon কিসের ওষুধ? omidon হল সর্দি-কাশি জ্বর দূর করার ঔষধ।
- omidon সিরাপে এন্টিহিস্টাসিন উপাদান রয়েছে যা এলার্জি দূর করতে সাহায্য করে এবং এটি নাকের ও চোখের এলার্জিকে উপশম করে।
- omidon syrup সেবন করার ফলে শ্বাসনালীর প্রদাহ কমে।
- omidon syrup এ অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং ফুসফুসে কাশি দূর করে।
omidon syrup সেবন ফলে উপরের এই উপকারিতা সমূহ লাভ করতে পারবেন আশা করছি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন omidon কিসের ওষুধ? কোন কাজে এই ঔষধ ব্যবহার করা হয় এবং এটি ব্যবহার করার ফলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যায় এটি মূলত একটি জনপ্রিয় সর্দি কাশি প্রতিরোধক ঔষধ যা সর্দি কাশি সহ অ্যালার্জি সমস্যা কে দূর করে। এবার চলুন আমরা দেখে আসি ওমিডন সিরাপ কি কাজে লাগে?
ওমিডন সিরাপ কি কাজে লাগে?
আপনি কি জানেন ওমিডন সিরাপ কি কাজে লাগে? ওমিডন সিরাপ এর কাজ কি? এটি মূলত একটি জনপ্রিয় সর্দি-কাশি প্রতিরোধক অথবা উপশমক ঔষধ। যা ছোট বাচ্চাদের সর্দি-কাশির ঝড় উপশম করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এই ঔষধে রয়েছে অ্যান্টি হিস্টাসিন উপাদান।
যা এলার্জি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এবং omidon syrup এ রয়েছে এন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান। যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এই সিরাপ সেবন করার ফলে দ্রুত খুসখুশে কাশি দূর হবে এবং শ্বাসনালী শিথিল থাকবে জ্বালাপোড়া প্রদাহ দূর হবে এতে বারবার কাশি ও হাঁচি হবে না।
ওমিডন সিরাপ সেবন ফলে গলার খুসখুসে কাশি দূর হওয়ার পাশাপাশি চোখের এবং নাকের অ্যালার্জি দূর হবে। অনেকের চোখে এবং নাকে এলার্জি সমস্যা থাকে। যার ফলে বারবার অনবরত হাচি হতে থাকে পাশাপাশি চোখ থেকে পানি পড়তে শুরু করে এবং চোখ লাল হয়ে ওঠে। অনেকেই নাকের হাচিকে ডাস্ট এলার্জি বলেন।
এই ডাস্ট এলার্জি উপশম করতে অমিডন সিরাপ সেবন করা হয়। এটি সিরাপটি সেবন করার ফলে বিভিন্ন উপকারিতা পাওয়া যায়। যেমন এটি এনার্জি প্রতিরোধ করে সর্দি, কাশি, জ্বর উপশম করে প্রদাহ কামায় শ্বাসনালীকে শিথিল করে পাশাপাশি এটি মাঝে মাঝে রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন ওমিডন সিরাপ কি কাজে লাগে? এবার চলুন আমরা ঝটপট দেখে আসি বাচ্চাদের অমিডন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম কি?
বাচ্চাদের অমিডন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম
বড়দের শরীরে তুলনায় বাচ্চাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম হয়। এজন্য বাচ্চাদেরকে যে কোন ঔষধ কিংবা সিরাপ সেবন করনের উপর বেশি কিছু পরামর্শ নেওয়া খুব জরুরী। বাচ্চাদেরকে হুটহাট করে যে কোন সিরাপ অথবা ঔষধ সেবন করানো যাবে না। এটি তাদের স্বাস্থ্যের জন ক্ষতিকর হতে পারে চলুন দেখে আসি বাচ্চাদের অমিডন সিরাপ খাওয়া নিয়ম কি।
- বাচ্চাদেরকে সিরাপ খাবার গ্রহণের পর সেবন করাতে হবে। কখনোই খালি পেটে বাচ্চাদের ওমিডন সিরাপ খেতে দেওয়া যাবে না।
- omidon syrup সেবন এর সাথে হালকা গরম পানি খেতে দিতে হবে।
- omidon syrup ঠান্ডা পানির সাথে পান করলে এর অনেক গুনা গুণ নষ্ট হয়।
- omidon syrup একদিনে সর্বোচ্চ দুইবার সেবন করাতে পারবেন অতিরিক্ত সেবন করার ফলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে।
- omidon syrup অতিরিক্ত পরিমাণে সেবন করা যাবেনা সর্বোচ্চ বাচ্চাদেরকে ১.৫ চা চামচ সেবন করাতে হবে।
- omidon syrup সেবনের পর বিশ্রাম নিতে হবে।
ওপরের এই কয়েকটি নিয়ম অনুসরণ করে এই সিরাপটি বাচ্চাদের সেবন করলে আশা করছি পরিপূর্ণ উপকারিতা সমূহ লাভ করতে পারবেন। এখনতো শীতকাল আসছে আর শীতকালে বাচ্চাদের জ্বর সর্দি কাশি লেগে থাকে তাই তাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে এবং জন সর্দি কাশি দূর করতে নিয়মিত এক চা চামচ omidon syrup সেবন করাতে হবে তবে এই ওষুধটি দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহার করা যাবে না।
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন omidon syrup বাচ্চাদেরকে কিভাবে সেবন করাতে হবে? এবং বাচ্চাদেরকে একদিনে কতবার সেবন করাতে হবে। এবার চলুন ঝটপট দেখে নেওয়া যাক অমিডন সিরাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
অমিডন সিরাপ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
অমিডন সিরাপ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গাতে এসেছেন। আপনারা অনেকে হয়তো জানেন না যে এই সিরাপ অতিরিক্ত সেবন করার ফলে কি কি ক্ষতি হতে পারে? ওপরে আমরা দেখলাম যে অমিডন সিরাপ এর কাজ কি? এবার চলো দেখে আসি অমিডন সিরাপ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্ক প্রতিটি ওষুধে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। বর্তমান সময় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বিহীন কিংবা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুগ্ধ ঔষধ খুঁজে পাওয়া খুব মুশকিল।
- অমিডন অতিরিক্ত নিদ্রা সমস্যা তৈরি হতে পারে এটি ক্লোরফেরিরামিন মেলেটের কারণে হয়।
- তীব্র মাথা ঘোড়া অথবা মাথা ব্যথা তৈরি হবে।
- অতিরিক্ত শ্বাসকষ্টের সমস্যা তৈরি হতে পারে এবং শাসনালী জমে যেতে পারে।
- অতিরিক্ত এই সিরাপ সেবন করার ফলে নাসারঅন্ধ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
- এই সিরাপটি অতিরিক্ত সেবন করার ফলে অস্বস্তি এবং অস্বাভাবিক অনুভূতি হতে পারেন হাত পায়ে হঠাৎ করে তীব্র ব্যথা অনুভূত হবে।
- শরীর সঠিকভাবে কাজ না করা যা
- তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া
- বদহজম সমস্যা তৈরি হওয়া
- দৃষ্টিশক্তির সমস্যা তৈরি হওয়া
- অতিরিক্ত ঘাম হওয়া
- হৃদ রোগের ঝুঁকি রয়েছে
- এলার্জির সমস্যা তৈরি হওয়া
- বমি বমি ভাব দেখা যাবে
- অগ্নাশয় এর সমস্যা
- অতিরিক্ত বারবার তৃষ্ণা পাওয়া
অমিডন সিরাপ অতিরিক্ত সেবন করার ফলে উপরের এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো দেখা দিতে পারে। এই সিরাপটি জ্বর সর্দি কাশি দূর করতে কার্যকারী ভূমিকা পালন করলেও যখন অতিরিক্ত পরিমাণে সেবন করা শুরু করবে তখন উপরোক্ত এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো দেখা দিবে। অমিডন সিরাপ সেবন করার পরে তীব্র মাথাব্যথা সহ বমি বমি ভাব তৈরি হবে এবং হৃদরোগের সমস্যা তৈরি হতে পারে।
লেখকের শেষ কথা
Dear readers আজকের এই আর্টিকেলে দেখলাম omidon কিসের ওষুধ,অমিডন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম কি? অমিডন সিরাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি, অমিডন সিরাপ কিসের ঔষধ এবং অমিডন সিরাপ কেন খায়? আপনারা অনেকে হয়তো জানেন না যে এই সিরাপটি সেবন করার ফলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যায়। হালকা জ্বর সর্দি কাশি হলেই আমরা পান করি কিন্তু আসলে এই সিরাপের কাজ কি সেই সম্পর্কে খুব কম সংখ্যক মানুষ জানি।
আরো পড়ুন: চুলের জন্য পেঁয়াজের উপকারিতা ও অপকারিতা
এটি একটি জনপ্রিয় সর্দি জ্বর কাশি প্রতিরোধক ঔষধ। অমিডন সিরাপ সেবন করার ফলে নিমিষেই জ্বর সর্দি কাশি দূর হয় পাশাপাশি শ্বাসনালীর কার্যকারিতা আরো উন্নত হয় অনেকের জল সর্দি-কাশিতে নাক বন্ধ হয়ে যায় এবং তীব্র গলা ব্যথা অনুভূত হয় গলা ব্যথা উপশম করতে এবং বন্ধ নাক সারিয়ে তুলতে অমিডন সিরাপ সেবন করা হয়। অমিডন সিরাপ সেবন করার ফলে জ্বর সেরে যায় এবং সত্যি কাশি নিমিষেই দূর হয়। পাশাপাশি সেবন করার ফলে আরো কিছু উপকারিতা পাওয়া যায়।
অমিডন সিরাপ রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি এবং আন্টি হিস্টাসিন উপাদান যা এলার্জির প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে এবং এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান গলা ব্যথা ও শ্বাস নারীর প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে অর্থাৎ এই একটি সিরাপ সেবন করার ফলে গলা ব্যথা দূর হবে এবং নাকের অ্যালার্জি দূর হবে। আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পেরেছেন omidon syrup এর কাজ কি, কেন খায়, খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
msta2z.comব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url